KiHobe Latest Questions

Sarwar Hussain
  • 0

যদি জায়েন্ট মাশরুম পৃথিবীতে ফিরে আসে? আজব গুজব

  • 0
যদি জায়েন্ট মাশরুম পৃথিবীতে ফিরে আসে? আজব গুজব

Leave an answer

You must login to add an answer.

1 Answer

  1. যদি জায়েন্ট মাশরুম পৃথিবীতে ফিরে আসে

    আপনি কি জানেন 400 মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে এত বড় বড় মাশরুম ছিল যা আকারে একটি ঘরের মতো মাশরুম একটি অত্যন্ত উপকারী খাদ্য। পৃথিবীতে একসময় বড় বড় মাশরুম ছিল যা সময়ের সাথে সাথে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ছোট আকার হয়ে। যদি আমরা তা ফিরে পাবার পদ্ধতি খুঁজে পায় কি করব। তাহলে আমাদের জানতে হবে এ বড় বড় আকৃতির মাশরুম কেন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এগুলো যদি আবার আমাদের ঘরে ফিরে আসে তাহলে কি আমাদের জন্য ক্ষতিকর হবে নাকি উপকারী হবে।
    ডেভোনিয়ান পিরিয়ডের সময় প্রায় ৪২০ থেকে 350 মিলিয়ন বছর আগে গাছপালা তখনো পুরোপুরি বিকাশ লাভ করতে পারেনি, কেবল কয়েক ফুট লম্বা ছিল। তবুও মাটিতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া সরবরাহে কারণে মাশরুম বা প্রোটোটেক্সটিস প্রচুর ছিল। যে মাটিতে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া ছিল সেই মাটিটির নাম ছিল ক্রিপ্টোবায়োটিক মাটি, সেই মাটিটি ছত্রাক, শেওলা, সবুজ শেওলা, ব্যাকটেরিয়া এবং লিকেন জাতিয় জীবের ভূত্বকে আশ্রয় দিয়েছিল।
    এই সময় পৃথিবীতে বেশিরভাগ জমি মাটিতে আচ্ছাদিত ছিল যা ছত্রাকের প্রজন্মের জন্য নিখুঁত প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করেছিল।বিশ্বাস করুন আর না করুন তখনকার মাশরুম গুলোর উপরের ছাতা ছিলনা। কারণ তখনকার গাছগুলো যাতে সূর্যের আলো পেত এজন্য তারা উদার ছিল তাদের উপরের ছাতা ছিল না।
    এ প্রোটোটেক্সটিস গুলি গাছে অগ্রগতির কারণ ছিল কারন।তারা উদ্ভিদের জন্য প্রতিকি শিকর হিসেবে কাজ করতো। মাশরুমের ফিডিং টিউব যা হাইপি নামে পরিচিতপ্রক্রিয়াতে পাথর দূর করণ এবং পুষ্টি আহরণের জন্য গোপনীয় এসিড তৈরি করে তাহাকে আমরা বায়োলজিক্যাল ওয়েদারিং বলে থাকি।
    তারা আসলে আমাদের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ সাথী। তারা যদি এত বড় ছত্রাক না হতো তবে আমাদের মতো জটিল লাইভ ফ্রম গুলি আশ্রয় করার জন্য বা আরন্য বা অক্সিজেনসমৃদ্ধ পরিবেশ নাও থাকতে পারত। আজ মাইসেলিয়ামের বিশাল নেটওয়ার্কগুলি গাছগুলিকে একে অপরের কাছে প্রয়োজনীয় পুষ্টির স্থানান্তর করতে দেয়।এটি ইন্টারনেটের অর্গানিক নেটওয়ার্কের মত যা সমস্ত স্পেন এবং মীমকে আলাদা করে। মাশরুম নেটওয়ার্কের মধ্যে জিনিসগুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায়ে ভাইরাল হয়। মাশরুম মারাত্মক ভাইরাস নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে যা গঠিত হয়েছিল জীবনরক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক হিসেবে যেমনটি আমরা মনে করতে পারি পেনিসিলিন।
    এগুলো পেট্রোলিয়ামের হাইড্রোকার্বন হজম করতে, পলিইউরেথেন প্লাস্টিক এবং পারদের মত ভারী ধাতুর গুলোকে শোষণ করে দেখা গেছে। বিজ্ঞানীরা এমন একটি ছত্রাক আবিষ্কার করেছেন (চেরনব্লে ছত্রাক) যা রেডিয়েশনকে পালন করে এবং এটাকে রাসায়নিক শক্তিতে রুপান্তর করে যাকে রেডিওসিনথেসিস পক্রিয়া বলা হয়।এক কথায় বলা যেতে পারে বড় বড় মাশরুম গুলি পুরো গ্রহের দূষণ এবং তেজস্ক্রিয়ার ক্ষতিকারক দিকগুলো কমাতে পারে।
    কিন্তু এর ঝুঁকি কি কি? জায়েন্ট মাশরুম আমাদের কি ক্ষতি করতে পারে। যদিও বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক আমাদের উপকারি, পৃথিবীতে 1.5 মিলিয়ন মাশরুম আছে তার মধ্যে 300 প্রজাতির মাশরুম আমাদের জন্য বিষাক্ত যদি আমরা এদেরকে ফেরত আনতে চেষ্টা করি তা আমাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। পৃথিবীর সর্বাধিক বিস্তৃত জীব ফাঙ্গাশ গুলি আমাদের কাছে অনেক রহস্যময় হয়ে রয়েছে। ফরেস্ট অফিসারের যেমন গাছ কাটতে নিষেধাজ্ঞার করেন তেমনি এদেরকে প্রতিপালন এবং বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ একটি দল প্রয়োজন।
    আমরা যদি এইগুলাকে ফিরত আনতে গিয়ে যথাযথ যত্ন ব্যতীত চেষ্টা করি এতে যদি এই শক্তিশালী মাশরুমগুলি জীবন বাড়ানোর জন্য এবং আক্রমণাত্মক প্রজাতির হয়ে ওঠার জন্য সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি জোগাড় করতে পারে এবং যেহেতু ছত্রাক অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে তাই আমাদের শ্বাসের মাধ্যমে এমন কিছু মানুষের অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ নিঃসরন করে যা মানুষের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
    তাদের ধ্বংসের পেছনে বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করেছেন অনেকে অনেক বিরুদ্ধে রয়েছে তবে তথ্যমতে তারা পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারেনি হয়তো কিছু বাণী তাদেরকে খেয়ে ফেলেছে অথবা তারা যে গাছপালা কে বিস্তারে সহযোগিতা করেছিল তাতে তাদের প্রয়োজনীয় উপাদান চলে যায় বংশবিস্তার করতে পারেনি।
    তবে আমরা যদি আবারো বড় মাশরুম খুলে গুলোকে ফিরিয়ে আনার উপায় খুঁজে পাই তাহলে আমরা অনেক আকর্ষণীয় উপায় গুলো কি ব্যবহার করতে পারি। আমরা এটাকে সূর্যছায়া হিসাবে ব্যবহার করতে পারি, সুস্বাদু খাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারি, ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। সবকিছুর পরে আমরা এই মাশরুমকে ধন্যবাদ জানাতে চাই কারণ তারা বন গুলি বাড়তে সাহায্য করেছিল। যা আমাদের অক্সিজেন দিয়ে পরিবেশ বাঁচিয়েছে। যদিও আমরা ডেভোনিয়ান যুগের মাশরুমগুলিকে খুব তারাতাড়ি ফিরে পাব না কিন্তু তারা যদি থাকত তা হলে মানুষ কি থাকত এ রকম একটি মজার প্রশ্ন থেকে যায়।