KiHobe Latest Questions

RJ Emon
  • 0

আজব কাহিনি- পৃথিবীর কোনো জেলে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি-(২য় পর্ব)।

  • 0
আজব কাহিনি- পৃথিবীর কোনো জেলে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি-(২য় পর্ব)।

Leave an answer

You must login to add an answer.

1 Answer

  1. আজব কাহিনি- পৃথিবীর কোনো জেলে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি-(২য় পর্ব)।

    তাদের সেল থেকে বের হয়ে যাওয়া যাতে কেউ বুঝতে না পারে সেজন্য তারা এই দেয়ালের রং এর একটি বোর্ড সংগ্রহ করে। কিন্তুু দেয়ালের আটকানোর জন্য প্রচুর পরিমানে গ্লুর প্রয়োজন পরে, কিন্তুু তারা পর্যাপ্ত গ্লু না পেয়ে জেলের কন্সট্রাকশন কাজ চলাকালে বেশ কিছু সিমেন্ট বালু সংগ্রহ করে এগুলোর মিশ্রণ চুরি করে তারা ফেইক দেয়ালের পরিবর্তে রিয়েল দেওয়াল তৈরি করে ফেলে এজন্য তাদের পালানো অনেক কঠিন হয়ে পরে। আর এতোটাই কঠিন হয়ে পরে যে তাদের এক বন্ধুকে রেখেই তাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। কেউ কেউ বলেন সেই দুজন কয়েদি মাঝ সমুদ্রে ডুবে মারা গেছেন, আবার কারো মতে তারা ব্রাজিলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।

    ইয়োশি শশি তেরা, বলা হয়ে থাকে এই দুরদর্শ ব্যক্তিকে পৃথিবীর কোন জেলে আটকে রাখা সম্ভব নয়। এই ব্যক্তিকে জেলে বন্ধি করে রাখা কঠিন হয়েছিল পৃথিবীর অন্য কোনো ব্যক্তিকে জেলে বন্ধি করে রাখা এতোটা কঠিন ছিলনা। এই ব্যক্তি সেই সময়ে জাপানে অবস্থান করেছিল, মানুষ তাকে যাঁদুকর ভাবতো। তখন জাপানের জেল পালানো অনেক সহজ ব্যাপার ছিল। কিন্তুু ধীরে ধীরে জাপানের জেলগুলোকে অনেক সুরক্ষিত করে ফেলা হয়। আর কয়েদি দের জন্য সেই সময় জেল পালানো অনেক কষ্ট হয়ে ওঠে।
    কিন্তুু সেই সময়েই এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় চুরি এবং খুনের দাঁয়ে।

    গ্রেফতারের পরে তাকে যাবত জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। জেলে বন্দি থাকার ৩ বছর পর সে তার হাত করার চাঁবি চুরি করে হাত কড়া খুলে পালিয়ে যায়। কিন্তুু পুলিশ তাকে আবার গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাকে আবার আরেকটি জেল আটকে রাখা হয়। কতৃপক্ষ দাবী করে সে এই জেল থেকে পালাতে পারবে না। এই জেলের উপড়ের দেয়ালে এয়ার ভল্ট লাগানো ছিল, একটি শিশা খুলার চেষ্টা করে পরে সব শিশা ঢিলে হয়ে যায়। পরে রাতে এই পথ দিয়ে সে পালিয়ে যায়। দুইবার পালানোর পর ঔই ব্যক্তি পুলিশের হাতে আবার ধরা পরে। তাকে আবার নতুন একটি জেলে বন্ধি করে রাখা হয়। এই জেলে তাকে প্রতিদিন স্যুপ খেতে দেওয়া হতো আর সে সেই স্যুপ না খেয়ে জেলের দরজার উপড় ফেলে দিত। এবং অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সেই জেলের দড়জায় মরচা পড়ে যায়।তার কিছুদিন পরেই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ব শুরু হয়ে যায়। তখন পুরো জাপান ব্ল্যাক আউট হয়ে গিয়েছিল।

    তখন শশি আবারও দরজা ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে আবারো গ্রেফতার করে, তাকে এবার এমন একটি জেলে রাখা হয়েছিল যেখানে ৬ জন গার্ড রাখা হয় শুধুমাত্র শশিকে পাহারা দেওয়ার জন্য। জেল কতৃপক্ষের অভার কনফিডেন্স ছিল যেহেতু ৬ জন গার্ড তাকে পাহারা দিচ্ছে। এখান থেকে কোন ভাবেই পালাতে পারবে না।কিন্তুু শশিকে যে সেলে রাখা হয় সেই সেলের উপড়ে থাকা একটি জানালা ভাঙ্গা ছিল।জেল কতৃপক্ষ সেদিকে নজর দেয়নি। কারণ তারা ভাবে ৬ জন গার্ড যেহেতু নজর রাখছে কোনো মতে পালানো সম্ভব না। কিন্তুু শশি আবারো তার বুদ্বিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সে চতুর্থ বারের মতো আবারো পালিয়ে যায়।পরে
    তার খোঁজ আর পায়নি পুলিশ।