KiHobe Latest Questions

Ashit Sharkar
  • 0

তিন ডিটেক্টিভ কিভাবে তাদের মিশন কমপ্লিট করেছিল ? পর্ব ১

  • 0
তিন ডিটেক্টিভ কিভাবে তাদের মিশন কমপ্লিট করেছিল ? পর্ব ১

Leave an answer

You must login to add an answer.

3 Answers

  1. তিন ডিটেকটিভ -পর্ব-১

    তিন ডিটেকটিভ-পর্ব -১  (three detective ) আজব গুজব গল্প সিরিজ

    তিন বন্ধু, পাবেল,মন্টু, রাজু। তিনজনই একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র।

    – পাবেল
    – বাবা ইন্সপেক্টর নারকোটিস, গোয়েন্দা বিভাগের চাকরি। তিন বছরের বেশি কোন জায়গায় থাকা হয়না। তিন বছর পর পর বদলি, তাও বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে। মোটামুটি অনেকটাই স্বচ্ছল পরিবারের ছেলে পাবেল। টাকা-পয়সা ফ্যামিলি কন্ডিশন সবই খুবই ভালো। নবম শ্রেণীর মাঝামাঝি তার বাবার চাকরীর বদলি চিটাগাং থেকে সিলেটে।

    এই প্রথম তার সিলেটে আসা।মূল বাড়ি  কিশোরগঞ্জ।কিছুটা নীরব প্রকৃতির হলেও অনেকটাই কৌতুহলী ছিল।পড়াশুনায়  ছিল খুবই ভালো।বদলি জনিত কারণে প্রায়  চারটাস্কুল পরিবর্তন করতে হয়েছে। অবশ্য সরকারি চাকরি আর তার বাবার পাওয়ারের কারনে যেকোনো সময় যেকোনো স্কুলে গিয়ে ভর্তিও হতে পারে সে। সিলেট আসার পর ভর্তি হলো রাইফেলস স্কুলে।

    – মন্টু
    – খুবই সাধারন পরিবারের ছেলে। তার বাবা ছিলেন কাঠমিস্ত্রি।এক ধরনের দিনমজুরই বলা চলে।তবে মন্টু পড়াশোনা খুবি ভালো ছিল।পঞ্চম শ্রেণী এবং অষ্টম শ্রেণীতে দুবারই ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পেয়েছে সে। দুষ্টুমিতে ছিল সবার উপরে, তেমনি অনেক সাহসী ও।

    কোন দিকেই যেন কোন কিছুতেই কম যায়না সে।ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই সে রাইফেলস স্কুলের ছাত্র।বাড়ি সিলেটের এক অজ পাড়াগাঁয়ে।মা বাবার একমাত্র ছেলে মন্টু,বাবা মা স্বপ্ন দেখতেন যে ছেলে তাদের মুখ উজ্জ্বল করবে।

    – রাজু
    – বড়লোকের আলালের ঘরের দুলাল বলতে যা বুঝায় তা হচ্ছে রাজু।পড়াশুনায় খুবই কাঁচা। সারাদিন বই নিয়ে বসে থাকতো কিন্তু পরীক্ষায় দু তিন বিষয়ের বেশি পাশ করতে পারত না।তার বাবার অনেক পাওয়ার, তাই কোনরকমে ব্রেঞ্চ পাস করে ক্লাস চেঞ্জ করে এইবার সে নাইনে।ব্যক্তি হিসেবে খুবই সৎ এবং অনেক ভীতু। সেও রাইফেলস স্কুলের ছাত্র।

    – মন্টু ও রাজু প্রায় চার বছর ধরে এক স্কুলে পড়ছে। মন্টু অনেক মেধাবী হওয়ায় রাজুর বাবা সবসময় রাজুকে বলতেন মন্টুর পাশে বসতে। কৌশলে তিনি রাজুকে সব সময় মন্টুর পাশে রাখতেন। কেননা মন্টু ছিল অসম্ভব ট্যালেন্ট যে কিনা বিভাগীয় ভাবে স্ট্যান্ড করা একজন ছাত্র। সকলের মুখে তার প্রশংসা।

    কিন্তু রাজু মন্টুর পাশে বসতে চাইত না। মন্টু ছিল খুবই দুষ্টু যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।মন্টুকে রাজুর প্রায় অসহ্য লাগত কিন্তু তার বাবার চাপে তাকে মন্টুর পাশে বসতে হতো।

    – নবম শ্রেণীর মাঝামাঝি,ফাইনাল রেজিস্ট্রেশন শেষ   হওয়ার কয়েকদিন আগে পাভেল স্কুলে আসে।প্রথম যেদিন পাবেল স্কুলে আসে, তখন প্রধান শিক্ষক পাভেলকে নবম শ্রেণীর কক্ষে নিয়ে যান এবং সবার সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন।সব ছাত্র-ছাত্রীরা বছরের মাঝখানে এসে একটি ছাত্র ভর্তি হওয়ায় তারা রীতিমত ওইটা নিয়ে মনে মনে হাসি ঠাট্টা করতে থাকলো।

    কেননা কিছুদিন পর পরীক্ষা, সে কিভাবে কি পরীক্ষা দিবে আর কি বা পড়বে। একটা স্কুলের সাথে তো মানিয়ে নিতেই প্রায় কয়েক মাস সময় লেগে যায় অনেকের।পরবর্তীতে পাবেলও রীতিমত স্কুলে আসা শুরু করে এবং সেও তার মেধার পরিচয় দিয়ে মন্টুর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যায়। মন্টু চেয়েও যেন পাবেলও কোন অংশে কম নয়।

    দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় পাভেলের রেজাল্ট ও নবম শ্রেণীর মধ্যে একটা আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রায় মন্টুর সমান সমান রেজাল্ট পাভেলের।সবাই পাভেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখর হতে লাগলো। যে রাজ্যে আগে মন্টু একা রাজত্ব করত সে রাজ্যে এখন পাভেলও  ভাগ বসালো।ব্যাপারটা মন্টু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না,তারমনে হিংসা বাসা বাঁধতে শুরু করলো।

    – মন্টু প্রায় সময় বিভিন্ন কাজে পাবেলের বিরোধিতা করতে লাগলো। পাবেলের সাথে কারণে অকারণে ঝগড়া, এমন কি মারামারি পর্যন্ত করল।এমনকি মন্টু পাভেলকে বিভিন্ন চক্রান্ত এবং ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করত।অবশ্য পাবেল ছিল অনেক চালাক সে তার চালাকি ও বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে সেই জিনিসগুলা সামলে নিত।আস্তে আস্তে পাবেল ও মন্টুর মধ্যে খুবই খারাপ একটা সম্পর্ক তৈরি হতে লাগল।তাদের মাঝে থাকতো নিরব রাজু। সে প্রায় সময় পাবেলের পক্ষ নিয়ে মন্টুকে বুঝাতো কারন সে জানতো ভুলগুলো সব মন্টুই করছে।

    তিন ডিটেকটিভ – পর্ব -২ 

    For buy and sell