পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য – বিজ্ঞান ভিত্তিক
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আমরা পৃথিবীতে বসবাস করি এবং এটাও জানি পৃথিবীর অনেক বছর আগে সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমরা জখন পৃথিবীর আদিতে কি ছিল চিন্তা করতে গেলে আমাদের মাথা ঘুরে যায়, কল্পনা করেও কোন কিছু চিন্তা করে পাইনা৷
কিন্তু কিছু কিছু বৈজ্ঞানিক রিসার্চ অনেক তথ্য দিয়েছে যে কিভাবেএবং এখনও এই পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে শেষ করে যাচ্ছপৃথিবী সৃষ্টির কথা চিন্তা করলে প্রথমেই চলে আসে সৌরজগৎ এর কথা আমাদের পৃথিবী তৈরি হবার প্রায় 100 বিলিয়ন বছর আগে সৌরজগৎ তৈরি হয়েছে ইউনিভার্সে ধুলিকনা করা ছোট ছোট পাথর এবং গ্যাসীয় পদার্থ ঘুরতে থাকে এবং সেই ধুলিকনা, পাথর ও গ্যাস সংমিশ্রণ হয়ে বড় বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিস্ফোরণ সৃষ্টি করে অনেকে এস্ট্রোনট এবং এই এস্ট্রোনটগুলো সূর্যের চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়।
এই এস্ট্রোনট সূর্যের চারদিকে ঘুরতে থাকে এবং এই থেকে তৈরি হয় সৌরজগৎ। এবার আসি পৃথিবীর সৃষ্টি দিকে মোটামুটি চার দশমিক দশমিক ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে আমাদের পৃথিবী সৃষ্টি হয়। যখন ছোট ছোট এস্ট্রোনট ঘুরতে থাকে তখন তারা একে অপরের সাথে যোগ করতে থাকে এভাবে তারা গ্রহ থেকে গ্রহ হতে থাকে। ঠিক একইভাবে পৃথিবীর সাথে থিয়া নামক একটি গ্রহের ধাক্কা খায় যারা কানরে পৃথিবী জুড়ে যায় থিয়া মোটামুটি মঙ্গল গ্রহের সমান এবং এই ধাক্কার ফলে অনেকে মনে করেন যে পৃথিবীর কিছু অংশ খসে গিয়ে তৈরি হয় চাদ। থিয়ার সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষের ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পৃথিবী, গলিত লাভার সমুদ্র টকবক করে চারিদিকে, আর চারদিকে ছেয়ে যায় কালো মেঘ অতঃপর সেই মেঘ থেকে সৃষ্টি হয় বৃষ্টি, আর সেই মেঘ থেকে সৃষ্টি হয় বৃষ্টি কোটি কোটি বছর ধরে হতে থাকে মুষলধারে বৃষ্টি। এবং বৃষ্টিতে জমতে থাকে লাভা আর পৃথিবী হয়ে ওঠে জলাভূমি। জমতে থাকে বরফ সৃষ্টি হয় সাগর-মহাসাগর। সাথে সৃষ্টি হয় ছোট ছোট মহাদেশ সেই মহাদেশ গুলি একে অপরের সাথে যুক্ত হতে থাকে এবং সৃষ্টি করে বড় মহাদেশ যেটা হয়েছিল মোটামুটি 3.4 বিলিয়ন বছর আগে।
মোটামুটি 3.5 বিলিয়ন বছর আগে প্রথম সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে সৃষ্টি হয় অক্সিজেনের, পাথরের গায়ে জন্মানো নীলচে-সবুজ শেওলা থেকে প্রথম অক্সিজেন আসে তবে এটা ভালো কাজের করেনি। এই অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া মারা যায় যারা অক্সিজেন সহ্য করতে পারেনা আর এভাবেই 2.4 বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে অক্সিজেন অনেক পরিমাণে বেড়ে যায় যাকে বলা হয়ে থাকে গ্রেট অক্সিজেনেশন ক্রিসিস। প্রথম মহাদেশ তৈরি হবার পর কেমন কিছু পরিবর্তন ঘটেনি পৃথিবীতে একগিয়েমি সময় গিয়েছিল মহাদেশ এমনভাবে নাড়াচাড়া করে নি।
তেমন ভাবে পানির উন্নতি ঘটেনি। 750 মিলিয়ন বছর আগে হঠাৎ করে একটি বড় মহাদেশ অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে যায় পৃথিবী একেবারে ঠান্ডা হয়ে এক বিশাল বরফের গলার্ধে পরিনত হয়। এক ভয়ংকর শীতের সৃষ্টি হয় পৃথিবীতে। প্রায় 650 মিলিয়ন বছর আগে বায়ুমন্ডলে আরো একবার বাড়তে শুরু করে অক্সিজেন এবং এ সময়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের জন্ম হয় প্রাণী প্রথম সৃষ্টি হয় এককোষী জীব এরপর এককোষী থেকে দুকোষী অতপরঃ দুকোষী থেকে সৃষ্টি হয় বহুকোষী জীবের। এইভাবেই হতে থাকে প্রাণের বিস্ফোরণ। এইসময় সময় উদ্ভব হয় শিকার এ শিকারির। এবং কিছু কিছু জীবন থেকে চলে আসতে শুরু করে এর থেকে সৃষ্টি হয় উভচর প্রাণী। এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবী এরপর 230 মিলিয়ন বছর আগে সৃষ্টি হয় সবচাইতে বড় জীব ডাইনোসর, এরা পৃথিবীতে রাজত্ব চালিয়েছে বললেই চলে এরপর 199 মিলিয়ন বছর আগে সৃষ্টি হয় ফ্লাইং রেফিটাইলস বা বড় বড় ডানা ওয়ালা পাখি। ডাইনেসর ও রেফিটাইলসের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে এবং প্রায় 65 মিলিয়ন বছর আগে আবার প্রাণীকুল ধ্বংস হয় অর্থাৎ রেফিটাইলস ডাইনোসর ধ্বংস হয় কারণ একটাই উল্কা এসে পড়ে পৃথিবীতে, পৃথিবীকে প্রায় প্রানহীন করে ফেলে। বিলুপ্ত হয় ডাইনোসরের এভাবে চলতে থাকে পৃথিবী।
প্রায় ৬৩ মিলিয়ন বছর আগে আবারও দেখা যায় প্রাণী এবং 45 মিলিয়ন বছর আগে জন্ম হয় উন্নত ও আধুনিক প্রাণী। প্রায় ৬ মিলিয়ন বছর আগে দেখাতে আদিম মানুষ শিল্পাঞ্জি জাতীয় প্রাণী এভাবেই সময় চলতে থাকে এবং 1.4 মিলিয়ন বছর আগে মানুষ আগুনের ব্যবহার শিখে। এভাবে মানুষ উন্নত সাধন করতে থাকে শিখে করতে এবং পরবর্তীতে চাষ করতে শিখে এবং এইভাবে যতই দিন যেতে থাকে মানুষ ততই ঘনীভূত হতে থাকে এভাবে মানুষ হয়ে ওঠে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণী। বৈজ্ঞানিকের অগ্রগতির ফলে আজ মানুষ চাঁদে যেতে সক্ষম হয়েছে এবং সবকিছু উন্নত করতে সক্ষম হয়েছে।
এভাবে আজ পর্যন্ত চলতেছে পৃথিবী।