ভূত গল্প – ৪
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
এই ঘটনাটি ২০০৮ সালের জুন মাসে আমার বন্ধুর সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা ।
আমি এই ঘটনাটি অনলাইন ম্যাগাজিন আজব গুজব ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরছি ।
আমার বন্ধু একটা কাঁপড়ের দোকানে চাকরি করতো।
তার বাসা শহরের কাছাকাছি ছিল শহর থেকে একটু দূরে। প্রতিদিন সে সকাল ৯টায় দোকানে যেতো এবং রাত ১০ টায় বাসায় ফিরতো । কিন্তুু রমজান মাসে বেঁচা কেনা ভালো ছিল তাই অনেক রাত করেই ফিরতে হতো। তাদের এলাকার পাশে একটা পাহাড় ছিল এবং সেই পাহাড়ের পাশ দিয়ে রাস্তা ছিল এবং পাহাড়ে অনেক বাঁশ ঝাড় ছিল।
সেই এলাকার রাস্তা দিনের বেলায় ও অন্ধকার থাকতো।
বিকাল পেরিয়ে যখন সন্ধ্যা নামতো ভঁয়ে কেউ ওই রাস্তা দিয়ে যেতে চাইতো না। যদি কোনো রিক্সাকে ডাকা হতো আসলে ও যখন শুনতো ওই এলাকায় যাবে তখন সাথে সাথেই যাবেনা বলে দেয়। বেশি টাকা দিয়ে ও কোনো রিক্সা যেতে রাজি হয়না। ওই পাহাড়ের কাছেই ছিল একটা পুরোনো জমিদার বাড়ী । এই রাস্তা দিয়ে রাতে কেউ একা যাওয়ার সাহস পেতো না । তখন ছিল রমজান মাস। আমার বন্ধু তুহিন দোকান থেকে বাসায় ফিরছিলো ।
তখন রাত ৩ টা বাজে, সে তার এলাকার ওই রাস্তা দিয়ে হেঠে আসছিল কারণ এই সময় কোনো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই বাধ্য হয়ে হেঁটেই আসতে হয় তাকে। যখন সে হেঁটে আসছিল দূর থেকে সে খেয়াল করলো ৩/৪ জন লোক আলাপ করছে একটা গাঁছের নিচে সে তাদের দেখে মনে কিছুটা সাহস পেল। যখন সে তাদের পাশ কাটিয়ে যায় তখন তাদের মুখ দেখতে পায় নি। কারণ তখন চারপাশটা খুব অন্ধকার ছিল। তখন তাকে কে যেন পিছন থেকে ডাকছিল সে একবার পিছনে থাকায় তখন দেখে কেউ নেই। গাছের নিচে যে লোকগুলো ছিল এরাও সেই যায়গায় নেই। তখন সে ভঁয় পেয়ে যায় আর সে সামনে থাকতেই দেখে রাস্তার এক পাশে একটা কাল বিড়াল চোঁখ লাল করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। তখন ওই কালো বিড়ালটা দৌড় দিয়ে তার সামনেই রাস্তা অতিক্রম করে।
সে তখন আরো ভঁয় পেয়ে যায়। কিছু না ভেবে দৌড় দেয় তখন সে খেয়াল করলো সে শুধু দৌড়েই যাচ্ছে কিন্তুু তার রাস্তা শেষ হচ্ছে না। তার পাশের যে বাঁশ ঝাড় সেগুলো এক যায়গায় আছে আর সে দৌড়াচ্ছে রাস্তায়। তখন হঠাৎ সে অজ্ঞান হয়ে ওই যায়গায় পরে যায়। যখন সে চোখ খুলে তখন সে দেখতে পায় সে তার বিছানায় শুয়ে আছে তার কাঁপড়ে ময়লা লেগে আছে। পরের দিন সে তার মাকে জিজ্ঞেস করে তাকে কোথা থেকে আনা হয়েছে। তখন সে জানতে পারে সে তার বাসার সামনে এসে চিৎকার করে মাঠিতে পরে যায়। বাসার সবাই দৌড়ে গিয়ে দেখেন সে অজ্ঞান হয়ে মাঠিতে পরে আছে । এরপর থেকে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পড়ে ভঁয় পেতো। ভঁয়ে ঘুমের মধ্যে দেখতো কে যেন তাকে মারতে আসছে। পরে তার বাবা তাকে এক হুজুরের কাছে নিয়ে যান। হুজুর একটা ফুঁ দিয়ে তার ডান হাতে একটা তাবিজ পড়িয়ে দেন। আর কখনও যেন সেই তাবিজ সে না খুলে এই কথা বলেন। পরে আস্তে আস্তে সে ঠিক হয়। সে ভাল হওয়ার পর একদিন এই ঘটনা আমাকে বলে। এই ছিল আমার আমার বন্ধুর সাথে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ একটি ঘটনা।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যপার। তবে এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ দ্বায়ী নহে ।