ভূত গল্প – ৩
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
ভূত গল্প – ৩
এই ঘটনাটি ২০০২ সালের ডিসেম্বরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা ।
আমি এই ঘটনাটি অনলাইন ম্যাগাজিন আজব গুজব ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরছি ।
আমাদের গ্রামের বাড়ীর একটি ঘটনা।
যা আজও আমি চোখ বন্ধ করলে সেই দৃশ্যটা আমার চোখে ভেঁসে ওঠে। আমার নাম মুহিবুর(ছদ্মনাম) । আমাদের বাড়ীর পিছনের দিকটার সীমানায় দেয়াল দেওয়া ছিল। এবং টিউবল টা বাড়ীর পিছনেই ছিল এবং সেই দেয়ালের পিছন দিকটা বাঁশ ঝাড়ে ভর্তি ছিল। সেখানে একটা ছোট মাজার ছিল। গ্রামের সবাই মাজারের দেখাশোনা করতো একজন খাদিম ও ছিলেন । যদি কেউ সিন্নি মানত করতো তাহলে যোহরের নামাজের পরে বা বিকেলে আসরের নামাজ শেষে ঔই মাজারে এসে সবাইকে ডেকে সিন্নি দিতো।
এক কথায় দিনের যে কোনো সময় মাজারের সামনে এসে সিন্নি বিতরণ করতো। আমাদের বাড়ীর কেউ রাতে টিউবল থেকে পানি আনতে যেতেন না যদিও যেতেন সাথে কাউকে নিয়ে যেতেন এর একটা কারণ ছিল । কখনও একা কেউ যেতেন না। মাঝরাতে আমরা অনেকের কোলাহল শুনতাম। ওই কোলাহলটা মাজার থেকে আসতো।
এবং একটা বিষয় আমরা সবাই লক্ষ্য করতাম মাঝরাতে বাড়ীর পিছনের দিকটা থেকে গরম বাতাস আসতো আমাদের বাড়ীতে। আমরা আমাদের গ্রামের মসজিদের ইমাম সাহেবকে বিষয়টি জানাই। তিনি ষ্পট করে কিছু বলেন নি শুধু বললেন কোনো সমস্যা নেই কারো কোনো ক্ষতি হবে না। তবে একটা কথা মাঝরাতে কখনও টিউবলের পানি আনতে যাবেন না। কারণ এই সময়টা না যাওয়াই ভালো। ওই সময়টা অন্য জাতি অঁযু করতে আপনাদের টিউবলে আসে।
এই কথা শুনার পর কেউ রাতে পানি আনতে টিউবলে যান না। একদিন সকালে গ্রামে অনেক হই চৈ পরে গেল। গ্রামের সকল পুরুষ মহিলা সবাই ছুটে যাচ্ছে গ্রামের রাস্তা দিয়ে আর বলাবলি করছিল, মাঠের দাঁড়ের দীঘির পারের একটা বড় উচু গাছে এক মহিলা বসে আছে একটি ডালে এবং সে বড় বড় ডালপালা হাত দিয়ে সবার চোখের সামনে ভেঁঙ্গে ভেঁঙ্গে ফেলছে এবং নিজের চুল ছিড়ছে। চুলগুলো ছাড়া এবং এলোমেলো ছিল সেই মহিলার চুলগুলো লম্বা ছিল । সেই মহিলার ৫ বছরের বাচ্চাটা গাঁছের নিচে বসে কাঁদছে ।
সেখানে অনেক লোকজন জড়ো হয়। একজন হুজুর ও সেখানে উপস্থিত হোন। তখন সবাই বলতে থাকে মহিলাটাকে জ্বীনে ধরছে । সেখানে ওই মহিলার স্বামী ও উপস্থিত ছিল সে ভঁয়ে বাচ্চার কাছে যাচ্ছে না। বাচ্চাটা শুধু কেঁদেই চলেছে। তখন গ্রামের একজন যুবক বলে গাছের গুড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে জ্বীন মহিলাকে ছেড়ে দিবে।
তখন হুজুর নিষেধ করলেন এটা কখনও করতে যেওনা, তাহলে মহিলাটি মারা যাবে। তখন হুজুর জানতে চাইলেন মহিলার স্বামীর কাছে কিভাবে কি হয়েছে। তখন ওই মহিলার স্বামী বললেন খুব ভোরে অন্ধকার ছিলো ফজরের আযান ও হয়নি তখন মহিলার স্বামী এবং মহিলা মাঠে ধান নেড়ে দেওয়ার জন্য আসেন কারণ রৌদের গরম তাপ শরীরে লাগার আগেই যদি ধান গুলো মাঠে মেলে দিতে পারেন তাহলে রৌদের তাপে আর কষ্ট করতে হবে না। তখন মহিলার স্বামী মুখ ধুঁয়ার জন্য দিঘীতে যান আর উনার স্ত্রীকে বলেন তুমরা মাঠে যাও আমি মুখ ধুঁয়ে আসছি।
পরে উনার স্ত্রী যখন মাঠে গেলেন তখন হঠাৎ একটা চিৎকার করেন এবং তার চোঁখের সামনে শূন্যে উড়ে ওই গাছের মগডালে এসে বসেন । আর বাচ্চাটা মাঠিতে বসে আছে। পরে বাচ্চা কাঁদতে কাঁদতে গাছের নিচে চলে যায় । তখন আমি ভঁয়ে আর ওদের কাছে যাইনি।
আর একটু বেলা বারার সাথে সাথে সবাই এসে ভীড় জমাতে থাকে। হুজুর সব কথা শুনার পরে বলেন ঠিক আছে আমি দেখছি কি করা যায়। এই কথা বলে হুজুর চলে যান।
পরে হুজুর মসজিদে চলে যান, এবং তিনি ওই জ্বীনকে ডাকেন এবং কেন সে এই কাজ করেছে তা জানতে চান। তখন ওই জ্বীন হুজুরকে বলে কেন সে তাকে শাস্তি দিচ্ছে। পরে হুজুর বললেন ওই মহিলাকে ক্ষমা করে দিতে।
যোহরের নামাজ পরে তিনি আবার আসেন এবং ওই মহিলার স্বামীকে আলাদা ডেকে নিয়ে বলেন। তোমার স্ত্রী না বুঝে একটা ভূল করে ফেলেছে। তোমরা যখন এখানে আসো তখন ফজরের আযান হয়নি ওই জ্বীন অযু করে এসে নামাজ পড়ছিল ওই মাঠের কোনে তোমার স্ত্রী তার নামাজের সামনে চলে আসে এবং তার ছাঁয়ায় পা দেয়। তবে চিন্তা করোনা আমি বলেছি তাকে ক্ষমা করে দিতে। যখন মাগরিবের আযান হবে তোমার স্ত্রীকে ছেঁড়ে দিবে। তুমি বাড়ী চলে যাও আর এ নিয়ে তোমার স্ত্রীর সাথে কোনো কথা বলো না। সে সব কিছু ভূলে যাবে। তখন লোকটা চলে গেল।
গ্রামের লোকেরা ও চলে গেল এক পর্যায়ে । আবার বিকেল বেলায় মাগরিবের আযানের সময় কিছু লোক জড়ো হলো। তখন আমি ও সেখানে উপস্থিত হই আমার চাচার সাথে তখন আমি যে দৃশ্যটা দেখতে পাই তা আজও ভুলতে পারিনি। যখন মাগরিবের আযান হয় তখন গাঁছের মগডাল থেকে ওই মহিলা মাঠিতে পরে যান কিন্তুু তার দেহের কোনো হার ভাঁঙ্গেনি।
এতো উচু গাঁছ থেকে মাঠিতে পরে তার কিছুই হয়নি এই বিষয়টি আমাকে অবাক করে। পরে ওই মহিলা তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বাড়ীতে চলে যান। অনেকেই এই দৃশ্যটা থাকিয়ে দেখে এবং অবাক হয়। এই ছিল আমার দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ একটি ঘটনা যা আমি আজও ভুলতে পারিনি।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যপার। তবে এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ দ্বায়ী নহে ।
ভূত-গল্প-১
ভূত গল্প-২