তিন ডিটেক্টিভ কিভাবে তাদের মিশন কমপ্লিট করেছিল ?, পর্ব – ২
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
[…] তিন ডিটেকটিভ – পর্ব -২ […]
তিন ডিটেকটিভ, পর্ব -২
– প্রায় তিন দিন ধরে মন্টু স্কুলে আসছে না। যে মন্টু একদিন স্কুল মিস দিত না সে মন্টু আজ প্রায় তিন দিন হল স্কুলে আসছে না। জিনিসটা পাভেলের কাছে কেমন যেন লাগছে।
পাবেল রাজুকে জিজ্ঞেস করল সে কিছু জানে কিনা। রাজুও কিছু জানে না।রাজু ও পাবেল ঠিক করলো, তারা মন্টুর বাসায় যাবে।স্কুল শেষ করে রাজু এবং পাবেল তারা মন্টুর বাসায় গেল।
গিয়ে দেখলো মন্টু বারান্দায় একটি পাটির মধ্যে শুয়ে আছে। সে খুবই অসুস্থ, জ্বরে তার গা পুড়ে যাচ্ছে। মন্টু পাভেল এবং রাজুকে দেখে কেমন যেন চমকে উঠল সে ভাবতেও পারেনি যে তারা তার বাসায় আসবে।মন্টুর এই অবস্থায় মন্টুর মা বাবা একদম কান্না বিজড়িত অবস্থায় পাভেল এবং রাজুর সাথে কথা বললেন।
গত তিনদিন আগে স্কুল থেকে ফেরার সময় একটি কুকুরের সাথে দুষ্টুমি করতে গিয়ে কুকুরটি মন্টুর পায়ে কামড় দেয়। কিন্তু সেই অবস্থায় মন্টুকে কোন ইনজেকশন দেওয়া হয়নি। সাধারণত কুকুর কামড় দিলে ১৪ টা ইনজেকশন দিতে হয়।
কিন্তু মন্টুর বাবার এত টাকা পয়সা ছিল না যে প্রাইভেট কোন মেডিকেল থেকে সেই ইনজেকশন বা চিকিৎসা নেবে। আবার উনি এতটাও চালু ছিলেন না যে সরকারি কোথাও থেকে সেই সেবা টা ফ্রিতে নিবেন। উনি এলাকার এক কবিরাজের কাছ থেকে ওষুধ এনে মন্টুকে খাওয়াচ্ছেন।
ওইদিকে কুকুরের কামড়ের যখম টা বেশি হয়েছিল বলে তার শরীরে জ্বর চলে এসেছে । বিষয়টা যখন পাবেল এবং রাজু জানল তখন তারা মন্টুর জন্য কিছু করবে বলে সিদ্ধান্ত নিল।পাবেল অনেক চালাক এবং সে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতো।
তাই সে চিন্তা করল যে সে যদি তার বাবাকে দিয়ে সিভিল সার্জন থেকে একটা ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে মন্টুকে ফ্রিতে ইনজেকশনের ব্যবস্থা করে দেয়া যাবে এবং সে দেরি না করে বাসায় গিয়ে তার বাবাকে সব কিছু খুলে বলল।
মন্টুর বাবা আইনের উচ্চপদস্থ একজন লোক হওয়ায় খুব সহজেই সিভিল সার্জন থেকে মন্টুর জন্য সম্পূর্ণ ইনজেকশনের কোর্স ফ্রি করে দিলেন। মন্টু সিভিল সার্জন থেকে চিকিৎসা নিয়ে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠলো কিছুদিন পর মন্টু স্কুলে আসছে শুরু করলো।
– প্রথম যখন মন্টু স্কুলে আসে তখন সে রাজু এবং পাভেলের কাছে তার পূর্বের খারাপ কাজের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিল। সে অনেক লজ্জিত তার কাজের জন্য।রাজু এবং পাবেল মন তাকে ক্ষমা করে দিল এরপর থেকে তারা তিনজন খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেল।
এখন তারা তিনজন খুবই ভালো বন্ধু।একজন আরেকজনকে ছাড়া কোন কিছুতেই যেন তারা থাকতো না। তারা স্কুলে তো সারাদিন একসাথে থাকতই এমন কি স্কুল থেকে বাসায় যাওয়ার পর বিকালে তারা একসাথে মাঠে জড় হতো।
এবং তারা বিভিন্ন দিকে বিকালে হেঁটে বেড়াতো।তারা বিভিন্ন ধরনের এডবেন্চার, ডিটেকটিভ , সাইন্টিফিক ইত্যাদি ভিবিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করত। এভাবেই প্রায় কেটে গেল চার পাঁচ মাস।এরই মধ্যে তারা নবম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীতে উঠল। যে রাজু আগে পড়াশোনার মধ্যে খুবই কাঁচা ছিল, সে রাজু এখন মন্টু এবং পাবেল এর সাথে থেকে থেকে সেও পড়াশোনায় মোটামুটি ভালো হয়ে গেল।এখন সব বিষয়ে ফেল না করে মোটামুটি সব বিষয়ে কোন মতে রেগুলার পাস করে ফেলে সে।
– একদিন বিকাল বেলা স্কুল শেষ করে রাজু, মন্টু, এবং পাবেল তারা একটি পাহাড়ের দিকে ঘুরতে গেল। যেতে যেতে তারা এমন এক জায়গায় গেল যেখানে কোনো মানুষজন নেই, অনেকটা নির্জন ছিল সে জায়গাটা। কিন্তু অপরূপ সুন্দর ছিল তাই তারা সামনেই আগাতে থাকলো।
এগোতে এগোতে তারা দেখতে পেল যে একটি বড় ঘর। অনেকটা কৌতুহলী ছিল সেই পুরনো ঘরটা।তারা সাহস করে সামনে গেল না ঐদিন।তারা দুর থেকে দেখল যে কিছু মানুষ কালো মুখোশ পরা অই ঘর থেকে বের হচ্ছে। বুঝতে আর বাকী রইল না যে ওরা ডাকাতদল।
এরইমধ্যে রাজু ভয় পেয়ে তার পা কাঁপতে থাকলো এবং কান্না কান্না অবস্থা।তিনজন তখন দূর থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে ঘরটা কিছুক্ষণ মনিটরিং করে ফিরে এলো।
– পাভেল এবং মন্টু ভাবল যে কিছু একটা করা যায় কি না, তাদের মাথায় অ্যাডভেঞ্চারের চিন্তা।কিভাবে কি করা যায় তারা ভাবছে। এই কথাগুলো তারা শুধু তিনজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলো এবং স্কুলে তারা বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করতে লাগলো।
অবশেষে তারা ঠিক করল যে শুক্রবার দিন তাদের স্কুল বন্ধ। ঐদিন সকালের দিকে তারা সেখানে যাবে এবং লুকিয়ে থেকে সারাদিন পর্যবেক্ষণ করবে।
পার্ট ১ পড়তে ক্লিক করুন