
ভূত গল্প – ১০
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আমার পরিবারে আমার কাকুর সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
যদি ঘটনাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগে তবে শেয়ার করবেন প্লিজ ।
আমি কথা না বাড়িয়ে সরাসরি আমার ঘটনায় চলে যাচ্ছি।
আমার নাম অমিত।
আমি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছি।
আমার জন্মের আগেই আমার কাকু মারা যান ।
উনার মৃত্যুর প্রায় অনেক বছর হয়ে হয়ে গেছে ।
কাকুর সাথে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি আমার মায়ের মুখ থেকে শুনা।
আমার বাবা এবং কাকু তারা দুইভাই ছিলেন।
এবং তাদের একমাত্র নয়নের মনি ছিলেন আমার ছোট পিসি। কাকু বেশি পড়ালেখা করেননি উচ্য মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরে তিনি ব্যবসা করবেন বলে বাবাকে জানান। কাকুর আগ্রহ দেখে বাবা ও বাঁধা দেননি ।
তিনি রাজি হয়ে গেলেন। বাবা কাকুকে শুধু একটা কথাই বললেন যাই করো না কেন সৎভাবে উপার্জন করার চেষ্টা করবে। কাকু ব্যবসা বাণিজ্য বেশি পছন্দ করতেন। তাই বাবার কথা মেনে নিলেন। বাবা বেশ কিছু টাকা দিতে চাইলেন। কাকু নেন নি তিনি বললেন ওই টাকা সৃষ্টির বিয়ের জন্য রেখে দাও ( সৃষ্টি হলেন আমার ছোট পিসি)
তিনি চেয়েছিলেন কারো সাহায্য ছাড়া নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে।
কাকু বাবার ও কোনো সাহায্য নিতে চান নি।
তবে কাকুর এক বন্ধু ছিলেন নির্মল কাকু।
তিনি কাকার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে একজন। তিনি আর কাকু মিলে যৌথ ব্যবসা করেন।
নির্মল কাকুকে বাবা তেমন একটা পছন্দ করতেন না। এর একটা কারণ ও রয়েছে ।
তিনি অবৈধ ব্যবসা করে পুলিশের কাছে ধরা পরে জেলে যান। এরপর থেকে বাবা তাকে কখনও ভালো চোঁখে দেখেন নি। যখন ই নির্মল কাকু আমাদের বাড়ীতে আসতেন বাবা কখনও উনার সামনে আসতেন না।
আমার কাকু এবং নির্মল কাকু তারা ঠিক করলেন ঢাকা গিয়ে কাঠ গাছের ব্যবসা করবেন।
পরে তারা সেই ব্যবসা শুরু ও করেন।
তারা বিভিন্ন যায়গা থেকে কাঠ গাছ সংগ্রহ করে বিভিন্ন মিলে সাপ্লাই দিতেন। কাকুর ব্যবসাটা ভালই চলছিল।
হঠাৎ একদিন কাকু খেয়াল করলেন তার অর্ডারের চেয়েও বেশি কাঠ মিলে যাচ্ছে। পরে তিনি বুঝতে পারেন এটা নির্মল কাকুর কাজ। পরে তাদের ব্যবসা আলাদা করে ফেলেন। কাকু একা নিজে ব্যবসা করতে থাকেন এবং পরবর্তীতে তিনি প্রচুর টাকার মালিক হয়ে যান।
তখন ছোট পিসির বিয়ের কথা বার্তা চলছিল।
পরে ভালো পরিবারে বিয়ে হয়ে যায় ছোট পিসির ।
কাকু আর বাবা অনেক টাকা খরচ করে পিসির বিয়ে দেন।
পিসির বিয়ের কিছুদিন পরেই ঘটে সেই ঘটনাটা ।
যেটা কেউ মেনে নিতে পারছিলেন না ।
ঢাকা থেকে একটা খবর আসে কাকু মারা গেছেন।
খবর পেয়ে বাবা ছোটে যান, গিয়ে হাসপাতালের মর্গে পরে আছে কাকুর লাঁশ । ডাক্তারের কাছ থেকে জানা যায় কাকুর শরীরে বিঁষ পাওয়া গেছে এবং সেটা কেউ ইচ্ছে করে খাবারের সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।
বাবা এই কথা শুনে ভীষণ ভেঁঙ্গে পড়েন ।
পুলিশ উনাকে শান্তনা দেন এবং বলেন আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। আমাদের কাজ শেষ আপনি লাঁশটি নিয়ে যেতে পারেন। পরে বাবা অ্যাম্বুলেন্স করে কাকুর লাঁশটি বাড়িতে নিয়ে আসেন। কাকুর মৃত্যুর খবর পেয়ে ছোট পিসি কাঁদতে কাঁদতে আমাদের বাড়িতে আসেন।
সব নিয়ম কানুন শেষে কাকুর লাঁশটিকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল হঠাৎ বৃষ্টি নামবে এরকম অবস্থা। তাই দ্রুত ও কাকুর লাঁশটিকে শ্মশানে মূখ আগ্নি করেন কিছুক্ষণ থাকার পর বৃষ্টি আসবে দেখে বাবা সহ সবাই চলে আসেন।
তখন প্রচুর বৃষ্টি নামে।
পরের দিন রাতে একজন শ্মশানের পাঁশ দিয়ে আসছিলেন তিনি নাকি কাকুকে শ্মশানের ভিতর কাঁদতে দেখেন।
তিনি ভঁয় পেয়ে সেখান থেকে দৌড়ে চলে যান।
ঠিক একই কথা গ্রামের আরেকজন লোক বলেন।
একদিন বাবা স্বপ্নে দেখেন কাকু কাঁদতে কাঁদতে উনার কাছে আসেন এবং বলেন আমি বড় কষ্টে আছি দাদা ।
অনেকবার এই কথাটি বলেন । পরে বাবার ঘুম ভেঁঙ্গে যায়।
তিনি সব কথা মাকে বলেন। মা সব কথা শুনে বাবাকে বলেন একজন পুরোহিতকে ডেকে এর কোনো কারণ জানা যেতে পারে।
এর মধ্যে আরেকটি ঘটনা ঘটে কাকুর মৃত্যুর পর থেকে রোজ রাতে নাকি ঘুমানোর জন্য চোঁখ বন্ধ করলেই চোঁখের সামনে কাকুকে দেখতে পান নির্মল কাকু।
কাকুর শরীরে আগুন জ্বলছে আর একটি মশাল নিয়ে নিমর্ল কাকুকে মারার জন্য কাকু নাকি এগিয়ে আসেন।
কথায় আছে পাপ কখনো চাপা থাকেনা নির্মল কাকু নিজেই পুলিশের কাছে গেলেন এবং কাকুর খাবারে বিঁষ দিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। এই কথা শুনে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আদালতের রায়ে তার ফাঁসি কার্যকর হয়।
এদিকে বাড়িতে পুরোহিতকে ডেকে জানতে পারেন কাকুর লাঁশ নাকি পুরোপুরি অন্তিম সংস্কার হয়নি। সেদিন বৃষ্টি চলে আসে এবং বৃষ্টির পানিতে নাকি আগুন নিভে যায়।
পুরো শরীরের মধ্যে ৩০% পুড়লে ও বাকি ৭০% পুড়েনি।
পরে বাবা একা শ্মশান ঘাটে যান এবং কাকুর অর্ধ পুড়া দেহটাকে আবার নতুন করে আগ্নি করেন।
যতক্ষণ পর্যন্ত পুরো দেহ পুড়ে ছাঁই হয়নি ততক্ষণ পর্যন্ত বাবা সেখানে দাড়িয়ে ছিলেন। পরে তিনি কাকুর আবচ্ছা মুখ দেখতে পান এবং কাকু মুচকি হাঁসি দিয়ে বাবার কাছ থেকে বিদায় নিলেন। পরে কেউ আর কোনোদিন কাকুকে দেখেননি। এই ছিল আমার মায়ের মুখ থেকে শুনা ঘটনা ।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করতে পারেন আবার না ও করতে পারেন ।
তবে আমরা আপনাদের কাছে সত্য ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করি। এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ দ্বায়ী নহে ।