KiHobe Latest Questions

Mikael
  • 0

আজব ! আযানের সময় কুকুর কেন ডাকে? পর্ব -২

  • 0
আজব ! আযানের সময় কুকুর কেন ডাকে? পর্ব -২

Leave an answer

You must login to add an answer.

2 Answers

  1.  

    একদিন জমিদার একটি ভি.আই.পি মহলে যাওয়ার কথা, জমিদার চিন্তা করতে লাগলেন, কুকুরটি আমাকে ছাড়া এক মুহুর্ত থাকতে পারেনা। আমি কি ভি.আই.পি মহলে যাবো? কুকুরটি আমার সাথে গেলে আমার মান সম্মান থাকবে না। এজন্য সে বুদ্বি করে একটি ঘরে ঢুকলো এবং চাকরদের বলে সেই ঘরের দরজা বন্ধ করে দিতে এবং কুকুরের গলায় শিকল পড়িয়ে দিতে, এবং শক্ত পিলারের সাথে বেধে রাখা হলো। তারপর জমিদার বাবুরর্চিকে বললেন আমি এক ভি.আই.পি মহলে যাচ্ছি আমি বাহিরের খাবার পছন্দ করিনা। তাই আমার জন্য কিছু আইটেম রান্না করো।

    তারপর মালিক যখন চলে যেতে লাগলো, তখন কুকুরটি তার মালিকের সাথে যেতে না পেরে লাফালাফি করতে শুরু করলো, মালিক যখন বহুদূর চলে গেল তখন কুকুরটি নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে বিকট আওয়াজে মালিককে ডাকতে লাগলো। কুকুরের আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা জমা হয়ে গেল। এবং কিছু সময় ধরে কুকুরের কীর্তি কলাপগুলো দেখলো। এর কিছুক্ষণ পর যে যার কাজে চলে গেল। কিন্তুু জমিদারের একজন বোবা কাজের মেয়ে কুকুরের কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করছিল, ঐই সময় বাবুরর্চি খাবার তৈরি করে ঐ ঘরে থাকের উপড় খাবার রেখে চলে গেলো এবং কিছু সময় ধরে কুকুরের কীর্তি কলাপ গুলো দেখলো। ঘরের মধ্যে কেউ নেই, শুধু কুকুর আর বোবা মেয়েটি ছাড়া এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ দেখতে পেল যে, একটি কালো বিষধর সাপ কোবা থেকে উড়ে এসে বাবুর্চির রেখে যাওয়া উক্ত খাবারের মধ্যে মুখ দিয়ে কিছুক্ষণ থাকার পর আবার উড়ে চলে গেলো।

    উক্ত ঘটনা কুকুর আর বোবা মেয়েটি ছাড়া আর কেউ দেখলো না, মেয়েটি চিন্তা করলো, এখন যদি আমি এখান থেকে চলে যাই এবং মালিক এসে পাত্রে রাখা খাবার খেয়ে ফেলে, তাহলে বিষক্রিয়ায় অবশ্যই মালিক মারা যাবেন। তাই কাজের মেয়েটি সেখানেই বসে রইলো। কিছুক্ষণ পরে মালিক আসলো, এবং বোবা মেয়েটি কথা বলতে পারে না তাই অঙ্গী ভঙ্গিমায় বুঝাতে চাইলো, মালিক ঐ পাত্রে রাখা খাবারে হাত দিবেন না, জীবন বিপন্ন হবে। কিন্তুু যেহেতু কাজের মেয়ে তারপরে আবার বোবা, তাই জমিদান কাজের মেয়ের কথায় কর্ণপাত না করে, নিজ গতিতে খাবারের কাছে গিয়ে খাবরে হাত দিলো। যেই জমিদার পাত্রে হাত লাগান, অমনি শিকল বন্ধী কুকুরটি পাগলের মতো লাফালাফি করতে লাগলো অতিরিক্ত পাগলামি করতে দেখে মালিক কুকুরটিকে ধমক দিলো অন্যান্য সময় মালিক একবার ধমক দিলে কুকুর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে কিন্তুু আজ যতই ধমক দেয়, কুকুর নিয়ন্ত্রণে আসে না। মালিক কুকুরের ভাষা বুঝলো না, এক পর্যায়ে যখন মালিক পাত্রটি নিয়ে মাটিতে রাখলেন। তখন কুকুরটি মাথা ছিঁড়ে যাওয়া অবস্থার মতো করে, কোন রকম পিছনের পা দিয়ে ঠেলে কিছু খাবার মাটিতে ফেলে দিলো, যেই মাত্র খাবার মাটিতে ফেলে দিলো, মালিক দেখে রাগ হয়ে গেলো, এক পর্যায়ে ক্রোধে মালিক কুকুরটিকে আঘাত করতে লাগলো, এবং কুকুর রক্তাক্ত হয়ে গেলো কিন্তুু পর ও সে তার মিশন থেকে পিছু হাটে নি।

    কুকুরকে ধমকানো শাসানোর পর ও কুকুর থামে না এক পর্যায়ে মালিক দাঁড়িয়ে ক্রোধে চিন্তা করলেন, যেই খাবারের মধ্যে কুকুরের পায়ের ছোঁয়া লেগেছে সে খাবার তো খাওয়া যাবে না। কুকুর শুধু চিন্তা করছে, যদি মালিক খাবারে মুখ দেয় তাহলে তো সে মালিককে আর বাঁচাতর পারবে না কুকুর শুধু লাফালাফি করছে, তাই মালিক চাকরদের বলল শিকল খুলে দিতে এবং তারা খুলে দিলো কুকুরের বাঁধন যখন খুলে দেওয়া হল, তৎক্ষণাৎ কুকুর খাবারে মুখ দিয়ে খাবার খেয়ে ফেলল। এটি দেখে মালিকের ক্রোধ আরো অধিক পরিমাণে বেড়ে গেলো, মালিক দাঁড়িয়ে ক্রোধে ফস ফস করতে লাগলো, যেন কুকুরকে মেরেই ফেলবে । কিন্তুু সে দেখতে পেল, ২ মিনিট এর মধ্যে কুকুরটি আস্তে আস্তে দূর্বল হয়ে গেলো এবং এক পর্যায় জমিনে পড়র গিয়ে হাত পা নাড়াতে নাড়াতে মারা গেলো।

    মালিকের মস্তিষ্ক তখন খুলে গেল, ব্যপার কি কুকুর খাবারে মুখ দেওয়ার পর এভাবে মারা গেলো কেন ? এর মধ্যেই সেই বোবা মেয়েটির দিকে মালিক মনোযোগী হলেন, জিজ্ঞাসা করলেন কি হয়েছে খুলে বল। তখন কাজের বোবা মেয়েটি চোঁখের পানি ছেড়ে দিয়ে অঙ্গ ভঙ্গিমায় বুঝালো, ঘরের মধ্যে কেউ ছিলো না, আমি আর কুকুর ছিলাম আপনার বাবুর্চি খাবার তৈরি করে মুখ না ঢেকেই রেখে চলে গেলো। আমরা নিজের চোখে দেখতে পেলাম পেলাম উড়ন্ত একটি কালো বিষধর সাপ এসে আপনার খাবারে মুখ দিলো। আমি চিন্তা করলাম, আমি যদি এখান থেকে চলে যাই, এবং এমতাবস্থায় আপনি এসে যদি খাবারে মুখ দেন তাহলে আপনি বাঁচবেন না। এজন্য সব কাজ ফেলে রেখে আপনাকে সাবধান করার জন্য এখানে বসে রইলাম ।

    আমি অনেকভাবে আপনাকে বুঝাতে চেয়েছিলাম, আপনি বুঝতে পারেননি । এক পর্যায় যখন আপনি সেই বিষযুক্ত খাবারে হাত দিলেন। তখন আপনার সেই কুকুরটি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না কুকুরটি বিভিন্ন ভাবে বুঝাতে চেয়েছে মালিক ওখানে হাত দিয়েন না তারপর ও যখন আপনি খাওয়ার জন্য অগ্রসর হলেন, তখন কুকুরটি নিজের মাথা ছিরে যায় এই অবস্থায় নিজের সাথে যুদ্ব করে পায়ে ঠেলে কিছুটা খাবার ফেলে দিলো তারপর ও কুকুরটি চিন্তা করলো এখনও পাত্রের মধ্যে খাবার আছে আপনি যদি তা খেয়ে ফেলে তাহলে মালিক কে বাঁচানো যাবে না, কুকুরটি আপনাকে অনেক বুঝাতে চেয়েছিল কিন্তুু আপনি বুঝলেন না।

    তাই কুকুরটি নিজের জীবন দিয়ে বুঝিয়ে দিলো কিন্তুু আপনার কোনো ক্ষতি সে হতে দিল না । তাই প্রিয় দর্শক আপনাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে চাই, কুকুর নিজের মালিক কে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দেয়, অথচ মালিক কুকুরের জন্য খাবারের কোন মেনু দেয় নি। থাকার জন্য একটি সুন্দর কোন ঘর তৈরি করে নাই। বরং কুকুর নিজে জাগ্রত থেকে সাড়া রাত তার মালিক কে পাহারা দিলো এবং সে মালিক কুকুরকে দুই দিন তিন দিন পর খাবার দিতো। মেয়েটির থেকে যখন জমিদার সব কথা জানলেন, জমিদার তখন চোখের পানি ছেড়ে অনেক সময় ধরে ক্রন্দন করলেন জমিদার এর পর ঘোষণা দিলো, যে কুকুর তার জীবন বিসর্জন দিয়ে আমার জীবন রক্ষার চেষ্টা করলো, এই কুকুরের লাশ যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া যায় না। যত কোটি টাকা লাগে, তার স্বৃতি চারণ এর জন্য রাস্তায় ধারে একটি বিল্ডিং বানিয়ে এই বিল্ডিং এর ভিতরে কুকুর কে দাফন করা হবে, যাতে করে শত বছর পর্যন্ত প্রভু ভক্ত কুকুরের স্বৃতি দুনিয়ায় টিকে থাক