নারিকেল গাঁছের গুণাগুন সম্পর্কে আপনি জানেন কি
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
নারিকেল গাঁছেরগুণাগুন সম্পর্কে আপনি জানেন কি?
পৃথিবীতে অনেক ধরণের গাঁছপালা আছে।কোনো গাঁছপালা ঔষধিগাঁছ হিসাবে কাজ করে। ঠিক তেমনি এই নারিকেল গাঁছকে ও ঔষধি গাঁছ হিসেবে ধরা যায়।তবে সেটা মানবদেহে প্রয়োগকারী ঔষধ না।পৃথিবীতে মানুষের বসবাস।আর বসবাস করতে হলে অবশ্যই ঘরবাড়ী থাকাটা প্রয়োজন । আমরা ঘরবাড়ী প্রস্তুুত করে ভাবি, আমাদের একটা বিশাল ঘর আছে আর কোনা চিন্তা নেই কিন্তুু আপনি জানেন কি?যখন আবহাওয়া খারাপ থাকে তখন প্রচন্ডবেগে বাতাস বয়ে যায়, এবং সেটা ঘূর্ণিঝড় হয়ে আক্রমণ করে ।পৃথিবীর সব প্রান্তেই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।আপনার বাড়ীর আঁশে-পাশে যদি কয়েকটা নারিকেল গাঁছ লাগানো থাকে তাহলে আপনার বাড়ী সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।সব ঝড় তুফান সয়ে নেওয়ার ক্ষমতা একটি নারিকেল গাঁছের আছে।একটি নারিকেল গাঁছ একশো জন লোকের শক্তির চেয়ে ও বেশি কাজ করে ঝড়ের দিনে।
প্রাচীন রীতিনীতি অনুযায়ী এটা চলমান হয়ে আসছে।আগেকার মানুষ তার বাড়ী তৈরির সময় বাড়ীর পাশে নারিকেলের চারা রোপন করতেন। কারণ তার ধারণা হয়ে যায় যে ঝড়বৃষ্টির হাত থেকে তার বাড়ীকে সুরক্ষিত রাখবে এই নারিকেল গাঁছ।আপনি জানেন কি?একটি নারিকেল গাঁছ মাটির নিচ দিয়ে পাঁশের দশটি বাড়ীতে পর্যন্ত তার মূল বিস্তৃত করতে পারে ।বৃক্ষ যেমন মাঠির উপরে ডালপালা বিস্তার করে।এই গাঁছ মাটির নিচ দিয়ে তার জড় বিস্তার করে।এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা এই প্রাচীন নিয়ম অনুসরণ করতেন তাদের বাড়ী সম্পূর্ণ অক্ষত থাকতো।বিশেষ করে গ্রামের লোকেরা তা মেনে থাকে। আর তারা বাড়ীর পাশে নারিকেল গাঁছ লাগায়।
এ সমন্ধে আমাদের বিস্তারিত জানতে হলে প্রাচীনতম সভ্যতায় ফিরে যেতে হবে।আগেকার দিনে জঙ্গলের বসবাসের সময় নারিকেল গাঁছের নারিকেল খেতো আদিম মানুষেরা ।আবার সেই নারিকেলকে অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার করতো। যুদ্ধ লাগলে যেমন করেপিস্তলের গুলি ছুড়ে মোকাবেলা করা হয়,ঠিক সেইভাবে শুকনো পাঁকা নারিকেল ছুঁড়ে শত্রুদের প্রতিহত করা হতো।আবার নারিকেল গাঁছের পাতা দিয়ে তারা তাদের বাড়ীর ছাদ তৈরি করতে পাতাকে কাজে লাগাতো।আবার শুকনো নারিকেলের খোঁসা দিয়ে আগুন জ্বালাতো।এবং ধূয়া সৃষ্টি করে পোকামাকড় থেকে নিজেদের রক্ষা করতো।নারিকেল গাঁছ অনেক লম্বা হতো তাই তারা নারিকেল গাঁছে ওঠে তাদের এরিয়াতে শত্রুপক্ষ আক্রমণ করতে আসছে কিনা সেই গতিবিধি লক্ষ্য রাখতো।পৃথিবীতে অনেক গভীর জঙ্গল আছে যেখানে নারিকেল গাঁছ লাগানো আছে।বিভিন্ন ছোট ছোট দ্বীপের মধ্যে ও এই নারিকেল গাঁছ লাগানো হয়। এর আরেকটি কারণ ও রয়েছে। নারিকেল গাঁছ যে জায়গায় লাগানো হয় সেই জায়গার আশে-পাশের মাঠি শক্ত থাকে।
প্রাচীন আমল থেকে এই প্রচলন চলছে। যা বর্তমান সমাজে দেখা যায় না বললেই চলে। কেউ বাড়ীর পাশে নারিকেল গাঁছ লাগায় না। তাই যখনই কোনো বড় ধরণের ঝড় ওঠে মানুষের ঘরবাড়ী তছনছ হয়ে যায়।কারণ আবহাওয়ার সাথে যুদ্ধ করার মতো পরম বন্ধু নারিকেল গাঁছ আপনার নেই বলে।নারিকেল গাঁছ অনেক উপকারী। যদি আপনি নারিকেল গাঁছের গুণাগুণ সম্পর্কে না জানেন তাহলে অনেক কিছুই আপনার অজানা থেকে যাবে।নারিকেল গাঁছ আসলেই একটি ওষধি গাছ।যা আপনাকে এবং আপনার ঘরবাড়ীকে রক্ষা করে। তাই আপনার গৃহ নির্মাণের সাথে সাথে পরম বন্ধুনারিকেল গাঁছের চারা রোপন করতে ভুলবেন না।