ভূত গল্প – ২
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
ভূত গল্প-২
এটি ২০১৬ সালের ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা।
এই ঘটনাটি আমার ক্যাম্পাসের এক বড় আপুর মুখ থেকে শুনা । তাদের সাথে এই ঘটনা ঘটেছে একদিন তিনি ক্যাম্পাসে আমার সাথে সেই ঘটনাটা শেয়ার করেন ।
আমি এই বড় আপুর নামটি প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।
এবং আমার নিজের নামটি ও প্রকাশ করতে চাইছি না। উনার কথাগগুলো আমি হুবুহু আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।
তাহলে মূল ঘটনায় আসা যাক।
একটা সমস্যার কারণে হঠাৎ বাসা পরিবর্তন করা হয়।
তখন কলেজ এরিয়ার কাছাকাছি বাসা বাড়া নেওয়া হয়।
নতুন বাসাটা আগের বাসা থেকে একটু পুরোনো।
এই বাসাটা ৩ তলা বাসা। আমরা ২য় তলায় ভাড়া নেই। উপড়ের ৩য় তলা সম্পূর্ণ খালি।আমাদের দ্বিতীয় তলার পাশের ফ্ল্যাটে একজন RAB অফিসার থাকতেন। RAB অফিসার এবং তার স্ত্রী ।
যখন আমরা বাসায় উঠি তখন উনি দরজা খুলে দেখেন এবং আমাদের সাথে কথা বলেন। আমি উনাকে আমাদের বাসায় আসার জন্য বলি । পড়ে আসবেন বললেন।
প্রথম দিন জিনিসপত্র সব গুছানো সম্ভব হয়নি।তাই কিছু জিনিসপত্র গুছিয়ে সবাই টায়ার্ড হয়ে যাই।
তাই কোনো রকম ঘুমানোর জন্য যায়গা করে সবাই ঘুমিয়ে যাই। প্রথম দিন টায়ার্ড থাকার কারণে এক ঘুমে সকাল হয়,
অন্যসময় রাতে ঘুম ভাঙ্গে বা মাঝরাতে উঠে পানি খাই।
কিন্তুু সেদিন কাজ করে টায়ার্ড থাকার কারণে ঘুম আর ভাঙ্গে নি। পরের দিন সব কিছু যখন গুছানো শেষ হয় তখন আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের ওই ভদ্র মহিলা আসেন।
পরে আমার সাথে অনেক্ষণ গল্প করেন কি পড়ছি ইত্যদি জিজ্ঞাসা করলেন । ঔইদিন রাতে হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় আমি পানি খেতে ডাইনিং রুমে যাই। তখন হঠাৎ মনে হল কে যেন আমার পাশ কাটিয়ে দ্রুত চলে গেল।
আমি তাকালাম কিছুই দেখতে পেলাম না। পরে আমার রুমে আমি চলে আসি। তখন আমাদের উপড়ের তলা থেকে শব্দ আসে আমি সেটা বুঝতে পারি ।
একবার ভাবি হয়তো মনের ভুল কিন্তুু দ্বিতীয় বার যখন শব্দ আসে তখন আমি নিশ্চিত হই যে আমি ঠিকই শব্দ শুনেছি তাহলে।
কিন্তুু আমি ভাবছি আমাদের উপড় তলায় কোনো ভাড়াটিয়া নেই তাহলে এই শব্দটি কোথা থেকে আসলো । পরে ঘুমিয়ে যাই কখন বুঝতে পারিনি।
পরের দিন সকালে গিয়ে ঔই ৩য় তলার দরজা তালা মারা দেখি এবং দেখে মনে হচ্ছে কয়েক বছর ধরে এই ফ্ল্যাটগুলো তালা দেয়া।
পরে আমি আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের ভাবিকে বিষয়টা খুলে বলি। পরে তিনি আমাকে পুরো ঘটনাটি খুলে বললেন। আমরা যে ফ্ল্যাটে উঠেছি সেই ফ্ল্যাটের যে ভাড়াটিয়া ছিলেন উনার কাছ থেকে তিনি এই ঘটনা জানতে পারেন।
৩য় তলায় এক দম্পতি থাকতেন তাদের একটা ৬ বছরের মেয়ে ছিল কিন্তুু সেই মেয়ের জন্মের পরেই মেয়ের মা মারা যান। পরে মেয়ের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ঐ মহিলা প্রথম প্রথম মেয়েটিকে আদর করলে ও পরে মেয়েটির উপড় নির্যাতন শুরু করে ।
মেয়েটি তার বাবাকে মায়ের অত্যাচারের কথা বললে ও বাবা তা বুঝতে পারেন নি। একদিন সকালে সেই সত মা মেয়েটিকে অনেক শারিরক নির্যাতন করেন। পরে তাকে একটা রুমে সারাদিন আটকে রাখেন এবং সারাদিনের মধ্যে কিছু খেতে দেন নি।
মেয়েটির বাবার অফিস থেকে ফেরার সময় হলে, দরজা খুলে দেন এবং ভয় দেখান যদি সে বাবাকে কিছু বলে তাহলে এর থেকে ও কঠিন শ্বাস্তি দিবেন।
মেয়েটা খুব ভয় পায় সে তার বাবাকে কিছু বলেনি। ঐদিন রাতে সে কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পরে। পরের দিন সকালে সে তার রুমের দেয়ালে কাঠপেন্সিল দিয়ে লিখে মা খারাপ বাবা ভালো।
এটা দেখে সত মা তাকে প্রচুর মারধর করে। হঠাৎ এক পর্যায় মেয়েটি মারা যায়। তখন সত মা ভাবতে থাকে কি করবে এদিকে মেয়েটির বাবার অফিস থেকে আসার সময় হয়েছে।
সত মা তখন একটা দড়ি এনে মেয়েটার গলায় পড়িয়ে সেই রুমের জানালার গ্রিলের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। এবং সে রুম থেকে বের হয়ে দরজা লক করে দেয় যাতে সবাই ভাবে মেয়েটা এক্সিডেন্টালি মারা গেছে।
এতে তার কোনো হাত নেই। মেয়েটার বাবা অফিস থেকে ফিরে মেয়েটার খুঁজ নিতে রুমে গেলে দরজা লক দেখেন। অনেক ডাকা ডাকির এক পর্যায় দরজার লক ভেঙ্গে রুমে প্রবেশ করেন।
মেয়ের এই দৃশ্য দেখে তিনি হতভম্ভ হয়ে পরেন। এর মধ্যে বাড়ি ওয়ালা চলে আসেন পরে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ যখন মেয়েটার মরদেহ মাঠিতে নামায় তার হাতের তালুটা মোট করা অবস্থায় ছিল।
পুলিশ তখন হাতের মোট খুলে কাঁপড়ের একটি টুকরো দেখতে পাঁয় এবং সেই কাঁপড়ের টুকরোর সাথে মিলে যায় মেয়েটির সত মার পড়নে পরিহিত কাঁপড়।
পুলিশ বুঝতে পারে এটি পরিকল্পিত মার্ডার তা তাকে ধঁরে নিয়ে যায়। পরে ঔই মহিলা সব কিছু স্বীকার করে।
মেয়েটির বাবা ঐই মহিলাকে তালাক দেন এবং এই বাসা ছেড়ে চলে যান। কিন্তুু যে এই ফ্ল্যাটে আসে বেশিদিন থাকেনা এই বাসা ছেড়ে চলে যায়।
কারণ রাতে তারা কান্নার শব্দ এবং ছুটাছুটির শব্দ শুনতে পায়। পরে বাড়ীওয়ালা একজন হুজুরকে নিয়ে আসেন তিনি বলেন মেয়েটার আত্না নাকি রাতে ঘুরে বেড়ায়। পারলে এই ফ্ল্যাটটা তালা দিয়ে রাখার জন্য। পরে বাড়ীর মালিক ঐ ফ্ল্যাটটি তালা দিয়ে দেন।
এই ৩য় তলা কখনও ভাড়া দেন না ঐভাবেই বন্ধ পড়ে আছে। যখন ২য় তলার ভাবী নতুন আসেন এই বাসায় তখন তিনিও ঐ মেয়েটির কাঁন্নার শব্দ শুনতে পান এবং ছুটাছুটির শব্দ। তিনি এখনও রাতে ভঁয় পান ঠিকমত ঘুম হয়না তাই তারাও এই বাসা ছেঁড়ে দিবেন বলে আমাকে জানান ।
ভাবীর মুখ থেকে যেদিন এই কথাগুলো শুনি সেদিন আমার আর ঘুম হয়নি রাতে। হঠাৎ দেখি আমার রুমের দরজার পাশে কে দাঁড়িয়ে আছে এবং আমি তাকাতেই দৌড়ে চলে গেছে।
আমি চিৎকার করে দৌড় দিয়ে মায়ের রুমে চলে যাই।
নতুন এই বাসায় মাত্র ৪ দিন থাকার পর আমরা পুরো মাসের বাড়ী ভাড়া বাড়ীওয়ালাকে বুঝিয়ে দিয়ে এই বাসা ছেড়ে চলে আসি। বাড়ীওয়ালা আমাদের চলে যাওয়ার কারণ বুঝতে পেরেছেন তাই তিনি কিছু বলেন নি।
অনেকদিন পরে সেই ভাবীর সাথে রাস্তায় দেখা হয় আমার পরে তিনি বলেন আমরা চলে আসার পরে উনারা ও সেই বাসা ছেড়ে দেন। ভাবী প্রতিদিন রাতে ভয় পেতেন কারণ
তার চোঁখে মেয়েটির আবচ্ছা প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠতে শুরু করে এবং মেয়েটি নাকি তার কাছে আসার চেষ্টা করতো ।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যপার। তবে এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ দ্বায়ী নহে ।