যদি সমুদ্রে লবন না থাকে কি হবে? আজব গুজব
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
যদি সমুদ্রে লবন না থাকে কি হবে?
যদি সমুদ্রে লবন না থাকে তাহলে অনেক ধরণের সমস্যা হবে । কিছু প্রজাতির প্রাণি সমুদ্রতলদেশে বাস করে। বৈজ্ঞানিকরা অনেক পরিক্ষা নিরিক্ষা করে জানতে পারেন। কিছু উদ্ভিদ আছে যা সমুদ্রের তলে জন্মায় তা ও আবার লবণাক্ত পানিতে এরা জন্মায়।কিন্তুু এদেরকে মিঠা পানিতে নিয়ে রোপণ করলে সেগুলো বাঁচবে না।
বৈজ্ঞানিকরা আরো বলেন এদের জন্ম হয় লবণাক্ত পানিতে, আর এদের বেঁচে থাকতে হলে এই সমুদ্রের লবণাক্ত পানিতেই থাকতে হবে। বৈজ্ঞানিকতথ্য অনুসারে আরো জানা যায়, কিছু প্রজাতির মাছ আছে এরা গভীর সমুদ্রতলে বাস করে। এদের জন্ম ও এই সমুদ্রের লবণাক্ত পানিতে । আপনি তাদেরকে নিয়ে নদীতে ছেড়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মারা যাবে।কারণ তারা মিঠা পানিতে বসবাস করে অবস্থ না থাকায় তাদের শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয় এবং তারা মারা যায়। আবার আরেক গবেষণায় দেখা গেছে মিঠা পানির মাছকে যদি সাগরে ছাড়া হয় তাহলে সেই মিঠা পানির মাছ ও বেশি সময় বাঁচতে পারেনা । এজন্য দুই পানির বিশার পার্থক্য, নদীর মিঠা পানি এবং সমুদ্রের লবণাক্ত পানি।
সমুদ্রের লবণাক্ত পানি পান করা যায় না, কারণ অতি মাত্রায় লবণ থাকে বলে। সামুদ্রিক মাছ ও খাওয়া যায়না বেশি পরিমাণে কারণ এদের শরীরে প্রচুর পরিমাণ লবণ থাকে। সমুদ্রে লবণ থাকায় সেই লবণের ফেনা সংগ্রহ করে। বিভিন্ন কোম্পানি লবণ উৎপাদন করে আর তাদের প্রদান উৎস হল সমুদ্র। মানুষের দেহে পানির সাথে সাথে লবণ ও থাকে। মানুষের শরীরে লবণের পরিমাণের অভাব দেখা দিলে সে অসুস্থতায় ভোগে। লবণে প্রচুর পরিমাণ আয়োডিন থাকে। যা আমাদের দেহের জন্য খুবই জরুরি। আমরা ছোট থাকতে বইতে পড়েছি হয়তো একজন মানুষের শরীরে আয়োডিনের অভাব দেখা দিলে গলগন্ড রোগ হতো।
এখন মোটামুটি সবারই এই আয়োডিনযুক্ত লবণ সম্পর্কে ধারণা হয়ে গেছে। আগেকার দিনে মানুষের এরকম ধারণা ছিলোনা। যারা সমুদ্রের মাছ শিকার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো, তাদের মধ্যে তখন এই লবণ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। সমুদ্রে যদি লবণ না থাকতো তাহলে সারা পৃথিবীতে লবণের ঘাটতিজনিত সমস্যার সৃষ্টি হতো। যার যোগান না দিতে পেরে অক্ষম হয়ে পড়তে হতো তাদের। এখনার দিনে প্রত্যেকটা কোম্পানিগুলো লবণ উৎপাদন করে এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা পরিচিত। যে কোনো খাবারের প্রদান স্বাদ মেলে লবণ দেওয়ার পরে। লবণ ছাড়া যে কোনো খাবার আপনি খেতে পারবেন না। আর যদিও খান তাহলে নিশ্চিত সেটা সুস্বাদু হবে না।
লবণ ছাড়া খাবার অসুস্বাদু মনে হবে। লবণের অভাব অন্যকোনো কিছু দিয়ে পূরণ করা কখনই সম্ভব হবে না।তবে সমুদ্রের মাছ আপনি লবণ ছাড়া রান্না করে খেতে পারবেন কারণ সমুদ্রের মাছে লবণে ভরপুর থাকে। সমুদ্রে যদি লবণ না থাকতো তাহলে আপনি ভিন্ন রকম স্বাদ নিতে পারতেন না। সব একই মনে হতো আপনার কাছে। আবার মিঠা নদীর পানি যদি না থাকতো তাহলে আপনার বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে যেতো।কারণ আপনি সমুদ্রের লবনাক্ত পানি খেয়ে বাঁচতে পারতেন না এই পানি এতোটাই লবণাক্ত যে আপনি মুখে দিতে পারবেন না। কিছু কিছু উদ্ভিদ আছে সমুদ্রের পানি দেওয়ার পরে সে উদ্ভিদ মরে যায়।কারণ লবনাক্ত পানি এই উদ্ভিদের শিকরে পৌছানোর পর উদ্ভিদ মরে যায়। আপনি কি জানেন যদি সমুদ্রে লবণ না থাকতো তাহলে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতো।যখন সমুদ্রের লবণাক্ত পানি নদীর পনির সাথে মিশে যায় তখন কিন্তুু এই দুই পানি একত্রিত হয় না। পানির রং দেখে বুঝা যায়। এবং দেখে চিনা যায় কোনটা সমুদ্রের পানি আর কোনটা নদীর পানি।
সমুদ্রের জলের নিচে তিমি, ডলফিন, হাঙ্গর এরা বসবাস করে আর এরা শুধু লবণাক্ত পানিতেই থাকে।আবার কিছু কিছু হাঙ্গর নদীর পানিতে ডুকে পরে যখন সমুদ্রের পানি আর নদীর পানি মিলিত হয়। এর পরে ও তারা তাদের সীমানা নির্ধারণ করে রাখে, অন্য কোন মাছ তাদের সীমানায় ঢুকলে আর বেঁচে ফিরতে পারেনা। তাই সাধারণ ছোট মাছগুলো হাঙ্গরদের এলাকায় ঢুকে না।
হাঙ্গররা বুঝতে পারে তাদের এরিয়াতে অন্যকোনো মাছ প্রবেশ করলেই, আর এই সবকিছু সমুদ্রের লবণাক্ত পানির কারনে তারা বুঝে। কারণ এই পানির মধ্যে লবণের পরিমাণ এতোই বেশি যা তাদের শিকার ধরতে সাহায্য করে। সমুদ্রের মধ্যে কিছু ছোট ছোট দ্বীপ থাকে যা গভীর সমুদ্র থেকে দূরে থাকে। সেই পানি লবণাক্ত থাকেনা। কারণ নদীর মিশ্রিত পানির সাথে এই পানির একটা যোগসূত্র তৈরি হওয়ায়। মিঠা পানির পরিমাণটা বেশি হওয়ায় এই পানিতে লবণের পরিমাণ থাকেনা।আবার কিছু কিছু যায়গায় সমুদ্রের ঢেউ অতি মাত্রায় প্রবাহিত হয় বলে সমুদ্রের পাড়ে লবণের ফেনা জমে থাকে আর পানিগুলো বাষ্প হয়ে উড়ে যায়।
আর এই ফেনা থেকে লবণ তৈরি করা হয়।আবার কোনো কোনো যায়গায় ইচ্ছে করে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা হয়।পানি বাষ্পীয় হলে যাতে তারা এই ফেনা থেকে লবণ সংগ্রহ করতে পারে।
সর্বোপরি অনেক পরিক্ষা করে প্রমাণিত হয় যে মানুষের যেমন লবণের চাহিদা আছে, ঠিক লবণাক্ত পানিতে যে সব প্রাণি বসবাস করে তাদের ও লবণাক্ত পানির প্রয়োজন। লবণ জিনিসটাই উপকারী। লবণের অভাব অন্য কোনো কিছু দিয়ে পূরণ করা সম্ভব না। তাই সমুদ্রে লবণের প্রয়োজন আছে।