KiHobe Latest Questions

Ashit Sharkar
  • 0

তিন ডিটেক্টিভ কিভাবে তাদের মিশন কমপ্লিট করেছিল ?পর্ব-৩

  • 0
তিন ডিটেক্টিভ কিভাবে তাদের মিশন কমপ্লিট করেছিল ?পর্ব-৩

Leave an answer

You must login to add an answer.

1 Answer

  1. তিন ডিটেকটিভ পর্ব-৩

    – শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে তারা আবার পুনরায় সেই জায়গায় গেল এবং দূর থেকে তারা সেই জায়গার উপর লক্ষ্য রাখল কেউ ঢুকে বা বের হয় কিনা? তারা দুর থেকে আড়ালে পাহাড়ের এক কোনায় দূরবীন নিয়ে ওই ঘরের উপর লক্ষ্য রাখতে থাকলো।

    দুপুর প্রায় ২.৩০ এর দিকে দেখতে পেল যে প্রায় ১৫ টা ডাকাত অই ঘরে ঢুকেছে। আজ আবার সব ডাকাতগুলোর  মাথায় টুপি পড়া।তারমানে ডাকাতগুলো সবাই এটলিস্ট জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়েছিল।

    প্রায় ঘণ্টা খানেক পরে সেই ঘর থেকে তারা ১২ জনের মত বের হয়ে চলে যেতেও দেখল।৩ জন র‍য়েই গেল প্রায় বিকাল পর্যন্ত তারা লক্ষ লাখল  কিন্তু তিনজন আর বের হলো না। অবশেষে  তারা  তাদের বাড়ি ফিরে আসল।

    যে যার বাসায় চলে গেল ওই দিন, তার পরের দিন আবার স্কুলে এসে তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করল। একবার ভাবল যে তারা পুলিশকে সবকিছু জানিয়ে দিবে কিন্তু আবার তারা মনে মনে ভাবলো যদি পুলিশের সাথে ওই ডাকাতের কোন ধরনের সম্পর্ক থাকে তাহলে কোন উপকারে আসবে না উল্টো তাদের  সমস্যা হবে।

    তারা বিভিন্ন ধরনের প্লান প্রোগ্রাম করতে থাকলো কিন্তু কোনটাই কাজের মনে হচ্ছে না।

    – এভাবে প্রায় দু-তিন দিন চলে যায়।হঠাৎ পাবেলের মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো। সে বলল যে, ওই জায়গায় এটলিস্ট কোন সময় কেউই থাকে না, সেটা তাদের বের করতে হবে ।

    শুক্রবার যেহেতু জুম্মার নামাজের সময় ১৫ জন ওই কক্ষে ঢুকে ছিল এবং তিনজন বের হওয়ার সময় থেকে গিয়েছিল তার মানে এটলিস্ট শুক্রবার তারা সবাই নামাজ পড়তে যায় সবাই এবং ওই সময় মনে হয় ওই জায়গায় কেউ থাকেনা এই জিনিসটা তাদের আবার পর্যালোচনা করতে হবে।

    তাই তারা ঠিক করলো যে, পরের শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগেই থেকে ওই জায়গাটা পর্যালোচনা করবে।

    – যথারীতি পরের শুক্রবার তারা সকাল-সকাল ওই জায়গায় চলে গেল। তারা একটি বড় ঝোপের মধ্য থেকে ডাকাত দলের গোপন আস্তানায় নজরদারি করতে লাগলো।

    জায়গাটা তাদের জন্য অনেক নিরাপদ এবং পরিপাটিও ছিল। হঠাৎ তারা দেখল যে চার পাঁচজন ডাকাত ওই কক্ষে ডুকছে এবং নামাজের ঠিক আগ মুহূর্তে বের হওয়ার সময় গুনে গুনে ঠিক ১৫ জন ডাকাত সেই কক্ষ থেকে বের হয়ে গেল এবং নামাজের অনেক্ষন পর  ঠিক ১৫ জনই  ডাকাত ওই কক্ষে আবার প্রবেশ করলো।

    পাবেল , মন্টু আর রাজু  ধৈর্য ধরে সকাল থেকে এখানে বসে আছে এবং তারা পালাক্রমে একজন একজন করে দূরবীন চোখে সেই জায়গার উপর লক্ষ্য রাখতে থাকলো।এক এক জন  ২০-২৫  মিনিট দূরবীন চোখে তারা সেই জায়গার উপর লক্ষ্য রাখতে থাকলো।

    এখানে আসার সময় তারা আগেই জানত যে তাদের সারাদিন থাকতে হবে, তাই তারা আসার সময় টিফিনে করে রুটি,ভাজি, পানি এসব বিভিন্ন হালকা  খাবার ব্যাগে করে নিয়ে এসেছিল।পর্যালোচনা করার ফাঁকে তারা তাদের খাবার-দাবার টাও সেরে নিল।দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকাল, সেখান থেকে ১৩ জন ডাকাত হাতে ব্যাগ নিয়ে সেই কক্ষ থেকে বের হতে লাগল।

    ব্যগগুলোর মধ্যে মনে হয় অস্ত্রশস্ত্র ছিল।তারমানে ওই কক্ষে ১৫ জন ডাকাতের মধ্যে দুইজন  কক্ষ পাহারায় রয়ে গেল আর বাকি ১৩ জন বাহিরে।তার মানে জুম্মার নামাজের সময় শুধুমাত্র ওই কক্ষে কেউ থাকে না।

    তাদের পর্যালোচনা করা শেষ।পরের দিন স্কুলে গিয়ে, তাদের অপারেশনের ফাইনাল প্লান করবে,এই বলে তারা যার যার বাসায় চলে গেল ঐদিনের মতো।

    – পরের দিন যথারীতি তারা স্কুলে এসে বিভিন্ন প্ল্যান করতে লাগলো,কিভাবে সেখানে একটি অপারেশন করা যায়।ডাকাত দল হচ্ছে ১৫, জন আর তারা ৩ জন।তাই শক্তি দিয়ে নয় বুদ্ধি দিয়েই তাদের অপারেশন কার্য সম্পাদন করতে হবে।অপারেশন প্লান গুলো খুবই রিস্কি হয়ে যাবে৷ তাই এমন কোন প্লান করতে হবে যেখানে রিস্ক একটু কমই হবে।

    – পাবেল এর মাথায় একটি বুদ্ধি আসলো। তারা  সেই জায়গায় একটি মোবাইল ফোন লাইভে রাখবে এবং সেটাতে ফেসবুক লাইভ চলবে এবং তা সবার মধ্যে শেয়ার করা হবে।তৎক্ষণাৎ তারা সেই লাইভটি শেয়ার করে ভাইরাল করবে।আর এতে তাদের ও রিস্ক কম থাকবে।