KiHobe Latest Questions

Ashit Sharkar
  • 0

রহস্যজনক কুশিয়ারা নদীর ডর,কি ছিল মূল রহস্য ?

  • 0
রহস্যজনক কুশিয়ারা নদীর ডর,কি ছিল মূল রহস্য ?

Leave an answer

You must login to add an answer.

2 Answers

  1. ঘটনা কি সত্য? :anguished::anguished::anguished:

  2. রহস্যজনক কুশিয়ারা নদীর ডর

    সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রাম, নাম বিরশ্রী।যেটি ভারতের করিমগঞ্জ এর পাশে অবস্থিত। করিমগঞ্জ এবং জকিগঞ্জ এর মধ্যবর্তী বয়ে চলেছে কুশিয়ারা নদী যেটি দু’দেশের সীমান্ত আলাদা করে রেখেছে।আর এসব নদীর নিচে কিছু বাধাগ্রস্ত হওয়ার  ফলে স্রোতের মধ্যে একটি ঘূর্ণনের সৃষ্টি  হয়।আর এ ঘূর্ণনের মধ্যে যদি কিছু পড়ে তা নদীর নিচে তলিয়ে যায়।আর এ অংশকে বলা হয় নদীর ডর।

    এ কুশিয়ারা নদীর পাড়েই বাংলাদেশ সীমান্তে গ্রামটি অবস্থিত।প্রাককালে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিখ্যাত দানবীর গুরুসদয় দত্ত এর নির্মিত প্রাচীন স্কুল গুরুসদয় হাই স্কুল এখানে অবস্তিত।আরে গুরুসদয় স্কুলের পাশেই যে ডর, এই ডরের কাহিনী প্রায় একশ থেকে দেড়শো বছর আগের কথা। গ্রামের প্রায় সবাই এই কাহিনী টা জানে।

    নদীর এই ডর জায়গাটা খুবই খারাপ। এখানে আগে যখন বর্ষা মৌসুমে বড় বড় লঞ্চ বা নৌকা ভুলে এই ডরের উপর দিয়ে যেত তা নিমিষেই পানির নিচে তলিয়ে যেত।এখানে বলে রাখা ভালো যে নরমালি অন্য যেসব ডর সেসবের মধ্যে কোন নৌকা ডুবতো না।তাই সবাই এই ডরকে পাশ কঠিয়ে অন্য দিকে যেত।পূর্ণিমা এবং অমাবস্যার রাতে গ্রামের অনেকেই দেখেছে যে এই ডরে একজন বৃদ্ধ পুরুষ এবং বৃদ্ধ মহিলা বসে থাকতো। এবং তারা কান্না করত। যেটি কিনা গ্রামের অনেকেই দেখেছে।এই জায়গাটা এই রকম দোষী হওয়ার কথিত কারণ রয়েছে।

    আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগের কথা। এই ডরটি যেখানে অবস্থিত এখানে একটি ছোট্ট কুঁড়েঘর ছিল।এবং বর্তমান কুশিয়ারা নদীর পাড় ছিল এটি।কুড়ে ঘরে বসবাস করত এক বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা।তাদের ঘরের আশেপাশে কোন ঘর ছিল না। তারা স্বামী-স্ত্রী ছিল। কিন্তু তাদের কোন সন্তানাদি ছিল না। স্বামী ও স্ত্রী মিলে তারা ভালই আয় রোজগার করত এবং তাদের সুখের সংসার ভালোই চলছিল।কোন ধরনের অভাব-অনটন বা অশান্তি ছিল না তাদের পরিবারে। ওই বৃদ্ধ পুরুষ এবং বৃদ্ধ মহিলা সারা জীবন কষ্ট করে তারা তাদের কুটিরে তাদের সারা জীবনের সম্পদ রেখেছিল। বিষয়টি গ্রামের কিছু খারাপ লোকের চোখে পড়ে।একদিন পূর্ণিমার রাতে তাদের ঘরে কিছু খারাপ লোক ডুকে ওই বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধাকে গলায় ছিয়া(ধান কুটার জন্য বড় গদার মত বস্তু) দিয়ে চেপে হত্যা করে, এবং তাদের জমানো সারা জীবনের কষ্টের সম্পদ নিয়ে যায় এবং কথিত আছে যে তখন তাদের এই ঘরেই  সমাধিস্থ করা হয়।এর কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় নদী ভাঙ্গন। নদী ভাঙ্গনের কবলে তাদের এই বাড়িটিও বিলীন হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে  আস্তে আস্তে নদী ভাঙতে ভাঙতে বাড়িটি প্রায় নদীর মাঝে  চলে যায়।তারপর ঠিক বাড়ির উপরেই এই ডরের সৃস্টি হয় এবং তার পর থেকেই নানা অলৌকিক ঘটনা গুলো ঘটতে থাকে।বর্তমানকালেও অমাবস্যা এবং পূর্ণিমা রাতে অনেকেই এই অলৌকিক ঘটনাগুলো দেখে থাকেন।