আজব কাহিনি-পৃথিবীর কোনো জেলে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি-১ম পর্ব
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
পৃথিবীর কোনো জেলে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি
আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুভিতে বা ওয়েব সিরিজে দেখে থাকি কয়েদিরা বিভিন্ন পদ্বতি অবলম্বন করে জেল থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তুু বাস্তবে জেল থেকে পালানো এতো সহজ নয়। কারণ বাস্তবের জেলগুলো অনেক সুরক্ষিত থাকে। এবং কয়েদিরা কোনো সুপার হিরো নয়। আর বাস্তবে কয়েদিরা জেল থেকে পালাতে পারে না । আর কিছু জেল স্পেশালভাবে নির্মাণ করা হয়। সাধারণ জেল থেকে পালালে ও এই জেলগুলো থেকে পালানো সম্ভব নয়। কিন্তুু কিছু স্পেশাল জেল থেকে কিছু কয়েদি পালিয়ে গিয়েছিল যা শুনে আপনি হয়তো অবাক হবেন, বিশ্বাস করবেন না। আপনাদের হয়তো জানা আছে, এলকাডাস জেল পৃথিবীতে যত জেল আছে তার মধ্যে অন্যতম একটি জেল, যা পৃথিবীর সবচেয়ে দূর্গম যায়গায় অবস্থিত এই জেলটি।
এই দূর্গম যায়গার জেলটি সমন্ধে আজ আপনাদের কিছু তথ্য দিব। বিভিন্ন কয়েদি বহুবার এ জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছে কিন্তুু তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তুু বলা হয়ে থাকে ১৯৬২ সালে এক কয়েদি এই জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। আর সেই ব্যক্তির জেল পালানোর পদ্বতি সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। সেই কয়েদির পালানোর ঘটনা বলার আগে সেই জেল সমন্ধে আপনাদের কিছুটা ধারনা দিয়ে রাখি। এই জেলটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৩৪ সালে। আর এটিকে পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে ১৯৬৩ সালে। এই পুরো জেলটিকে একটি দ্বীপে তৈরি করা হয়েছিল । এই দ্বীপটির অবস্থান সানফ্রানসিসকোর ক্যালিফর্নিয়া তটে। এই জেল থেকে সমুদ্র তীরের অবস্থান ৩ কিলোমিটার দূরে। যদিও কোনো সময় কোনো কয়েদি জেল থেকে পালানোর জন্য বায়রে চলে যায় তবুও সে এই পানির জন্য পালাতে পারতো না। আর এজন্যই এ জেলকে নির্মাণ করা হয়েছিল একটি দ্বীপে, যাতে করে কোনো কয়েদি পালাতে না পারে। আর এটা এতো সুরক্ষিত জেল যে পৃথিবীর বিখ্যাত যাঁদুকর হুডিনি ও এই জেল থেকে পালাতে ব্যর্থ হয়ে ছিলেন। কিন্তুু বলা হয়ে থাকে ফ্রান্ক মরিছ নামক এই জেল থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছিল । বলা হয়ে থাকে এই ব্যক্তির আই কিউ লেভেল পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের মধ্যে অন্যতম ছিল।
প্রথমে এই ব্যক্তি জেলে থাকা কয়েদি দের থেকে দুজনকে তার বন্ধু বানায়। তাদের দুজনের নাম ছিল, জন এবং ক্লিরামছ। ফ্রান্ক তার দুই বন্ধুদের সাথে পালানোর সমস্ত রকমের পরিকল্পনা শেয়ার করে। তারা লক্ষ করে জেলের উপড়ে দেয়ালে তিন ফুট প্রসস্থ একটি জানালা রয়েছে। তারপর তারা অনেক কষ্টে একটি ড্রিল বিট জোগাড় করে। তারপর তারা নষ্ট একটি বেনকম ক্লিনার ও জোগাড় করে ফেলে। এই নষ্ট জিনিসপত্র এবং তাদের বুদ্বিমত্তা দিয়ে তারা একটি ড্রিল মেশিন বানিয়ে ফেলে, খুব সময় নিয়ে তারা এগুলো করেছিল। তাই এটি করতে তাদের ৬ মাসের মতো সময় লেগেছিল। তারপর তারা সেই ড্রিল দিয়ে সেলের দেয়াল ছিদ্র করতে শুরু করে দেয় তবে, এই কাজে তাদের প্রধান সমস্যায় ফেলেছিল এই ড্রিল মেশিনেন শব্দ। তবে তারা আগে থেকেই দারুণ একটি পরিকল্পনা করে রেখেছিল। এই জেলে প্রতিদিন কিছু নির্দিষ্ট সময়ে তানা পিয়ানো বাজিয়ে কয়েদিরা মনোরঞ্জন করতো। আর তারা তাদের প্রতিদিন দেয়াল ছিদ্র করার কাজ ঠিক সেই সময়ে করতেন। প্রতিদিন একটু একটু করে ছিদ্র করতো এবং বাকি সময় একটা কাঁপড় দিয়ে সেই যায়গা ঢেকে রাখতো। তারা তাদের ছিঁড়া কাঁপড় দিয়ে আলাদা আলাদা তিনটি মুঁখোশ বানিয়েছিল। তারপর তারা এক জেল কতৃপক্ষের রেইনকোট চুরি করে।
আর সেই রেইনকোটকে সম্ভল করে ১৯৬২ সালে রাতে ফ্রান্ক এবং তার এক বন্ধুকে নিয়ে জেল থেকে পালিয়ে যায়। কারণ জেল থেকে সেই ছিদ্র দিয়ে ফ্রান্ক এবং তার সেই দুজন বন্ধুর মধ্যে একজন বের হতে পেরেছিল। তৃতীয় জন বের হতে পারেনি। তাই তাকে সেখানে রেখেই দুজনকে পালিয়ে যেতে হয়। তারা জেলের প্রাচির টপকানোর পরে সেই রেইনকোট হাওয়া দিয়ে ফুলিয়ে পানিতে ভাঁসিয়ে পালিয়ে যায়। তারা এতোটাই দক্ষভাবে কাজ করেছিল কাক পক্ষি ও টের পায়নি।