KiHobe Latest Questions

Ashit Sharkar
  • 0

তিন ডিটেক্টিভ কিভাবে তাদের মিশন কমপ্লিট করেছিল ? শেষ পর্ব

  • 0
তিন ডিটেক্টিভ কিভাবে তাদের মিশন কমপ্লিট করেছিল ? শেষ পর্ব

Leave an answer

You must login to add an answer.

1 Answer

  1. তিন ডিটেকটিভ শেষ পর্ব

    শুধুমাত্র ওই জায়গায় একটি মোবাইল ফোন সেট করা সেটিই হচ্ছে তাদের প্রথম এবং প্রধান রিক্স।শেষমেশ তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হলো যে এভাবেই তারা অপারেশনটি করবে। কিন্তু এই অবস্থায় একটি ভালো এন্ড্রয়েড মোবাইল কোথায় পাওয়া যাবে?

    তার সমাধান দিল  রাজু। রাজুর জন্য একটা, দুইটা এন্ড্রয়েড ফোন জোগাড় করার কোন ব্যাপারই ছিল না।খুব ভালো মানের একটা এন্ড্রয়েড মোবাইল এসে যোগাড় করে ফেলল। যথারীতি অপারেশন এর আগের দিন, বৃহস্পতিবার।পরের দিন শুক্রবার অপারেশনের জন্য তারা সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করলো।

    – অ্যান্ড্রয়েড ফোন ভালোভাবে চার্জ দিয়ে সেটাতে সিম প্রবেশ করিয়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাইভে যাওয়ার মতো মেগাবাইট কেনা হলো।স্কুলের সব বন্ধুদের শুধুমাত্র একটি কথাই তারা বৃহস্পতিবার বলল যে  তাদের আইডি থেকে এক বিশেষ লাইভে যাওয়া হবে। তারা যেন সেই লাইভ টা শেয়ার করে এবং তাদের সঙ্গে থাকে।

    একটা সারপ্রাইজ সব বন্ধুদের জন্য তারা দিতে যাচ্ছে।তাদের ক্লাসের সব বন্ধুরাও অধীর আগ্রহে থাকলো যে আগামীকালকে কি লাইভ আসবে তাদের জন্য। তাদেরকে সময় দেয়া হলো জুম্মার নামাজের পরে যেন তারা পাবেলের ফেইসবুক আইডি চেক করে।

    – শুক্রবার সকাল ১০ টা।  তারা সেই জায়গায় গিয়ে পৌঁছলো এবং দুর থেকে দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে তারা পর্যবেক্ষণ শুরু করল যে, সেখানের কি অবস্থা। দেখল যে ঘরের আশেপাশে দু-একজন ডুকছে আর বের হচ্ছে।তাদের হাতে বন্ধুক, তলোয়ারের এসব।

    তখন রাজু  সে ব্যাপারটা দেখে অনেক ভয়ও পেয়ে গেল।এভাবে যখন জুম্মার নামাজ এর কিছুক্ষণ আগে সেখান থেকে গুনে গুনে ১৫  জন তারা নামাযের উদ্দেশ্যে বের হলো।হাতে সময় খুব কম, যা করার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই করতে হবে। কিন্তু তিনজন একসাথে সেই ঘরে যাওয়া রিস্ক।কিন্তু কে যাবে?রাজু এত ভয় পাচ্ছে যে, সে এখন থেকে আর একটু সামনেই যাওয়া সম্ভব না তার পক্ষে।তাদের মধ্যে মন্টু ছিল খুবই সাহসী।

    তখন ঠিক হলো মন্টুই যাবে সেখানে মোবাইল ফোনটা সেট করতে আর পাবেল থাকবে কিছুটা দুর।রাজু থাকবে পাবেল এবং মন্টুকে দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে যেন রাজু পাবেল এর বাবা কে সব কিছু জানাতে পারে।

    – দেরি না করে মন্টু আর পাবেল ওই ঘরের দিকে এগুতে থাকলো। খুব সাবধানে তারা ওই  ঘরের কাছে গেল। পাভেল একটু দূরেই থাকলো, মন্টু আস্তে করে ঘরের মধ্যে কেউ আছে কিনা তা দেখালো। কিন্তু না কেউ নেই। দরজা জানালা ভাঙ্গা, কিন্তু খুব ভয়ংকর একটা রুম।

    মন্টু তখন, মোবাইলের মধ্যে একটি ইয়ারফোন লাগালো, যাতে শব্দ জোরে না হয়।  ফেসবুক লাইভে গেল সে,আর তখন মোবাইলকে সে খুব সাবধানে ঘরের এমন এক জায়গায় সেট করলো যাতে কেউ দেখতে না পারে।

    মোবাইলের ক্যামেরাটা শুধু বের করে রাখলো বাকি সবকিছু সে ডেখে ফেলল।আর ক্যামেরা টা এমন ভাবে সেট করলো যাতে আস্তানার বেশিরভাগ অংশই দেখা যায়।মন্টু মোবাইল ফোনের লোকেশন টা অন করে রাখল যাতে প্রযোজনে  পরবর্তীতে ওই জায়গায় লোকেশন ট্র্যাক করা যায়।

    মোবাইল সেট করে মন্টু,পাবেল তারা সবাই সেই জায়গা থেকে চলে আসলো এবং তারা  সবাই পাবেল এর বাসার ছাদে। অন্য আইডি দিয়ে তারা ফেইসবুক লাইভ চেক করল সব টিক আছে। লাইভে ঘরের সভ কিছুই দেখা যাচ্ছে।

    – সেই লাইভ এর ভিডিওটা  সবাই দেখতে লাগল। সবাই অবাক এমন লাইভ দেখে, সবাই সেই লাইভ শেয়ার করল, মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গেল সেই লাইভ। এমনকি পাবেলের বাবার চোখও এড়ালো না। এরই মধ্যে পুলিশ প্রশাসন সবারই টনক নড়েছে। প্রমান সহ, ক্রাইম।

    উপরমহল থেকে খুব জোরালো ভাবে ডাকাতদের গ্রেফতারের জন্য জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া হলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ, র‍্যব সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডাকাত  দলের সবাই ধরা পড়লো, বিকালের মধ্যেই।

    – সেই থেকেই তারা তিনজন, সবার মধ্যেই পরিচিত মুখ। এমন সাহসী সৎ – কাজের জন্য স্থানীয় প্রশাসন তাদেরকে খুদে  ডিটেকটিভ উপাধি দিল এবং বিভিন্ন সংবর্ধনা ও পুরস্কারের ব্যবস্থাও করল। সবাই এখন তাদের চেনে তারা তিনজন ডিটেকটিভ।