স্যাটেলাইট যদি হ্যাক হয়ে যায়? – আজব গুজব
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
পৃথিবীতে প্রায় দুই হাজারের বেশি স্যাটেলাইট আছে যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে চলছে। তারমানে কি এমন একটা যুগে আমরা প্রবেশ করতে যাচ্ছি যা সীমাহীন বিনোদন, সীমাহীন যোগাযোগ এবং আনলিমিটেড ইনফরমেশনের যুগে। এমন একটা যুগ আমরা যা চাইবো তাই ইনস্ট্যান্ট পেয়ে যাব।
১৭২৯ সালে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র দিয়েছিলেন যে, যদি উত্তর মেরুতে কোন উঁচু পর্বতের চূড়ায় একটি কামান বসানো হয় এবং সঠিক উচ্চতা, কোণ এবং গতিতে এটি চালিত করেন তবে তোপটি পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে এবং এটি নিচে না পড়ে পৃথিবীর কক্ষপথে বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকবে, অবশ্যই, নিউটনের এ অনুমান রকেট আবির্ভাবের কয়েক শতাব্দী আগে। কিন্তু এই অনুমান এর উপর পরিক্ষা-নিরীক্ষা যা শেষ পর্যন্ত স্পুতনিকের দিকে আমাদের নিয়ে যায়। প্রথম কৃত্রিম স্যাটেলাইট, যা ১৯৫৭ সালের ৪ই অক্টোবর চালু হয়।
স্পুটনিক এরপর থেকে মানুষ স্যাটেলাইটের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে। উপভোগ বলে যে ধন্যবাদ জানাই যার কারণে আমি টেলিভিশন দেখতে পারি, আবহাওয়ার সঠিক খবর ও জলবায়ুর পর্যবেক্ষণ করতে পারি, জিপিএস ট্র্যাকিং এবং ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদনসহ বিভিন্ন সেবা পেয়ে থাকে। 2025 সালের মধ্যে, প্রতি বছর 1,100 টি উপগ্রহ চালু হতে পারে। তবে উপগ্রহের উপর আমাদের নির্ভরতা যেমন বাড়ছে, তেমনি ঝুঁকিও বাড়বে।
পৃথিবীতে অনেক চালাক লোক আছে যারা যাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়, যদি হ্যাকাররা প্রতিটি উপগ্রহ হাইজ্যাক করে, তারা কার্যকরভাবে আমাদের গ্রহটি বন্ধ করে দিতে পারে?
উপগ্রহ হ্যাক করা আপনি যেমন মনে করেন ততটুকু অস্বাভাবিক নয় এবং এটা খুব কঠিন কাজ নয়। এর কারণ হচ্ছে অনেকগুলো উপগ্রহের মেমোরি কার্যক্ষমতা ও ডাটা প্রসেসিং ক্ষমতা সীমাবদ্ধ এবং তারা ডেটা এনক্রিপশন ব্যবহার করে না।
স্যাটেলাইট ব্যবহারের খরচ কমানোর জন্য অফ দাসের প্রযুক্তিতে অনেক স্যাটেলাইট তৈরি করা হয় যা হ্যাকাররা এর ব্যবহৃত অংশগুলো বিশ্লেষণ করতে পারে তাই তারা বুঝতে পারে স্যাটেলাইটটি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে।
এর একটি উদাহরণ দিতে আমরা বলতে পারি ২০০৮ সালে হ্যাকাররা ৯ মিনিটের জন্য টেরা ইওএস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছিল। যদিও হ্যাকাররা স্যাটেলাইটটি সরায়নি চাইলে তারা সহজেই ক্ষতি করতে পারতো।
হ্যাকাররা যদি আমাদের সমস্ত উপগ্রহের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে থাকে তবে এটি সম্ভবত আমাদের লক্ষ্য করতে খুব বেশি সময় লাগবে না। তারা আমাদের সমস্ত সিগন্যাল জ্যাম করতে পারে এবং আমাদের অবকাঠামোতে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে, আপনার টিভি-রেডিও কাজ করা বন্ধ করে দিবে, বৈদ্যুতিক গ্রিড এবং পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। আকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে যাবে আকাশে চলমান বিমানগুলো কিছু শুনতে পারবে না, এবং আমাদের ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে, পৃথিবীতে একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে, তখন আমাদের জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে কারণ তখন আমরা যোগাযোগ করতে পারব না এবং বিদ্যুৎ ও পাবো না। তখন আমাদের কি করতে হবে কারন উপগ্রহের উপর আমাদের ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা সত্ত্বেও, উপগ্রহের জন্য কোনও সাইবারসিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ড নেই এবং বিশ্বব্যাপী এমন কোনও প্রশাসনিক সংস্থা নেই যা সাইবার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিশ্চিত করে। এমনকি যদি মানগুলি বিকশিত হয় তবে তাদের প্রয়োগের জন্য কোনও ব্যবস্থা রাখা হয়নি। চিন্তা করবেন না হ্যাঁ কাদের কাছ থেকে উপগ্রহ কে রক্ষা করা দায়ভার আপনার না তবে আপনার ব্যক্তিগত সুরক্ষার দায়ভার আপনার।
দিনের শেষে, আমরা অনলাইন ক্রিয়াকলাপ এবং অন্যান্য উপগ্রহ-চালিত প্রযুক্তির উপর যত বেশি নির্ভর করি, ততই আমাদের সেগুলি রক্ষা করা দরকার।
তবে এখন বিজ্ঞানীরা অনেক অবদান রেখেছেন স্যাটেলাইট হ্যাক করা এখন অনেকটা অসাধ্যকর হয়ে গিয়েছে কারণ এখন অনেক ব্যয়বহুল স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে কিন্তু আমাদের এদিকে লক্ষ্য করতে হবে যে এই ব্যয় বহন করার ক্ষমতা সবার কি তোমরা সব দেশে কি আছে।