ভূত গল্প -৫
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
এই ঘটনাটি আমার বন্ধুর বড় ভাইয়ের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা ।
আমি এই ঘটনাটি অনলাইন ম্যাগাজিন আজব গুজব.কম ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি । ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আমার বন্ধুর বড় ভাইয়ের নাম নয়ন (ছদ্মনাম) তিনি নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ইন্ডিয়া যান। এবং সেখানে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন। তিনি পড়াশুনায় খুব ভালো ছিলেন। বলতে গেলে পড়া পাগল মানুষ, সারাক্ষণ পড়া নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
তখন সেখানে তিনি কি করছেন না করছেন সব কথা আমার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতেন। তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে ভীষণ মিল ছিল। বয়সে বড় হলেও নয়ন ভাই তার ছোট ভাইয়ের সাথে বন্ধুর মতো আচরন করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়েত খন উনার সাথে অনেকের পরিচয় হয়।
ছেলে বন্ধুর পাশাপাশি কয়েকজন মেয়ে বান্ধবির সাথে বন্ধুত্ব হয়। তার মধ্যে একটি মেয়ে ছিল খুবই সুন্দর। সেই মেয়েটা হিন্দু ধর্মের ছিল এবং মর্ডান টাইপের মেয়ে। সে মনে মনে নয়ন ভাইকে পছন্দ করতো।একদিন সেই মেয়ে তার ভালোবাসার কথা প্রকাশ করে নয়ন ভাইয়ের সামনে। নয়ন ভাই ও অনেক ফর্সা এবং হ্যান্ডসাম ছিলেন।
কিন্তুু নয়ন ভাই ওই মেয়েকে শুধু বান্ধবি হিসাবে দেখতেন। তিনি কোন ভাবেই মেয়েটাকে ভালোবাসার মানুষ হিসাবে মেনে নিতে পারছিলেন না। একে মেয়েটা হিন্দু দ্বিতীয়ত সে পার্টি ক্লাব বেশি পছন্দ করতো। নয়ন ভাই এইসব কিছুই পছন্দ করতেন না।
পড়ালেখা শেষ করে নয়ন ভাই বাংলাদেশে চলে আসেন। দেশে ফেরার পর প্রথম প্রথম ভালই ছিলেন। হঠাৎ করেই একটা সমস্যা দেখা দিল। নয়ন ভাই নিজেকে সারাক্ষণ একটি রুমে বন্ধি করে রাখতেন । রুম থেকে বের হতেন না।
মাঠিতে আসন পেতে বসে থাকতেন এবং অদ্ভুদ ব্যপার হলো তিনি যে যায়গায় বসতেন সেই যায়গায় লাল একটা মার্কার দিয়ে বৃত্তের মতো করে সেই বৃত্তের মধ্যখানে তিনি বসতেন। রুমের লাইট নিভিয়ে শুধু মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতেন।
একটা কথা বলতে ভুলে গেছি যখন নয়ন ভাই দেশে ফিরে আসেন তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করে আমার বন্ধু। নয়ন ভাই হিন্দু ধর্মের মানুষের মতন আচরণ করতে শুরু করেন । একদিন নিজের হাত ছুরি দিয়ে কেঁটে হাতের রক্ত দিয়ে মেঝেতে শুধু ওই মেয়েটার নাম লিখতেন।
শরীর থেকে রক্ত যেতে লাগলে এক পর্যায় হঠাৎ তিনি অজ্ঞান হয়ে যান । পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। নয়ন ভাইয়ের জ্ঞান ফেরার পর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি এসব কেন করছেন। কিন্তুু উনার কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে যান। তিনি নিজেই জানেন না তিনি কি করেছেন।
নয়ন ভাই হাসপাতালে থাকতে চান না তাই তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরে নয়ন ভাইকে সাথে নিয়ে তার বাবা পরিচিত একজন হুজুরের কাছে যান হুজুরকে সব খুলে বলেন ওই হুজুর সবকিছু শুনে তিনি আরেকজন বড় হুজুরের কথা বলেন উনার কাছে নিয়ে যেতে।
পরে সেই হুজুরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। হুজুর নয়ন ভাইকে ভালো করে দেখলেন, দেখলেন নয়ন ভাইয়ের মাথায় রংয়ের মত লাল রং এর একটা ফোটা দেওয়া। সেটা ছিল তাকে বশ করার জন্য।
বাসার কেউ সেটা খেয়াল করেন নি। পরে তিনি তাকে পানি পড়া খাইয়ে একটা ফু দিয়ে দিলেন এবং কিছু জিনিস দিলেন এবং বললেন সেগুলো নিয়ে বাসার চার কোণায় মাঠির নিচে পুতে রেখে দিতে এবং সবাই যেন নয়ন ভাইয়ের উপড় খেয়াল রাখেন।
পরে হুজুর নয়ন ভাইয়ের বাবাকে বলেন কে যেন নয়ন ভাইকে কালো যাঁদু করেছে। তখন সব কথা খুলে বলেননি হুজুর। শুধু বললেন তাকে ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। কারণ কালো যাঁদুর প্রভাবটা এতো বেশি যে যখন ওই কালো যাঁদুর প্রভাব তার উপড় পরে তখন সে তার নিজের মধ্যে থাকেনা।
তাকে অন্য কেউ বশ করে পুরোপুরি তার নিয়ন্ত্রণে করে ফেলে। বাসায় ফিরে আমার বন্ধু হুজুরের কথা মত বাসার চার কোণায় সেই জিনিসগুলো রেখে দেওয়া হয় । পরে ওই দিন রাতে নয়ন ভাই ছটফট করতে থাকেন বাসার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সবাই মিলে তাকে একটা রুমে আটকে রাখেন। কিন্তুু অদ্ভুদ ব্যপার হলো তিনি রুমের দরজার লক ভেঁঙ্গে ফেলেন হঠাৎ উনার এতো শক্তি দেখে সবাই অবাক হয়ে যান। তিনি দ্রুত রুম থেকে বেড়িয়ে বাসার বাহিরে যাওয়ার জন্য দৌড় দেন। বাসার মেইন গেইট আগে থেকেই তালা দেওয়া ছিল। শুধু ভিতরের ক্যাচিগেট টা তখন তালা দেওয়া ছিল না।
নয়ন ভাই সেই গেইট খুলে বের হয়ে মেইন গেইটের কাছে যেতেই আমার বন্ধু থাকে দৌড়ে গিয়ে তাকে আটকায়। তখন তার চোখ লাল হয়ে গিয়েছিল এবং সারা শরীর কালো হয়ে গিয়েছিল। সেদিন রাতে আর কারো ঘুম হয়নি। পরের দিন হুজুরকে বিষয়টা জানানো হয়।
হুজুর বললেন আমি প্রথমেই বলেছিলাম এতো তাড়াতাড়ি এই সমস্যাটার সমাধান হবে না কিছুদিন সময় লাগবে। আপনারা ওকে চোখে চোখে রাখবেন। নয়ন ভাইকে প্রতিদিন ফজরের আযানের সময় মসজিদে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেলেন হুজুর । হুজুর তখন আংকেল কে সব কথা খুলে বলেন।
একটা হিন্দু মেয়ে তাকে পাগল করে এই দেশ থেকে নিয়ে যেতে চায় এবং তাকে বিয়ে করার জন্য সেই মেয়েটি এইসব কিছু করছে। ওর উপড় কালো যাঁদু করেছে। সে সব কিছু ভুলে যেন তার কাছে ছুটে যায়। হুজুরের চিকিৎসায় পরে আস্তে আস্তে নয়ন ভাই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই ছিল আমার বন্ধুর কাছ থেকে শুনা ঘটনা।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যপার। তবে এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ দ্বায়ী নহে ।