ভূত গল্প – ৯
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আসসালামুআলাইকুম,
আমার নাম হাবিব।
আমার বাড়ি সিলেট বিভাগের একটি গ্রামে।
আমি আমার আত্নীয়ের নাম বা গ্রামের নাম
ব্যাক্তিগত সমস্যা থাকার কারণে প্রকাশ করতে পারছি না।
তার জন্য আমি দুঃখিত।
আমি আমার ঘটনাটি শুধু শেয়ার করতে চাচ্ছি।
এটি ১৯৮৫ ইংরেজীর একটি ঘটনা ।
আমি সরাসরি আমার ঘটনায় চলে যাচ্ছি।
আমাদের পরিবারে আমার দাদার মায়ের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
সম্পর্কে উনি আমার বড় মা ।
ঘটনাটা আমার দাদা আমার সাথে শেয়ার করেছেন ।
তাই আজ আমি আপনাদের কাছে সেটা শেয়ার করবো ।
ঘটনাটি যদি ভালো লাগে অবশ্যই পড়ে শুনাবেন।
আমার দাদার বাবা ছিলেন একজন হুজুর।
তিনি জ্বীন বা খারাপ কিছু তাড়ানোতে খুবই অভিজ্ঞ ছিলেন।
গ্রামের কারো কোনো সমস্যা হলে, কাউকে জ্বীনে ধরলে উনাকে সবাই ডেকে নিয়ে যেতো। কারণ আশে-পাশের
গ্রামগুলোতে উনার মতো এতো অভিজ্ঞ সম্পন্ন ব্যক্তি কেউ ছিলেন না। তাই সবাই উনাকে এক নামে চিনতো।
বাড়ির ভিতরে তিনি কারো কোনো চিকিৎসা করতেন না।
তিনি সরাসরি রুগীর বাড়ীতে গিয়ে চিকিৎসা করতেন।
তিনি যখন বাড়ীর বাহিরে যেতেন তখন পুরো বাড়ী ফু দিয়ে বন্ধ করে যেতেন। কারণ খারাপ কোনো কিছু যাতে বাড়ীর কারো ক্ষতি না করে সে জন্য তিনি বাড়ী বন্ধ করে যেতেন।
তিনি ভালো করে জানতেন উনার কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা। উনার পরিবারের লোকদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। তিনি যখনই বাহিরে যেতেন বরাবরের মতই বাড়ী বন্ধ করতেন। একদিন রাতে গ্রামের একজন লোক আসলেন বাড়ীতে উনার স্ত্রীকে নাকি খারাপ জ্বীনে ধরেছে।
তিনি তাড়াহুড়ো করে দাদার বাবাকে নিয়ে যান উনার সাথে করে। আর তাড়াহুড়ো করে তিনিও ভুলে গেছেন বাড়ী বন্ধ
করতে। যখন ঐ বাড়ীতে পৌছান তখন দেখলেন ওই লোকের স্ত্রীর দেহে সত্যি সত্যি খারাপ ভর করেছে।
ঐ মহিলা নাকি সন্ধ্যার মূহুর্তে বাড়ীর পুকুরে পানি আনতে যান। তারপর থেকেই উল্টো পাল্টা কথা বলা শুরু করেন।
নিজের স্বামীকে সন্তানদের তুই তুকারি করছিলেন।
পরে দাদার বাবা উনার শক্তির মাধ্যমে তিনি ঐ খারাপ জ্বীনটাকে ঐ শরীর থেকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
এক পর্যায়ে সেই জ্বীন ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়।
তখন ঐ খারাপ জ্বীন যাওয়ার সময় বলে যায় তোকে আমি কিছু করতে পারবোনা ঠিকিই কিন্তুু তোর পরিবারের ক্ষতি করবো আমি। যাচ্ছি আমি তোর বাড়ীতে।
দাদার বাবা খুব রাগী ছিলেন তিনিও বললেন যা পারিস কর গিয়ে। দেখি তুই কি করতে পারিস আমার।
এই কথা বলার পর ঐখান থেকে জ্বীনটা চলে যায়।
তখন দাদার বাবার হঠাৎ খেয়াল হলো লোকটার তাড়াহুড়ো করে উনাকে নিয়ে এসেছে।
উনি বাড়ী বন্ধ না করেই এখানে চলে এসেছেন।
পরে তিনি দ্রুত ও বাড়ীর দিকে রওনা হলেন।
এরই মধ্যে দাদার বাবার রূপ ধরে বাড়ীতে এসে দাদার মাকে নাম ধরে ডাকতে লাগলো এবং বাহিরে আসার জন্য বললো। কারণ খারাপ জ্বীনটা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেনা কারণ বাড়ীর সীমানা বন্ধ না হলেও কি হবে।
বাড়ীর প্রতিটা ঘর বন্ধ করা ছিল ।
যাইহোক দাদার বাবার রূপ ধরে আসা জ্বীনটার ডাক দাদার মায়ের কানে যায়।
ডাক শুনে তিনি অনেক অবাক হলেন। আরো অবাক হলেন যখন ঘরের বাহিরে বের হওয়ার কথা বললো ।
দাদার বাবা সংসার জীবনের এতো বছর পার করলেন, আগে কোনোদিন এইভাবে রাতে বের হওয়ার জন্য ডাকেননি তাকে । এই প্রথম তা ঘটলো ।
আর সবচেয়ে বড় আশ্চর্জের কথা হলো উনার নাম ধরে কোনোদিন ডাকতেন না ।
দাদার মা একটা হারিকেন হাতে নিয়ে বের হলেন।
হঠাৎ দমকা বাতাস এসে হারিকেনের আগুনটা নিভিয়ে দিল।
দাদার মাকে ছুড়ে বাড়ির পুকুরপাড়ে ফেলে এবং তিনি চিৎকার করে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যান।
এর মধ্যেই বাড়ীর সবাই দৌড়ে চলে আসেন পুকুরপাড়ে,
এসে দেখেন দাদার মা সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন।
পরে উনাকে ঘরে নিয়ে যান এবং কিছুক্ষণ পরে উনার জ্ঞান ফিরে। ততক্ষণে দাদার বাবা বাড়িতে চলে আসেন।
তিনি এই অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে।
দাদা বললেন হঠাৎ পুকুরপাড় থেকে মায়ের চিৎকার শুনে আমরা দৌড়ে যাই গিয়ে দেখি মা মাঠিতে পড়ে আছেন।
দাদার মা সবার সামনে পুরো ব্যাপারটা খুলে বলেন।
স্বামীর ডাকে তিনি বাহিরে আসেন আর মনে হচ্ছিল কে যেন উনাকে ছুড়ে ফেলেছে পুকুরপাড়ে চিৎকার করার পর আর কিছু মনে নেই।
দাদার বাবা বিষয়টি বুঝতে পারেন।
এইটা একমাত্র ঐ খারাপ জ্বীনের কাজ হতে পারে ।
কারণ সে খুব ক্ষিপ্ত হয়ে দাদার বাবাকে বলেছিল প্রতিশোধ নিবে সে।
এরপর থেকে দাদার মা রাতে ঘন ঘন খারাপ স্বপ্ন দেখতেন।
পরে দাদার বাবা যতদিন পর্যন্ত জীবিত ছিলেন তিনি পুরোপুরি সম্পূর্ণ বাড়ী বন্ধ করে দেন।
এরপর থেকে দাদার মা আর কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখেননি যতদিন দাদার বাবা বেঁচে ছিলেন।
কিন্তুু দাদার বাবার মৃত্যুর পর রাত ৩ টার পরে প্রায়ই পুকুরপাড়ে দাদার মায়ের মতো একজনকে বসে থকতে দেখতো। গ্রামের কেউই সাহস করতো না কাছে যাওয়ার ।
দাদা বিষয়টি নিয়ে ভাবতেন যে ঐ খারাপ জ্বীনটা তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতো নাকি দাদার আত্না বাড়ীকে পাহারা দিচ্ছেন।
তা আজীবন অজানাই থেকে গেল দাদার কাছে।
এর কোনো উত্তর তিনি পাননি।
এই ছিল আমার দাদার মায়ের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করতে পারেন আবার না ও করতে পারেন ।
তবে আমরা আপনাদের কাছে সত্য ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করি। এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ দ্বায়ী নহে ।