KiHobe Latest Questions

Sarwar Hussain
  • 0

করোনাঃ সূর্যরশ্মি কি সমাধান?

  • 0
করোনাঃ সূর্যরশ্মি কি সমাধান?

Leave an answer

You must login to add an answer.

4 Answers

  1. অনেক কাজের কথাগুল। সবার জানা দরকার।

  2. করোনাঃ সূর্যরশ্মি কি সমাধান ?  -ডাঃ ফেরদৌস- যুক্তরাষ্ট্র।

    করোনাঃ সূর্যরশ্মি কি সমাধান একটি প্রশ্ন, চলোন এই প্রশ্নের কিছু উত্তর খোজ করি। চলোন বিজ্ঞান কি বলে পরিচিতি হই।
    উন্নত বিশ্বে বাইরে বেরোলেই দেখবেন যে আল্ট্রা-ভায়োলেন্ট-রে দিয়ে হাত পরিস্কার করা হচ্ছে। চায়নাতে বাসে মধ্যেও এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকই হেয়ার ড্রাইয়ের সাথে এই আলোর ব্যবস্থা করে ব্যবহার করছেন। আমরা জানি সূর্যের মধ্যে অনেক ধরনের রশ্মি রয়েছে, এ রশ্মির মধ্যে ৩ ধরনের রে রয়েছে যেমন টাইপ A টাইপ B টাইপ C, এবং সুর্য পৃথিবীর আসতে কয়েটি লেয়ার অতিক্রম করতে হয় যেমন এক্সোস্ফিয়ার,আয়োনস্ফিয়ার, থার্মোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার,ওজোন স্তর, স্ট্রাটস্ফিয়ারে, ট্রপোস্ফিয়ার, ভূ – পৃষ্ঠ। এই রশ্মিগুলোর মধ্যে ওজন-লেয়ারটা আমাদের খারাপ রশ্মি হতে রক্ষা করে। এই ওজন-লেয়ার যদি ডেমেজ হয় তাহলে সূর্যের খারাপ রশ্মিগুলো আমাদের পৃথিবীর সহজে চলে আসবে।

     

    এই রশ্মিগুলোর এসে কি করবে, উপরের চিত্রে আমাদের ত্বক একটা চিত্র দেওয়া হল যা থেকে বুঝা যাবে এই খারাপ রশ্মিগুলো আমাদের ত্বকের কি ক্ষতি করতে পারে।আমাদের ত্বকের কিছু লেয়ার আছে যেমন এপিডার্মিস, ডার্মিস এবং হাইপোডার্মিস এর পরে রক্ত থাকে।এই রশ্মিগুলোর আমাদের কোষের জেনেটিক সিকোয়েন্স গুলোকে নষ্ট করে দেয়। এই রশ্মিগুলো সাধারণ ৩ ধরনের হয়ে থাকে যেমন টাইপ A টাইপ B টাইপ C। এই ৩ ধরনের রশ্মির কথা বলতে গেলে বলা যায়।
    টাইপ A: টাইপ A হল সাধারন রশ্মি যেটা সবচেয়ে বেশি আমাদের ত্বক পর্যন্ত আসে এবং এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আসে ওজন লেয়ার ভেদ করে যা আমাদের ত্বকের বয়সে অবস্থাকে পরিবর্তন করে এবং ত্বকের রিংকের বারিয়ে দেয়, অনেক সময় কেন্সারের কারন হয়।টাইপ B সমান কাজ করে টাইপ A এর মত কাজ করে শরিরের DNA বদল করে যার কারনে সানর্বান হতে পারে এবং ত্বকের কেন্সারেও এটি সহযোগিতা করে। টাইপ C ওজন লেয়ার ভেদ করে যায়না। তাই মানব শরিরে এই টাইপ-সি এর ভূমিকা কিছুটা কম। টাইপ-সি হচ্ছে খুব পাওয়ারফুল যা মানুষের জেনেটিক এবং ভাইরাস ২টাকেউ শক্তভাবে ধ্বংস করে।
    টাইপ-সি যেহেতু জেনেটিক সিকোয়েন্স নষ্ট এবং ভাইরাস খুব ভালভাবে মারতে পারে তাই বিজ্ঞানিরা এটাকে নিয়ে কান করতেছেন।
    আমরা মাঝে মাঝে দেখি বাস, বিমান, হসপিটালে ব্লু রংগের একটা আলো দিয়ে ভাইরাস মুক্ত করার চেষ্টা করা হয়, কিছু ক্ষেত্রে পানি বিশুদ্ধ করনেও এটা ব্যবহার করা হয় এটাকে টাইপ-সি বা UVC বলা হয়।
    এখন মূল কথায় আসি করোনাভাইরাসে এটা কতটা কার্যকর তা নিয়ে এখন কোন স্টাডি হয়নি। তবে অনান্য ভাইরাস যেমন সার্সে এর এর কার্যকরী ভুমিকা খুবই ভাল।এটি ত্বকের চারদিকে এমন আবরন তৈরি করে যাতে কোন কোষ বিস্তার লাভ না করতে পারে।
    অনেকই প্রশ্ন করেন এটা দিয়ে কি পিপিই জীবানু মুক্ত করা যায় কিনা, হ্যাঁ যায় তবে এটি বিশেষ পদ্ধতিতে হাই এনার্জি দিয়ে করেতে হবে এবং বিশেষ ল্যাবে করতে হবে।
    তবে চায়নাতে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে তবে কতটুকু কাজ করতেছে সেটা সময় বলে দেবে।
    তবে সেটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করে ব্যবহার হচ্ছে তার নাম নাম ফারআল্ট্রাভাইলেট- সি। প্রাকৃতিক যে UVC আছে সেটা স্কিনে লাগলে স্কিন বার্ন হয়ে যাবে। চোখও নষ্ট হতে পারে।
    তবে আমাদের বাজারে যে আল্ট্রাভাইলেট-সি পাওয়া যায় সেটি মানুষের মাঝে এখনও ব্যবহার করা হয়নি সেটা থালাবাসন ও ফ্লোর ক্লিন ব্যবহার করা হয়।
    আরও বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটির শেষের অংশ দেখুন