ভূত গল্প-১
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
[…] পার্ট ১ পড়তে ক্লিক করুন […]
[…] ভূত-গল্প-১ […]
ভূত গল্প ১
১৯৮৫ সালের একটি ঘটনা । এই ঘটনাটি আমার বাবার মুখ থেকে শুনা। আমি আজব গুজব.কম এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনাদের সবার সাথে ঘটনাটি শেয়ার করছি।
আমরা যে গ্রামে থাকি সেই গ্রামে একটি পুরোনো বট গাছ ছিল। এবং সেই বট গাছ থেকে একটু দূরে একটা হিন্দু বাড়ি ছিল এবং সেই বাড়ি থেকে রোজ রাতে হৈ চৈ শুনা যেতো।
গ্রামের সবাই সেটা নিয়ে পরের দিনন সবাই আলোচনা করতো। আমরা যেই গ্রামে থাকি তার পাশে বাঁশ ঝাঁড় রয়েছে। এবং সেই বাঁশ ঝাঁড়ের কাছেই একটা ভাঙ্গা পুরাতন মন্দির রয়েছে। গ্রামের হিন্দু লোকেরা সেই মন্দিরে প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় প্রদিপ জ্বালিয়ে দিতো।
বলতে গেলে যেই হিন্দু ব্যক্তি এই রাস্তা দিয়ে যেতো সে সন্ধ্যার সময় এই প্রদিপটি জ্বালিয়ে দিতো । যখন রাতে কেউ বাজার করে ফিরতো তখন আসার সময় একা আসতো না গ্রামের মুখে অপেক্ষা করতো অন্য কোনো মানুষের।
তখন একসাথে মিলে হারিকেন জ্বালিয়ে গ্রামের ভিতর প্রবেশ করতো। আর গ্রামের মাঝা মাঝি যে পুরাতন বড় বটগাছ সেই বটগাছের পাশ দিয়েই আসতে হতো। আর আমাদের গ্রামে প্রবেশ করার এই একটা মাত্র রাস্তা ছিল।
কারণ নদীর পাড়েই ছিল আমাদের গ্রাম। যখন বর্ষাকাল আসতো তখন আমাদের গ্রামে পানি হয়ে যেতো। আর চলাচল করতে হলে তখন ডিঙি নৌকার প্রয়োজন হতো।
একবার এক ব্যক্তি বাজার করে রাতে ফিরছিলেন।ডিঙ্গি নৌকাটা ঔই বট গাছের কাছাকাছি যখন আসে তখন নৌকা ঔই যায়গায় হঠাৎ আটকে পড়ে। কোনোভাবে সেটা চলছিল না। মাঝি ভয়ে কাঁপতে থাকে।
ঔই ব্যক্তি জানতেন কেন এই নৌকা আটকে গেছে। তিনি বাজার থেকে একটা সিদুরের কৌটা তার স্ত্রীর জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন পরে সেই কৌটাটা বট গাছের গুরিতে ফেলে দেন পরে নৌকাটি আবার চলতে শুরু করে। পরে ঔই ব্যক্তিকে মাঝি জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি করে বুঝলেন যে এই সিদুঁরের কৌটাটা গাঁছের গুরিতে ফেলে দিলে নৌকা চলবে ?
পরে তিনি মাঝিকে সব কথা খুলে বলেন। তার স্ত্রীর সাথে যখন বিয়ে হয় তখন তার শশুর বাড়ীর লোকেরা এইসব ঘটনা প্রকাশ করেনি। ছোটবেলা থেকেই আমার স্ত্রীর একটা সমস্যা ছিল। আমার স্ত্রী ছিল খুবই সুন্দর। একদিন পূর্ণিমার রাতে সে তার এক বান্ধবির বাড়ী থেকে একা একা বাড়ী ফিরছিল। তখন ওই মন্দিরের পাশ দিয়ে আসছিল।
পরে রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে কালো একজন লোক তাকে বিয়ে করতে চায় । যদি সে রাজি না হয় সে তার পরিবারের ক্ষতি করবে।
তখন চিৎকার দিয়ে তার ঘুম ভেঙ্গে যায় ।পরে তার মা বাবাকে বিষয়টি খুলে বলে। তারা পুরোহিত ডেকে বিষয়টি খুলে বলেন। পরে পুরোহিত বলেন একটা খারাপ ছাঁয়া ওর পিছু নিয়েছে। ওকে আঠারো বৎসরের আগে বিয়ে দিতে হবে।
পরে আমার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর আমার স্ত্রী পুরো ব্যপারটি আমার সাথে শেয়ার করে। ঔই খারাপ ছাঁয়া প্রতি পূর্ণিমা রাতে আসে এবং আমার স্ত্রীর শরীরে ভর করে এবং আমার স্ত্রী নিজ কপালে সিদুঁর পরে।
পাগলের মতো হয়ে যায় এবং সেই রাতে তাকে একটি রুমে আটকে রাখা হয়।পরে ঔই পুরোহিত একজন সাধুর সন্ধান দেন আমি উনার কাছে যাই।
উনি আমার সব কথা শুনে আমাকে একটা সমাধান দেন। ঔই পুর্ণিমা রাতে একটা নতুন সিদুঁরের কৌটা প্রথবার আমার স্ত্রীর সিতিতে ছুঁইয়ে তা মন্দিরের কাছে রেখে আসতে।
এবং পরের বার থেকে এমনি রেখে দিলেই হবে। বা যেখানে সে আসবে সেখানেই দিয়ে দিলে হবে। তাই আমি বুঝতে পেরেছি সেই সিদুঁরের কৌটা নিয়ে যাবার জন্য এই কালো ছাঁয়া এখানে এসেছিল।
আমি কয়েকটা সিদুঁরের কৌটা এনে বাড়িতে রেখে দেই। কিন্তুু আজ শেষ হয়ে গেছে খেয়াল ছিলোনা। তাই সিদুঁরের কৌটা আনতে বাজারে গিয়েছিলাম।
বি:দ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যপার। তবে এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ দ্বায়ী নহে ।