KiHobe Latest Questions

RJ Emon
  • 0

আজব বাচ্চা

  • 0

Leave an answer

You must login to add an answer.

1 Answer

  1. ২৫ দিনের বাচ্চার ওজন ৪০ কেজি । বিষয়টা অনেক অবাক করার মতো। আজব এই বাচ্চাটির সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো ।

    বাংলাদেশের চট্রগ্রাম জেলার বাশঁখালী থানার মাস্টার পাড়া নামক গ্রামে এক অদ্ভুত বাচ্চার জন্ম হয়েছে । জন্মের ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই বাচ্চাটি দাঁড়িয়ে যায়। এরপর বাচ্চাটি দৌড়াতে শুরু করে । ২৫ দিন পরে বাচ্চাটির ওজন মেপে জানা যায় বাচ্চাটির ওজন প্রায় ৪০ কেজি।

    এই কথা শুনে আশে পাশের গ্রাম থেকে লোকজন আসতে শুরু করলো । আজব এই বাচ্চাটির কথা ছড়িয়ে পরে চারিদিকে। বিভিন্ন যায়গার মানুষের মধ্যে একটা কৌতুহল কাজ করতে শুরু করে। তারা ঐ বাচ্চাটিকে এক নজর দেখার জন্য ওই লোকের বাড়িতে ভীড় জমাতে শুরু করে।

    যে এই বাচ্চাটি প্রসব করে থাকে দেখতে ও ছুটে আসে নানা লোকজন। ওই বাচ্চার মায়ের নাম ছিল ময়না । আজব এই বাচ্চাটির খবর বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পরে। ঘটনা না জেনে শুনে সেই স্ট্যাটাস শেয়ার এবং পোষ্ট দিয়ে এই খবরটা ভাইরাল হয়ে যায় কিছু দিনের মধ্যেই ।

    একজন ব্যক্তি এই বিষয়টা নিয়ে অনেক কৌতুহল দেখান তাই তিনি ঠিক করেন, তিনি এই বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করবেন । যেই ভাবা সেই কাজ ।
    তখনই শুরু হয় এই বিষয় নিয়ে তল্লাশি। একজন ব্যাক্তি থেকে আরেকজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে করে ওই গ্রামের ঠিকানা খুঁজে বের করেন ওই ব্যক্তি।

    তিনি ওই গ্রামে গিয়ে সবাইকে জিজ্ঞাসা করেন যে ময়না উনারা বাড়ি কোনটা, সবাই অবাক হয়ে ওই ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে থাকে। এই নামের কাউকে চিনেনা বলে গ্রামবাসী জানায়।

    তখন ওই লোকটি দ্বীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন এতোদূর থেকে আসাটাই বৃথা হলো। তখন ওই গ্রামের একজন স্কুল শিক্ষকের সাথে লোকটির দেখা হয়।

    তখন তিনি ওই স্কুল শিক্ষককে বিষয়টি খুলে বলেন ।এই লোকটির কথা শুনে স্কুল শিক্ষক হেঁসে লোকটিকে বললেন চলুন আমার সাথে আমি আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি ওই বাড়িতে।

    লোকটি এই কথা শুনে অনেক খুশি হলো। কিন্তুু লোকটি ওই বাড়িতে গিয়ে ওই বাচ্চাটিকে দেখে মাথায় হাত দিয়ে মাঠিতে বসে পড়লো।
    এটা দেখার জন্য তিনি মোটেও প্রস্তুুত ছিলেন না।
    কারণ সেই বাচ্চাটি ছিল একটি গাভীর বাচ্চা আর বাড়ীর মালিক আদর করে সেই গাভীটির নাম রেখেছিলেন ময়না। কিন্তুু কিছু মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে অনেক গুজব ছড়িয়ে বিষয়টিকে জটিল করে তুলে। আমরা প্রতিনিয়ত এরকম গুজবকে বিশ্বাস করে থাকি। তাই আমাদের উচিৎ এরকম কোনো আজব বা গুজব তথ্য পেলে যাচাই বাচাই করে সেই তথ্য সবার সাথে শেয়ার করা।
    ভিত্তিহিন কোন কিছু নিয়ে অযথা কথা না বলাই ভালো ।
    আশাকরি এই ছোট্র গল্পটি পড়ে আপনি সতর্কতা অবলম্বন করবেন।