ভূত গল্প- ৮
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আসসালামুআলাইকুম,
আমার নাম ইকবাল। আমি যে ঘটনাটি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তা আমার বাবার কাছ থেকে শুনা।
আমার বাবাকে এই ঘটনাটি আমার দাদা বলেছেন।
উনার নিজের সাথে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তখন আমার বাবা বিদেশে থাকতেন। দাদা এই ঘটনাটি চিঠি লিখে জানান আমার বাবাকে। এই ঘটনাটার ব্যপারে আমার ফুফি ও জানতেন। উনার কাছ থেকে ও শুনেছি। বর্তমান যুগে অনেকেই হয়তো আমার কথাটা বিশ্বাস করবেন না কিন্তুু এটা সত্যিই ঘটেছে আমার দাদার সাথে ।
আমার দাদার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । এই ঘটনার সালটা আমার ঠিক মনে নেই তবে এই ঘটনাটা নব্বই ইংরেজির আগের ঘটনা।
আমার দাদা সরকারী চাকুরি করতেন। অফিস ছুটির পর বাড়ী ফিরতে ফিরতে রাত ৮টা বা ৯টা হয়ে যেত। আর আসার সময় বাজার করে নিয়ে আসতেন। তিনি প্রতিদিন রাতে বাজার করতেন। সবসময় টাটকা জিনিস বাজার করে আনতেন।
ছোট মাছ তিনি তেমন একটা পছন্দ করতেন না।
প্রতিদিন বড় বড় মাঁছ বাজার থেকে কিনে আনতেন।
এমনও হয়েছে বাজারে গেলে পরিচিত মাঁছ বিক্রেতা জোড় করে মাঁছ ব্যাগে ভঁরে দিয়ে দিত আর বলতো আপনার জন্য টাটকা মাঁছ এনেছি চাচা।
মাঁছ খেয়ে কাল টাকা দিবেন নিয়ে যান চাচা ।
দাদা প্রতিদিন বাজার করতেন বলেই সবাই উনাকে চিনতো।
একদিন বড় দুইটা ইলিশ মাঁছ বাজারে ওঠেছে দাম বেশি হওয়ায় কেউ কিনতে চায় না। দাদা মাঁছটা দেখে কিনে আনলেন। মাঁছটার দাম ছিল ৭০০ টাকা মাঁছ বিক্রেতা ৬০০ টাকায় মাঁছটা দিয়ে দেয়। তখনকার যুগে ১০০ টাকার ও অনেক মূল্য ছিল । ১০০ টাকা দিয়ে ব্যাগ ভর্তি বাজার করা যেতো ।
দাদা যখন মাঁছ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তখন মনে হচ্ছিল কে যেন উনার পিছু পিছু আসছিল। তিনি ঘুরে দেখেন নি সোঁজা বাড়ির দিকে হাঁটতে থাকেন।
পরে কে যেন উনার উপড় একটা ঢিঁল ছুঁড়ে । আশে পাশে তাকালেন দেখলেন কেউ নেই । আমার দাদা অনেক সাহসী ছিলেন। বাড়ি পৌছে তিনি বাঁজারের ব্যাগটা বড় ফুফির হাতে দিলেন। ঐদিন বড় ফুফি বেড়াতে আসেন আমাদের বাড়িতে। তাই দাদু বাজার থেকে বড় মাঁছ দুটি দেখে নিয়ে আসেন।
দাদা জামা-কাপড় পাল্টে হাত মুখ ধূঁয়ে আসেন।
ঠিক তখন বাড়ির টিঁনের চালে আবার ঢিঁল ছুড়ার শব্দ শুনতে পান ।
তিনি বাহিরে বের হয়ে আশ-পাশে তাকিয়ে দেখলেন কেউ নেই।
মাঁছ কাটার পর যখন রান্নার জন্য চুলায় কড়াই বসানো হয় তখন অবাক করা একটি ঘটনা ঘটে।
মাঁছ ভাঁজার জন্য চুলোয় কড়াই বসানো হয় এবং মাঁছের টুকরোগুলো ভাঁজ ছিলেন। তখন হঠাৎ দেখলেন একটি বিশাল বড় কালো ছাঁয়া তার শুধু পা টাই দেখা যাচ্ছে।
মাথা দেখা যাচ্ছে না। আগেকার দিনে চুলার কালো ধোঁয়া বের হওয়ার জন্য চুলোর উপড়ে সুরঙ্গের মতো করে একটি চিমনি দেওয়া হতো। আমি আসলে জানি না এটাকে ঠিক কি বলা হয়। যাইহোক পরে ওই চিমনির যে ফাঁকা রাস্তা ছিল সেই রাস্তা দিয়ে একটি হাত লম্বা করে বাড়িয়ে দেয়।
আমার ফুফি ভঁয় পেয়ে চিৎকার দেন।
পরে বাড়ির সবাই দৌড়ে চলে আসেন রান্নাঘরে।
পরে আমার দাদিকে বললেন ওই হাতের তালুতে একটা ভাঁজা মাছ দিতে ।
সে হাঁত বের করে অল্প সময়ের ভেতরে আবার আরেকটা হাত পাতে। দাদি আবার আরেক টুকরো ভাঁজা মাছ হাতের তালুতে দেন।
আবার সেই মাঁছ খেয়ে আবার হাত পাতে। তখন দাদা ইশারায় দাদিকে বললেন গরম তেল হাতে দিয়ে দিতে।
দাদার কথামতো দাদি ও হাতে গরম তেল ঢেলে দিলেন।
আহ্ বলে একটা চিৎকার শুনা যায়।
ভঁয়ে রাতে কেউ আর বাহিরে বের হলেন না।
দাদাকে ও বাহিরে যেতে দিলেন না বললেন যা দেখার কাল সকালে দেখবো।
পরের দিন সকালে গিয়ে দেখলেন রান্নাঘরের পেছনে দুইটা কাঁক মরে পরে আছে এবং দেখে বুঝা যাচ্ছিল গরম তেল দিলে যে রকম পুড়ে যাওয়ার কথা ঠিক সেরকম ই দেখতে লাগছে। মনে হচ্ছিল ওদের ওপড় গরম তেল ঢালা হয়েছে।
দাদা একজন হুজুরকে ডেকে আনেন এবং ঘটনাটি খুলে বলেন।
হুজুর বলেন কিছুক্ষণ সময় নিয়ে বলতে হবে এটা কি ।
পরে তিনি বাড়ির একটি রুমে বসে কি যেন করলেন।
পরে তিনি বাড়ির সবার সামনে এই দুই রহস্যজনক কাকের কথা বলেন। এরা নাকি নদীর পাড়ের একটি বটগাছে থাকতো। এরা প্রত্যেক জেলের পিছু নিয়ে তাদের মাছ চুরি করে খেত। এরা আসলে কাক ছিল না কাকের রূপ ধারণ করেছিল। এদের আসল পরিচয় হলো কালো পেত্নি ছিল ।
ওই জেলে নদী থেকে বড় দুই ইলিশ মাঁছ ধরে এবং সেটা খাওয়ার জন্য পিছু নেয়। আর ওই জেলে সেটা দাদার কাছে বিক্রি করে দেয়।
ওরাই নাকি দাদাকে ঢিল ছুঁড়েছিল যাতে ভঁয়ে বাজারের ব্যাগ রেখে পালিয়ে যান। সেই সুযোগে তারা মাঁছ নিয়ে যেতো। পরে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলে, ওরা দাদার পিছু পিছু এই বাড়িতে চলে আসে। মাঁছের সুস্বাদু গন্ধ পেয়ে হাত বাড়িয়েছিল। গরম তেল ঢেলে দেওয়ায় ওরা মারা যায় ।
এই ছিল আমার দাদার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা।
যদি ভালো লাগে তাহলে সবার সাথে শেয়ার করবেন।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যপার। তবে এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ