Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
টিভি দেখতে লাইসেন্স- আবাসিক ও বানিজ্যিক ফি
আপনি কি জানেন টিভি দেখতে লাইসেন্স লাগে হ্যাঁ সেটা অবিশ্বাসের কিছু না আমাদের বাংলাদেশী টিভি দেখতে লাইসেন্স লাগে। যখন টিভি অথরিটি বাসা তল্লাশি করতে আসত অনেকেই টিভি লুকিয়ে রাখতেন কেননা তাদের টিভি দেখা লাইসেন্স ছিল না বিষয়টি অনেক হাস্যকর হলেও এই এই আইনটি বলবৎ রয়েছে। ২০০০ সাল থেকে সাল ২০০৪ পর্যন্তRead more
আপনি কি জানেন টিভি দেখতে লাইসেন্স লাগে হ্যাঁ সেটা অবিশ্বাসের কিছু না আমাদের বাংলাদেশী টিভি দেখতে লাইসেন্স লাগে। যখন টিভি অথরিটি বাসা তল্লাশি করতে আসত অনেকেই টিভি লুকিয়ে রাখতেন কেননা তাদের টিভি দেখা লাইসেন্স ছিল না বিষয়টি অনেক হাস্যকর হলেও এই এই আইনটি বলবৎ রয়েছে। ২০০০ সাল থেকে সাল ২০০৪ পর্যন্ত খুব বেশি করাকরি হয়েছে ঢাকার এলাকায়। তবে বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে এটি শিথিল হয়ে গেছে। এই প্রজন্মের অনেকেই জানেনা এক সময় টিভি দেখতে লাইসেন্স লাগতো এবং সেটি খুব কড়াকড়ি ভাবে মানা হতো।
টেলিভিশন লাইসেন্সঃ
টেলিভিশন সেট প্রস্তুত/সংযোজন/আমদানী, ক্রয়-বিক্রয় এবং আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহৃত টেলিভিশন সেট লাইসেন্সের আওতাভূক্ত করার লক্ষ্যে ”দ্য ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফী অ্যাক্ট, ১৯৩৩” এর অধীনে ”দ্য টেলিভিশন রিসিভিং অ্যাপারেটাস (পজেশন এন্ড লাইসেন্সিং) রুলস, ১৯৭০” প্রণীত হয়েছে। উক্ত রুলস্ এ আবাসিক ভিত্তিতে ব্যবহৃত টেলিভিশন এর জন্য আবাসিক টেলিভিশন লাইসেন্স এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত টেলিভিশন এর জন্য বাণিজ্যিক টেলিভিশন লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বিদ্যমান।
ক) টেলিভিশনের আবাসিক লাইসেন্সঃ
টেলিভিশন ক্রয়ের ক্যাশমেমো/ ইনভয়েস এবং একত্র ০৩ (তিন) বছরের লাইসেন্স ফি জনতা ব্যাংকের যে কোন শাখায় জমা দিয়ে এককালীন আবাসিক লাইসেন্স সংগ্রহ করা যায়। আবাসিক টেলিভিশনের লাইসেন্স ফি নিম্নরুপঃ
১) সাদা-কালো টেলিভিশন
মাসিক ২০০/-
এককালিন ৬০০/-
সারচার্জ মাসিক ১৫/- বাৎসরিক (সবোর্চ্চ) ১৫০/-
২) সাধারণ রঙিন ২১ ইঞ্চি পযর্ন্ত
মাসিক ৫০০/-
এককালীন ১,৫০০/-
সারচার্জ মাসিক ৪০/- বাৎসরিক (সবোর্চ্চ) ৪০০/-
৩)
সাধারণ রঙিন ২২ ইঞ্চি বা তদু্র্ধ্ব
মাসিক ৬০০/-
এককালিন ১,৮০০/-
সারচার্জ মাসিক ৪০/- বাৎসরিক (সবোর্চ্চ) ৪০০/-
৪) LCD/LED ২১ ইঞ্চি পযর্ন্ত
মাসিক ৬০০/-
এককালীন ১,৮০০/-
সারচার্জ মাসিক ৪০/- বাৎসরিক (সবোর্চ্চ) ৪০০/-
৫) LCD/LED ২২ ইঞ্চি হতে ৩৬ পযর্ন্ত
মাসিক ৮০০/-
এককালীন ২,৪০০
সারচার্জ মাসিক ৪০/- বাৎসরিক (সবোর্চ্চ) ৪০০/-
LCD/LED ৩৭ ইঞ্চি বা তদূর্ধ্ব
মাসিক১,০০০/-
এককালীন ৩,০০০/-
সারচার্জ মাসিক ৪০/-বাৎসরিক (সবোর্চ্চ ৩৬০০)
বাণিজ্যিক টেলিভিশন লাইসেন্সঃ
কি হবে কানাডিয়ান জামাই দিয়ে ?
কানাডিয়ান জামাই.........! ঋতু এবং অপূর্ব একই ইউনিভার্সিটি তে পড়ে। একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি।ঋতু হচ্ছে উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে, আর অন্যদিকে অপূর্ব হচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। ঋতু এবং অপূর্ব তারা এসএসসি পাস করার পর পর থেকেই একে অন্যকে পছন্দ করে এবং তাদের ভালোবাসা আজ প্রায় ৬-৭ বছর Read more
কানাডিয়ান জামাই………!
ঋতু এবং অপূর্ব একই ইউনিভার্সিটি তে পড়ে। একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি।ঋতু হচ্ছে উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে, আর অন্যদিকে অপূর্ব হচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। ঋতু এবং অপূর্ব তারা এসএসসি পাস করার পর পর থেকেই একে অন্যকে পছন্দ করে এবং তাদের ভালোবাসা আজ প্রায় ৬-৭ বছর হতে গেছে।তারা একে অন্যকে অনেকটাই ভালোবাসত তবে বাস্তবতার কাছে তাদের ভালোবাসা একদিন হেরে যায়। আর ভালোবাসা হারার মূল কারণ হচ্ছে সেই কানাডিয়ান জামাই সাথে ঋতুর লোভ।
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। দেখতে দেখতে ইউনিভার্সিটির লাইফটাও শেষ হয়ে গেল। ঋতুর পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে এমনকি তারা পাত্র খোঁজা শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে অপূর্ব মাত্র ইউনিভার্সিটির পড়ালেখা শেষ করলো। এখনো মাস্টার্স করা বাকি বা একটা চাকরি ম্যানেজ করা হয়নি এখন পর্যন্ত। এই অবস্থায় এসে ঋতুর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিবে যেটা কিনা তার জন্য আকাশকুসুম কল্পনার মতোই। এরমধ্যে অপূর্ব তার পরিবারে জানানোর জন্য যে যোগ্যতা অর্জন করা দরকার সেটাও সে করতে পারেনি। কিন্তু সে ঋতুকে অনেক অনেক অনেক বেশি ভালোবাসতো।একবার সে চিন্তা করল যে ঋতুকে নিয়ে পালিয়ে যাবে। বা কোর্ট ম্যারেজ করে ফেলবে। কিন্তু ঋতু রাজি হলো না।
অলরেডি ঋতুর পরিবার থেকে কয়েকটি ছেলে দেখা হয়ে গিয়েছে। ঋতু দেখতে অনেক সুন্দর ছিল সেজন্য অনেক ভালো ভালো পরিবার থেকে আলাপ এসেছে। এর মধ্যে একটি ছেলে ছিল কানাডিয়ান প্রবাসী। কানাডিয়ান প্রবাসী বলে ঋতুর পরিবারের অনেকেই সেই ছেলেকে পছন্দ করলেন। ঋতুর ও মোটামুটি ছেলেটাকে ভালো লাগলো। ঋতুর পরিবারের সবাই ঋতুর মত জানতে চাইলে ঋতু আর না করল না। সে রাজি হয়ে গেল। এমন কানাডিয়ান ছেলেকে কে মিস করে?
অন্যদিকে অপূর্ব সেই ঘটনা জেনে সেই বিয়ে ভাঙ্গার জন্য রিতুকে অনেক বেশি রিকুয়েস্ট করলো। কিন্তু ঋতু কোনোভাবেই সে তার মতামত থেকে সরে আসতে পারছে না। সে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখাতে লাগলো। যেসব অজুহাতের কোন ভিত্তি ছিল না। অপূর্ব ঋতুর সেই অজুহাত গুলো দেখে সেও বুঝতে পারল। আজ অপূর্ব বেকার বলে, ভালো চাকরি নাই বলে, ইউরোপের ভিসা বা কানাডিয়ান না বলে অপূর্ব সে তার ভালোবাসাকে হারালো। অপূর্ব ঋতুকে অনেক বুঝিয়েছে। কিন্তু ঋতু বিভিন্ন অজুহাতে দেখাতেই থাকলো। শেষমেষ অপূর্ব ঋতুকে বুঝাতে ব্যর্থ।
কিছুদিনের মধ্যেই রিতুর বিয়ে হয়ে গেল সেই কানাডিয়ান ছেলের সাথে।রিতু মনে মনে অনেক খুশি হল এবং কানাডিয়ান জামাই পেয়ে সে মনে মনে অনেক বেশি আনন্দিত। ফাস্ট ওয়াল্ড এর একজন মানুষের সাথে তার বিয়ে হয়েছে মানে সেও ফাস্ট ওয়াল্ড এর একজন বাসিন্দা হয়ে যাবে। যেটা কিনা ঋতুর ভাবতেও তার অনেক বেশি ভালো লাগছিল। সবকিছুই যেন তার স্বপ্নের মতই চলছে।
সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু বিয়ের সময় কানাডিয়ান জামাই পেয়ে/ তার ভালবাসার অতীত কাহিনী কিংবা বিভিন্ন ঘটনাসমূহ কিভাবেই যেন খুব সহজেই ভুলে যেতে লাগল।
প্রায় বছর খানেক পর,অপূর্বের ও বিষয়টা আস্তে আস্তে হালকা হতে থাকলো। সেও তার মন থেকে ঋতুকে কিছুটা মুছে ফেলেছে। অনেকদিন আগে স্কলারশিপের জন্য সে কানাডাতে এপ্লাই করে রেখেছিল। দু’বছর মাস্টার্স এর জন্য। যথারীতি সে কানাডাতে চলে যায় এবং মাস্টার্স কমপ্লিট করে দু’বছর পর।মাস্টার্স শেষ করার সাথে সাথেই সে খুব ভালো একটি চাকরিও পেয়ে যায় কানাডাতে। এবং সে পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এপ্লাই করে। এবং সেটাও তার হয়ে যায়। এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। স্বপ্নের মত সে যা চাচ্ছে তার চেয়েও বেশি কিছু পেয়ে যাচ্ছে সে। তবে পাওয়ার পিছনে ছিল তার সততা এবং কঠোর পরিশ্রম। খুব ভাল একটা পজিশন এ অপূর্ব কানাডাতে।
হঠাৎ একদিন অপূর্ব একটি সুপার শপে বাজার করতে গেল এবং দেখতে পেল ঋতু সেই সুপারশপের দারোয়ানের চাকরি করছে। অন্যদিকে ঋতুর, হাজবেন্ড সেই সুপারশপের সেলসম্যান। ঋতু রীতিমতো অপূর্ব কে দেখে থমকে গেল অপূর্ব এখানে কিভাবে। ঋতুর সাথে অপূর্বের দেখা হলো এবং তারা কথা বললো। পরবর্তীতে ঋতু অপূর্বকে তার হাজবেন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল তার কলেজ ফ্রেন্ড বলে। অপূর্ব ঋতু এবং তার হাজবেন্ডকে ডিনারের দাওয়াত দিল একটি ফাইভ স্টার রেস্টুরেন্ট। তখন সেই ডিনারে অপূর্ব তার সাথে ঘটে যাওয়া বিগত তিন চার বছরের কাহিনী সব কিছু বর্ণনা করলো, কিভাবে কানাডাতে আসা, স্কলারশিপ পাওয়া, ইত্যাদি। এবং সে সফলও হয়েছে।খুব ভালো একটা অবস্থায় আছে অপূর্ব।
অন্যদিকে ঋতু এবং তার হাজবেন্ড খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। অনেকটা স্ট্রাগলিং লাইফ বলা চলে, অনেক পরিশ্রম করতে হয় তাদের। শুরুতে সে যেরকম কানাডিয়ান জামাই বা কানাডার বিভিন্ন রঙিন স্বপ্ন দেখেছিল বাস্তবে তার ঠিক উল্টো। যে কানাডা কিংবা কানাডিয়ান জামাইয়ের জন্য তার পুরনো ভালোবাসাকে ভুলে যেতেও দুবার ভাবেনি সেই পুরনো ভালোবাসা আজ কানাডার বুকে প্রতিষ্ঠিত।
See lessসিলেটের দর্শনীয় স্থানসমূহ পর্ব-৮ “সর্বোচ্চপাহাড় চূড়া ‘কালাপাহাড়”
সিলেটের সর্বোচ্চ চুড়া কালাপাহাড়। নামটি কালাপাহাড় হলে কি হবে এটি সবুজেঘেরা এক অরণ্যময় পাহাড়।এমনকি এটি বাংলাদেশের উত্তর অংশেরও সর্বোচ্চ বিন্দু।বাংলাদেশ জিওগ্রাফিক সোসাইটির মতে, এই পাহাড়টি 'হারারগঞ্জ পাহাড়' নামেও পরিচিত। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে কালা পাহাড়ের উচ্চতা ১,১০০ ফুট। একদল স্থানীয় অভিযাত্রী যাদেরRead more
সিলেটের সর্বোচ্চ চুড়া কালাপাহাড়। নামটি কালাপাহাড় হলে কি হবে এটি সবুজেঘেরা এক অরণ্যময় পাহাড়।এমনকি এটি বাংলাদেশের উত্তর অংশেরও সর্বোচ্চ বিন্দু।বাংলাদেশ জিওগ্রাফিক সোসাইটির মতে, এই পাহাড়টি ‘হারারগঞ্জ পাহাড়’ নামেও পরিচিত। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে কালা পাহাড়ের উচ্চতা ১,১০০ ফুট। একদল স্থানীয় অভিযাত্রী যাদের নাম “বিডি এক্সপ্লোরার ” তারা এই চূড়াটি খুঁজে পায় ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে এবং গারমিন চালিত জিপিএস দিয়ে পরিমাপ সর্বোচ্চ বিন্দু ১,০৯৮ ফুট।এই পাহাড়ের ৬০% বাংলাদেশে পড়েছে এবং বাকি ৪০%অংশ ভারতের উত্তর ত্রিপুরায় অবস্থিত। ভারতে ত্রিপুরায়এর বাকি অংশ “রঘুনন্দন” পাহাড় নামে পরিচিত।
কালা পাহাড়ের পর্বতশ্রেণীকে স্থানীয় ভাষায় স্থানীয়রা “লংলা পাহাড়শ্রেণী” নামে ডেকে থাকেন।এই জায়গাটি মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত। মৌলভীবাজারের আজগরাবাদ উপজেলায় এর অবস্থান।আজগরাবাদ চা বাগান থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই কালাপাহাড়। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এই পাহাড়ে আপনি মৌলভীবাজারের কয়েকটি উপজেলা থেকে খুব সহজে যাওয়া যায়। মৌলভীবাজারের জুরী উপজেলার রাজকি চা বাগান থেকেও আপনি এই পাহাড় দেখতে পারবেন। এমনকি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার রবির বাজারের নিকটে অবস্থি আজগরাবাদ টি স্টেট থেকে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা পথ হেটেই চলে যাওয়া যাবে কালা পাহাড়ে । এছাড়া জুরী উপজেলার ফুলতলা বাজারের কাছে অবস্থিত রাজকি টি স্টেট থেকেও কালা পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ কর যায়। এই কালা পাহাড়ে যাওয়ার পথে অনেক টি স্টেট আপনার চোখে পড়বে। চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজার আপনি গিয়েছেন এই স্টেট গুলি আপনাকে বার বার মনে করিয়ে দিবে।
যারা সবসময় অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় ঘুরে বেরায় তাদের ঝুলিতে এই কালাপাহাড়ের গল্প ও যুক্ত করতে পারবেন ভ্রমনপিয়াসু মানুশ।বিখ্যাত প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ধর্মীয় স্থান” ঊনকোটি ” যেটি কিনা এই পাহাড়টির পাদদেশে অবস্থিত। শরৎকালে যখন আকাশ পরিষ্কার থাকে,তখন এই কালা পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়া থেকে হাকালুকি হাওরের নীল পানির সৌন্দর্য দেখা যায়। এমনকি এই পাহাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে খাসিয়া পল্লী। সেই পল্লী গুলোর রয়েছে বিভিন্ন নাম – নুনছরা পুঞ্জি,পানাইছরা পুঞ্জি,পুটিছরা পুঞ্জি এবং বাইগঞ্ছরা পুঞ্জি।
কালা পাহাড়ের পর্বতশ্রেণীকে স্থানীয় ভাষায় স্থানীয়রা “লংলা পাহাড়শ্রেণী” নামে ডেকে থাকেন। আজগরাবাদ টি স্টেট থেকে আপনি যদি কালাপাহাড় যান তাহলে প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ি ও ঘুরে যতে পারবেন খুব সহজে।এই পুরোনো স্থাপনার সবচেয়ে বড় আকর্ষন হলো শিয়া সম্প্রদায়ের নকশা করা একটি চমৎকার ইমামবাড়া। প্রত্যেকটি স্থাপনাতে আভিজাত্যের ছাপ স্পষ্ট দেখতে পারবেন আপনি। এ ছাড়া পাশেই রয়েছে চমৎকার শান বাঁধানো ঘাটসহ বিশাল দীঘি। পৃথিমপাশার চমৎকার স্থাপনাটা মিস করবেন না যাএা পথে। আজগরাবাদ বাগানের রাস্তা শেষ হতেই পাহাড়ি পথ ধরে বেগুনছড়া পুঞ্জির শুরু, যাএা পথে খাসিয়া জনগোষ্ঠীর এই সম্প্রদায়ের সাথে ও দেখা হবে আপনাদের।পাহাড়ি ঝিরি আর কয়েকটা বাঁশের সাঁকো ও আপনার চোখে পরবে। হাটতে হাটতে প্রায় ৪০ মিনিট পরে দূর থেকেই চোখে পড়বে টিনের ছাদ আর পাঁকা বাড়ি সমেত বেগুনছড়া পুঞ্জি। এখানকার খাসিয়া জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস পান চাষ। পানের বড় বড় বারা আপনার চোখে পড়বে আর মনে হবে আপনি কোন এক পানের রাজ্য বিচরণ করেছেন। এছাড়াও চোখে পড়বে অধিবাসীদের প্রার্থনার স্থান আর একটা ছোট স্কুলঘরও।
বৃষ্টির দিনে ভুল করেও কালাপাহাড়ে যাবেন না, কারণ বৃষ্টির সময় পাহাড়ে বিচরণ করাটা প্রচন্ড কষ্টসাধ্য। বৃষ্টিতে পাহাড়ি পথ হয়ে উঠে প্রচণ্ড পিচ্ছিল। তারমধ্যেই খাঁড়া জায়গাগুলোর মাটি আলগা হয়ে ধ্বসে পড়াতে আরোহন করা বেশ দুরূহই হয়ে উঠে। এই পাহাড়ে হাতির বিচরণ ও হয়ে থাকে তবে এগুলো মূলত পোষ্য হাতি। সীমান্তের কাঁটারের বেড়ায় আটকে গেছে বন্যহাতির অবাধ বিচরণ। এছাড়া বৃষ্টির দিনে পাহাড়ে দেখা যায় টইগার হাতির পাল, সেইজন্য বর্ষাকালে এই পাহাড়ে না যাওয়াটাই উওম। কালাপাহাড়ের চূড়ায় পৌছে আপনি নিজেকে আবিস্কার করবেন এক অন্য জগতে যেখানে দাড়িয়ে আপনি পুরো সিলেটকে দেখতে পারবেন এক নজরে। শুধু সিলেট বললে ভুল হবে আপনি দেখতে পারবেন ভারতের এিপুরা রাজ্যর কিছু অংশও।
কিভাবে যাবেন ও খাবেন কোথায়ঃ
ঢাকা থেকে কালা পাহাড় আসতে হলে অবশ্যই আপনাকে কুলাউড়াগামী ট্রেন অথবা বাসের টিকেট কেটে কুলাউড়া যেতে হবে। আপনি চাইলে শ্রীমঙ্গল অথবা মৌলভীবাজার গামী ট্রেন অথবা বাসপর টিকেট করে নিতে হবে। মৌলভীবাজার থেকে অটোতে রবিরবাজার হয়ে আজগরাবাদ চা বাগানে আসতে হবে। লোকাল সিএনজিতে গেলে জন প্রতি ৫০-৬০ টাকার মতো খরচ পড়বে। আজগরাবাদ অথবা বেগুনছড়া পুঞ্জি থেকেই একজন অভিজ্ঞ গাইড খুঁজে নিতে হবে। সাথে গাইড নিয়ে গেলে কালা পাহাড়ের পাশেই ভারত সীমান্ত, তাই পথ ভুল হলে তা বড় ধরনের বিপদের কারণ হতে পারে।
খাওয়ার জন্য আপনারা আজগরাবাদ চা স্টেট এ হালকা নাশতা করে যেতে পারেন যেহেতু পাহাড় এ যাবেন তাই ভারী খাবার থেকে একটু দূরে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ফিরে এসে শহরে কিছু খেয়ে নিবেন পাঁচ ভাই অথবা পানসী রেস্টুরেন্টে। এই রেস্টুরেন্টের খাবারের মান অনেক ভালো। থাকার জন্য শহরে যেকোন ভালো মানের হোটেলই আপনাকে বেছে নিতে হবে।
See lessভূত গল্প – ১০
আমার পরিবারে আমার কাকুর সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যদি ঘটনাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগে তবে শেয়ার করবেন প্লিজ । আমি কথা না বাড়িয়ে সরাসরি আমার ঘটনায় চলে যাচ্ছি। আমার নাম অমিত। আমি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছি। আমার জন্মের আগেই আমার কাকু মারা যান । উনার মৃত্যুর প্Read more
আমার পরিবারে আমার কাকুর সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
যদি ঘটনাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগে তবে শেয়ার করবেন প্লিজ ।
আমি কথা না বাড়িয়ে সরাসরি আমার ঘটনায় চলে যাচ্ছি।
আমার নাম অমিত।
আমি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছি।
আমার জন্মের আগেই আমার কাকু মারা যান ।
উনার মৃত্যুর প্রায় অনেক বছর হয়ে হয়ে গেছে ।
কাকুর সাথে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি আমার মায়ের মুখ থেকে শুনা।
আমার বাবা এবং কাকু তারা দুইভাই ছিলেন।
এবং তাদের একমাত্র নয়নের মনি ছিলেন আমার ছোট পিসি। কাকু বেশি পড়ালেখা করেননি উচ্য মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরে তিনি ব্যবসা করবেন বলে বাবাকে জানান। কাকুর আগ্রহ দেখে বাবা ও বাঁধা দেননি ।
তিনি রাজি হয়ে গেলেন। বাবা কাকুকে শুধু একটা কথাই বললেন যাই করো না কেন সৎভাবে উপার্জন করার চেষ্টা করবে। কাকু ব্যবসা বাণিজ্য বেশি পছন্দ করতেন। তাই বাবার কথা মেনে নিলেন। বাবা বেশ কিছু টাকা দিতে চাইলেন। কাকু নেন নি তিনি বললেন ওই টাকা সৃষ্টির বিয়ের জন্য রেখে দাও ( সৃষ্টি হলেন আমার ছোট পিসি)
তিনি চেয়েছিলেন কারো সাহায্য ছাড়া নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে।
কাকু বাবার ও কোনো সাহায্য নিতে চান নি।
তবে কাকুর এক বন্ধু ছিলেন নির্মল কাকু।
তিনি কাকার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে একজন। তিনি আর কাকু মিলে যৌথ ব্যবসা করেন।
নির্মল কাকুকে বাবা তেমন একটা পছন্দ করতেন না। এর একটা কারণ ও রয়েছে ।
তিনি অবৈধ ব্যবসা করে পুলিশের কাছে ধরা পরে জেলে যান। এরপর থেকে বাবা তাকে কখনও ভালো চোঁখে দেখেন নি। যখন ই নির্মল কাকু আমাদের বাড়ীতে আসতেন বাবা কখনও উনার সামনে আসতেন না।
আমার কাকু এবং নির্মল কাকু তারা ঠিক করলেন ঢাকা গিয়ে কাঠ গাছের ব্যবসা করবেন।
পরে তারা সেই ব্যবসা শুরু ও করেন।
তারা বিভিন্ন যায়গা থেকে কাঠ গাছ সংগ্রহ করে বিভিন্ন মিলে সাপ্লাই দিতেন। কাকুর ব্যবসাটা ভালই চলছিল।
হঠাৎ একদিন কাকু খেয়াল করলেন তার অর্ডারের চেয়েও বেশি কাঠ মিলে যাচ্ছে। পরে তিনি বুঝতে পারেন এটা নির্মল কাকুর কাজ। পরে তাদের ব্যবসা আলাদা করে ফেলেন। কাকু একা নিজে ব্যবসা করতে থাকেন এবং পরবর্তীতে তিনি প্রচুর টাকার মালিক হয়ে যান।
তখন ছোট পিসির বিয়ের কথা বার্তা চলছিল।
পরে ভালো পরিবারে বিয়ে হয়ে যায় ছোট পিসির ।
কাকু আর বাবা অনেক টাকা খরচ করে পিসির বিয়ে দেন।
পিসির বিয়ের কিছুদিন পরেই ঘটে সেই ঘটনাটা ।
যেটা কেউ মেনে নিতে পারছিলেন না ।
ঢাকা থেকে একটা খবর আসে কাকু মারা গেছেন।
খবর পেয়ে বাবা ছোটে যান, গিয়ে হাসপাতালের মর্গে পরে আছে কাকুর লাঁশ । ডাক্তারের কাছ থেকে জানা যায় কাকুর শরীরে বিঁষ পাওয়া গেছে এবং সেটা কেউ ইচ্ছে করে খাবারের সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।
বাবা এই কথা শুনে ভীষণ ভেঁঙ্গে পড়েন ।
পুলিশ উনাকে শান্তনা দেন এবং বলেন আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। আমাদের কাজ শেষ আপনি লাঁশটি নিয়ে যেতে পারেন। পরে বাবা অ্যাম্বুলেন্স করে কাকুর লাঁশটি বাড়িতে নিয়ে আসেন। কাকুর মৃত্যুর খবর পেয়ে ছোট পিসি কাঁদতে কাঁদতে আমাদের বাড়িতে আসেন।
সব নিয়ম কানুন শেষে কাকুর লাঁশটিকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল হঠাৎ বৃষ্টি নামবে এরকম অবস্থা। তাই দ্রুত ও কাকুর লাঁশটিকে শ্মশানে মূখ আগ্নি করেন কিছুক্ষণ থাকার পর বৃষ্টি আসবে দেখে বাবা সহ সবাই চলে আসেন।
তখন প্রচুর বৃষ্টি নামে।
পরের দিন রাতে একজন শ্মশানের পাঁশ দিয়ে আসছিলেন তিনি নাকি কাকুকে শ্মশানের ভিতর কাঁদতে দেখেন।
তিনি ভঁয় পেয়ে সেখান থেকে দৌড়ে চলে যান।
ঠিক একই কথা গ্রামের আরেকজন লোক বলেন।
একদিন বাবা স্বপ্নে দেখেন কাকু কাঁদতে কাঁদতে উনার কাছে আসেন এবং বলেন আমি বড় কষ্টে আছি দাদা ।
অনেকবার এই কথাটি বলেন । পরে বাবার ঘুম ভেঁঙ্গে যায়।
তিনি সব কথা মাকে বলেন। মা সব কথা শুনে বাবাকে বলেন একজন পুরোহিতকে ডেকে এর কোনো কারণ জানা যেতে পারে।
এর মধ্যে আরেকটি ঘটনা ঘটে কাকুর মৃত্যুর পর থেকে রোজ রাতে নাকি ঘুমানোর জন্য চোঁখ বন্ধ করলেই চোঁখের সামনে কাকুকে দেখতে পান নির্মল কাকু।
কাকুর শরীরে আগুন জ্বলছে আর একটি মশাল নিয়ে নিমর্ল কাকুকে মারার জন্য কাকু নাকি এগিয়ে আসেন।
কথায় আছে পাপ কখনো চাপা থাকেনা নির্মল কাকু নিজেই পুলিশের কাছে গেলেন এবং কাকুর খাবারে বিঁষ দিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। এই কথা শুনে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আদালতের রায়ে তার ফাঁসি কার্যকর হয়।
এদিকে বাড়িতে পুরোহিতকে ডেকে জানতে পারেন কাকুর লাঁশ নাকি পুরোপুরি অন্তিম সংস্কার হয়নি। সেদিন বৃষ্টি চলে আসে এবং বৃষ্টির পানিতে নাকি আগুন নিভে যায়।
পুরো শরীরের মধ্যে ৩০% পুড়লে ও বাকি ৭০% পুড়েনি।
পরে বাবা একা শ্মশান ঘাটে যান এবং কাকুর অর্ধ পুড়া দেহটাকে আবার নতুন করে আগ্নি করেন।
যতক্ষণ পর্যন্ত পুরো দেহ পুড়ে ছাঁই হয়নি ততক্ষণ পর্যন্ত বাবা সেখানে দাড়িয়ে ছিলেন। পরে তিনি কাকুর আবচ্ছা মুখ দেখতে পান এবং কাকু মুচকি হাঁসি দিয়ে বাবার কাছ থেকে বিদায় নিলেন। পরে কেউ আর কোনোদিন কাকুকে দেখেননি। এই ছিল আমার মায়ের মুখ থেকে শুনা ঘটনা ।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করতে পারেন আবার না ও করতে পারেন ।
তবে আমরা আপনাদের কাছে সত্য ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করি। এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ দ্বায়ী নহে ।
See lessসিলেটের দর্শনীয় স্থানসমূহ পর্ব ৬:” প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি হামহাম ঝর্ণা” “
বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় হামহাম জলপ্রপাতের অবস্থান । ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সাথে দুর্গম জঙ্গলে ঘোরা একদল পর্যটক আবিষ্কার করেন এই জলপ্রপাতের। মতান্তরে ১৪৭ কিংবা ১৭০ ফুট উঁচু হবে এই দুর্গম জলRead more
বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় হামহাম জলপ্রপাতের অবস্থান । ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সাথে দুর্গম জঙ্গলে ঘোরা একদল পর্যটক আবিষ্কার করেন এই জলপ্রপাতের। মতান্তরে ১৪৭ কিংবা ১৭০ ফুট উঁচু হবে এই দুর্গম জলপ্রপাতটি।বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু ঝরণা মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের উচ্চতা১৬২ ফুট।
এর নামকরণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অভিমত রয়েছে, অনেকের ধারণা ঝরণার সাথে গোসলের সম্পর্ক করে “হাম্মাম” (গোসলখানা) শব্দটি থেকে “হাম হাম” নেয়া হয়েছে, আবার কেউ কেউ মনে করেন, সিলেটি উপভাষায় “আ-ম আ-ম” বলে পানির তীব্র শব্দ হয় যখন ঝর্ণা থেকে পানি পরতে থাকে সেখান থেকেই পর্যটকদের ইচ্ছায় এটি “হাম হাম” হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এটি “চিতা ঝর্ণা” নামে পরিচিত কারণ এই জঙ্গলে নাকি একসময়ে অনেক চিতাবাঘ পাওয়া যেত।
ঝিরিপথে হাটতে হাটতে বিভিন্ন রকম পাখির কলকাকলিতে চারিদিক মুখরিত হয়ে আপনার মনকে ভালোলাগায় ভরিয়ে দেবে। একটু আগালেই আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে এক আশ্চর্য সৌন্দর্যময় দৃশ্য। আপনার চোখ আটকে থাকবে সেই সৌন্দর্যে। দূর পাহাড়ের গায়ে ঘন কুয়াশা দেখে মনে হবে আকাশ আর পাহাড়ের মিলন মেলা চলছে।এভাবেই পাহাড়ের ডাকে হাঁটতে হাঁটতে নিজের অজান্তেই আপনি পৌঁছে যাবেন প্রিয় গন্তব্য হামহাম জলপ্রপাতের খুব কাছাকাছি। অনেক দূর থেকে শোনা যাবে হামহাম জলপ্রপাতের ঝর্ণাধারায় শব্দ। পৌঁছানোর পর দেখতে পাবেন ১৬০ ফুট উপর থেকে বেয়ে পরা ঝরনার অপরূপ দৃশ্য। নিচে থাকা পাথরের ওপর প্রচন্ড প্রচন্ড বেগে বেয়ে পড়ছে জলপ্রপাতের ঝরনার পানি। মাঝে মাঝে আপনার চোখে পড়বে সাতরঙা রংধনু, সূর্যের অবস্থানের সঙ্গে মিলে গেলে আপনি দেখতে পারবেন রংধনু। যখন ঝরনার পানি পাথরের গায়ে এসে পড়ে তখন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানিকণা গুলোকে কুয়াশার মতো মনে হয়। জঙ্গলে বিভিন্ন পশু পাখির আর হাজার পাখির ডাকাডাকির সঙ্গে ঝর্ণার ঝরে পড়ার শব্দ, সব মিলে তৈরি হয়েছে অদ্ভুত এক রোমাঞ্চকর পরিবেশের। মাথার উপরে আকাশ চারপাশে সবুজ বন চোখের সামনে বিশাল ঝরনা পায়ের নিচে স্বচ্ছ পানি সব মিলিয়ে আপনি কখন সেখানে হারিয়ে যাবেন নিজেই বুঝতে পারবেন না।
দুর্গম পথ আর লোকালয়হীন হওয়ার কারণে এই সুন্দর জলপ্রপাতটি দীর্ঘদিন নিজের সুন্দর্য মানুষের চোখের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু বর্তমানে এই জলপ্রপাত টি দেখতে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ এসে ভিড় জমায় এই জলপ্রপাতটির রোমাঞ্চকর সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী ঘুরতে আসে হামহাম ঝরনায়। প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য যেন লুকিয়ে আছে এই ঝরনার চারপাশে সবুজ প্রকৃতি পাহাড় এলোপাতাড়ি পথ সব মিলিয়ে এ যেন একটি অন্য জগৎ। হামহাম ঝর্ণা যেতে হলে আপনাকে দুটি রাস্তা অবলম্বন করতে হবে একটি হচ্ছে ঝিরিপথ ও পাহাড়ি পথ। ঝিরিপথে যেতে সময় একটু বেশি লাগবে তবে জিরিপথ দিয়ে গেলেই আপনি প্রকৃতি কত সুন্দর করে সাজানো সেটি উপভোগ করতে পারবেন। বর্ষাকালে জিরিপথে যাওয়াটা একটু কষ্টসাধ্য কারণ তখন রাস্তায় অনেক জোক দেখা যায়। তাই একটু সাবধানে হেটে যাবেন যাওয়ার পথে, পাহাড়ি পথ দিয়ে গেলে সাথে করে লাঠি নিতে ভুলবেন না আর আপনার যদি পাহাড়ি পথে হাঁটার অভ্যাস না থাকে তাহলে এই রাস্তা দিয়ে না যাওয়াই ভালো এতে আপনার বিপদ হতে পারে।
কলাবাগান থেকে হামহাম ঝর্ণা দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আপনি গভীর জঙ্গল, পাহাড়, কখনো কখনো হাঁটু পানি ও পেতে পারেন। হাঁটতে হাঁটতে আপনি পৌঁছে যাবেন প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি হামহাম ঝর্ণা ধারায়। যেতে অনেক কষ্ট হলেও মূল স্থানে পৌঁছানোর পর আপনার কষ্ট একদম মলিন হয়ে যাবে ঝরনার সৌন্দর্যের কাছে। কিভাবে যাবেন এই ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে
যাবেন কিভাবে: আপনি যদি ঢাকা থেকে হামহাম যেতে চান তাহলে প্রথমেই আপনাকে চলে যেতে হবে শ্রীমঙ্গল কেননা শ্রীমঙ্গল হয়ে হামহামে যাওয়া সুবিধাজনক। শ্রীমঙ্গল যেতে হলে ঢাকার কমলাপুর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পারাবত জয়ন্তিকা উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে খুব সহজে চলে আসতে পারবেন শ্রীমঙ্গলে এতে করে আপনার সময় লাগবে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। আপনি যদি বাসে করে যেতে চান সে ক্ষেত্রে সায়েদাবাদ অথবা ফকিরাপুলের হানিফ, শ্যামলী পরিবহন অথবা এনা বাসে করে চলে যেতে পারেন। শ্রীমঙ্গলে পৌঁছে আপনাকে সিএনজি অথবা মাইক্রো ভাড়া করে চলে যেতে হবে শ্রীমঙ্গলের কলাবাগান এলাকায় সেক্ষেত্রে আপনার ভাড়া পড়বে ৫০০ থেকে ৬০০।
খাবেন কি থাকবেন কোথায়: হামহাম এর আশেপাশে থাকার মত তেমন ভালো জায়গা নেই আপনাকে থাকতে হলে শ্রীমঙ্গলে হিসাব হোটেল ভাড়া করতে হবে এছাড়া আপনি চাইলে সিলেটে এসে থাকতে পারেন। খাওয়ার জন্য হামহামের পাশে কোন দোকান নেই সে ক্ষেত্রে যাত্রাপথে আপনারা খাবার সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন অথবা শহরে কোথাও খেতে পারেন।
See lessকি ছিল বাংলা সিনেমার অন্যতম ভিলেন হুমায়ুন ফরিদীর জীবনগল্প ?
বাংলা সিনেমার অন্যতম ভিলেন হুমায়ুন ফরিদীর জীবনগল্প............................................................।। ১৯৬৫ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে একবার তিনি তার বাবার বেতন থেকে ১০ টাকা চুরি করেছিলেন, সেই টাকার কথা তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এমন একটা ভাব নেন যে টাকা চুরি করার কোন প্রশ্নইRead more
বাংলা সিনেমার অন্যতম ভিলেন হুমায়ুন ফরিদীর জীবনগল্প……………………………………………………।।
১৯৬৫ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে একবার তিনি তার বাবার বেতন থেকে ১০ টাকা চুরি করেছিলেন, সেই টাকার কথা তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এমন একটা ভাব নেন যে টাকা চুরি করার কোন প্রশ্নই আসে না। এই মিথ্যে ভাব নেয়ার পরই হুমায়ুন ফরীদি নিজের অভিনয় প্রতিভার বুঝে গিয়েছিলেন আর সেখান থেকেই তার পথ চলা শুরু। তারপর অর্জন করেন কত সম্মান কত ভালোবাসা। এর মাঝে তার কিছু আক্ষেপও রয়েছে।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি, বাবা এটিএম নুরুল ইসলাম ছিলেন জুরি বোর্ডের কর্মকর্তা। বাবার চাকরির বদলির সুবাদে হুমায়ুন ফরিদী মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুরসহ অসংখ্য জেলায় ঘুরতে হয়েছে। তার মা বেগম ফরিদা ইসলাম একজন গৃহিণী ছিলেন।ছোটবেলায় তার ছন্নছাড়া স্বভাবের কারণে ফরিদিকে পাগলা সম্রাট ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ডাকা হতো। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন খুবি দুরন্ত এবং অস্থির। এক জায়গায় কিছুক্ষণ যেন থাকতেই পারতেন না। আর সারাক্ষণ অনর্গল কথা বলতেন। তিনি কিছুটা বাচাল ধরনের ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি হতে চাইতেন তার বাবার মত। তার খুবি অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা ছিল তাই তিনি চিন্তা করেছিলেন যে তিনি বড় হয় একজন বাবুর্চি হবেন। কিন্তু তা আর সম্ভব ছিলনা। তার পকেট খরচের চেয়ে সিনেমার টিকেট বেশি ছিল বলে তিনি একবার চিন্তা করেছিলেন সিনেমা হলের গেট কিপার হওয়া যায়। সেই সময় ১০-১১ বছর বয়সে তার মাথায় এসব উল্টাপাল্টা চিন্তা ঘুরে বেড়াতো।
প্রাথমিক শিক্ষা নিজ গ্রাম কালিগঞ্জ। মাদারিপুর ইউনাইটেড ইসলামিয়া গভর্মেন্ট হাইস্কুল পাশ দিয়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন। এরমধ্যে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় এক গার্লস স্কুলের শিক্ষিকার প্রেমে পড়ে যান তিনি,অদ্ভুত দড়ি চিন্তাধারা তাই নয় কি। ১৯৭০ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে ভর্তি হলেন।তারপর শুরু হয়ে গেল ৭১ এর যুদ্ধ, চলে গেলেন যুদ্ধে।৯ মাসের যুদ্ধের পর লাল সবুজের পতাকা নিয়ে ঢাকায় ফিরলেও ফেরা হয়নি আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। টানা পাঁচ বছর বোহেমিয়ান জীবন কাটিয়ে শেষে অর্থনীতিতে অনার্স এবং মাস্টার্স করলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। মাস্টার্স শেষ করে বের হওয়ার পর কিছুদিন ব্যবসা এবং চাকরির চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেখানে উৎকোচ দিতে হয় তাইতো তিনি ফিরে এসেছিলেন অভিনয়ে। এর আগে ১৯৬৪ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে কিশোরগঞ্জে এক মহল্লা নাটক, এক কন্যার জনক নামক একটি নাটকে তিনি অভিনয় করেছিলেন। রক্তে ছিল তার অভিনয়। সূর্যের মতো একদিন তিনি আলো ছড়াবেন এটা জানাই ছিল।
১৯৭৬ সালের নাট্যজন সেলিম আল দীন এর উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় নাট্যোৎসব। হুমায়ুন ফরিদী ছিলেন এর অন্যতম প্রধান সংগঠক। এ অনুষ্ঠানে হুমায়ুন ফরিদী নিজস্ব রচনা এবং নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় আত্মস্থ এবং হীরনময়িদের বৃত্তান্ত সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। এরপর ঢাকা থিয়েটার এ শকুনতলা, ফণীমনসা, কীর্তনখোলা, কেরামত মঙ্গল মুনতাসির ফ্যান্টাসি, ভূতের মতো তুমুল জনপ্রিয় মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি রীতিমতো ঢাকা থিয়েটারের প্রাণভোমরা হয়ে উঠেন।আর বনে যান সেসময়ের মঞ্চ নাটকের অদ্বিতীয় ব্যক্তি। নাট্য পাড়ায় হুমায়ুন ফরিদী তখন শক্তিমানদের একজন, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে তিনি সেলিম আল দীনের অত্যন্ত কাছের মানুষ হিসেবে পরিনত হয়েছিলেন। আতিকুর রহমানের নিখোঁজ সংবাদ নাটকের মাধ্যমে টিভি নাটকে তার অভিষেক হয়েছিল।
তবে ১৯৮৩ সেলিম আল দীনের রচনা এবং নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় জনপ্রিয় প্যাকেজ নাটক ‘ বাংলা শব্দ শুনি ‘ টুপি দাড়িওয়ালা গ্রামের মিচকা শয়তান সেরাস তালুকদারের চারিত্রিক রূপ দিয়েছিলেন আর সেই নাটকে তারা মুখ ডায়লগ- আরে আমি তো পানি কিনি পানি, মুখ দিয়া খাইবা না খালি খাই বাবজান। হুমায়ুন ফরিদীর সেই ডায়ালগটি তখনকার সময় মানুষের মুখে মুখে রটে বেড়াতো। এরপর একে একে করেছেন হঠাৎ একদিন, দূরবীন দিয়ে দেখুন, কোথাও কেউ নেই, বকুলপুর কতদূর, ভবের হাট এরকম এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় টিভি নাটক। বাঙালির মধ্যবিত্ত সামাজিক জীবনধারাকে তিনি আনন্দিত করে তুলেছিলেন। ফরীদির নাটক মানিক টিভি সাদা কালো পর্দায় পুরো বাঙালি চোখ আটকে যাওয়া।
বিখ্যাত সংশপ্তক নাটকে হুমায়ুন ফরিদীর কানকাটা রমজান চরিত্র যারা দেখেছেন হুমায়ুন ফরিদীকে স্থান দিয়েছেন একদম হৃদয়ের মাঝখানে। নব্বইয়ের দশকে তিনি সিনেমার রুপালি জগতে পা বাড়ান। নব্বইয়ের গোড়া থেকেই হুমায়ুন ফরীদি বড় পর্দার লাইফ শুরু করেন। বাণিজ্যিক এবং বিকল্পধারা মিলিয়ে প্রায় ২৫০ টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন। নেগেটিভ এবং পজেটিভ অর্থাৎ নায়ক এবং খলনায়ক দুই চরিত্রেই তিনি ছিলেন সাবলীল।২০০৩ সালে তিনি সিনেমা প্রায় ছেড়ে দেন। তার অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র এক কাপ চা ২০১৪ সালে মুক্তি পায়।নাটকে অসামান্য স্বীকৃতি মিলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মাননা আর ২০০৪ সালে মাতৃত্ব সিনেমায় সেরা অভিনেতা হিসেবে পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগে অতিথি শিক্ষক হিসেবে তিনি কিছুদিন পাঠদান করেছিলেন। হুমায়ুন ফরিদী ছিলেন একজন ভোজন রসিক তিনি খেতে খুবই পছন্দ করতেন। খেলাধুলাও তিনি খুবই পছন্দ করতেন আর ক্রিকেট ছিল তার পছন্দের খেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা কালীন সময়ে তিনি ক্রিকেট খেলেছিলেন নিয়মিত, শচীন টেন্ডুলকার ছিল তার প্রিয় ব্যাটসম্যান আর বাংলাদেশের বাইরে তার প্রিয় দল ছিল শ্রীলংকা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি পাখি শিকার বন্ধ হয়েছিল হুমায়ুন ফরিদীর হাত ধরেই। বাঁচো এবং বাঁচতে দাও প্রায় ধরনের ফিলোসফিক্যাল কথা বলতেন হুমায়ুন ফরিদী। স্বাধীনতার পর সহ পাঠীর বোন নাজমুল আরা বেগম নিলুর গলায় বেলি ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তার সে বিয়ে টেকেনি খুব বেশি দিন। তিনি সংসারী হতে পারেননি।
প্রথম প্রেমের সেই মালা ছিড়ে সুবর্ণা মুস্তাফার গলায় পড়িয়ে ছিলেন। না ফেরার দেশে পাড়ি জমানোর বছর চারেক আগে সে বন্ধন ও ভেঙে যায়। তিনি বিশ্বাস করতেন বন্ধুত্বের কোন বয়স হয় না সবাই ছেড়ে যায় কিন্তু বন্ধুরা থেকে যায় আজীবন। তিনি স্টাইল করতে নিজের মত কখনো শার্ট ইন করতেন না বা গুটিয়ে পড়তেন না। অনেকটাই আজব এক মানুষ ছিলেন হুমায়ুন ফরিদী যেটা কিনা অনেকেই বিশ্বাস করে। জাহাঙ্গীরনগরের মুক্তমঞ্চ বেইলি রোডের নাটকপাড়া এফডিসির রঙ্গমহল সব হুমায়ুন ফরিদীর ছাড়া খা খা করছে। তিনি টাই নিয়েছিলেন কোটি ভক্তের হৃদয়ে, মগজে এবং তাদের মননে। ফরীদি আছেন পৃথিবীর সমস্ত নাট্যমঞ্চের ড্রেসিংরুমে, আর পাটাতনে, আছেন তিনি রূপালি পর্দার আড়ালেও,আর থাকবেন তিনি অনন্তকাল। তিনি তার ষাটতম জন্মদিনে শেক্সপিয়ারের কিং লিয়ার এর অভিনয়ের বাসনা ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু সেই বাসনা আর পূর্ণ হয়নি। কিন্তু ষাট বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বহু অজানা এবং অপূর্ণ বাসনা নিয়ে চলে যেতে হয়েছে সেই না ফেরার দেশে। তারপরও হুমায়ুন ফরিদী আমাদের সবার হৃদয় আছেন, ছিলেন, আর থাকবেনও।
See lessভূত গল্প – ৯
আসসালামুআলাইকুম, আমার নাম হাবিব। আমার বাড়ি সিলেট বিভাগের একটি গ্রামে। আমি আমার আত্নীয়ের নাম বা গ্রামের নাম ব্যাক্তিগত সমস্যা থাকার কারণে প্রকাশ করতে পারছি না। তার জন্য আমি দুঃখিত। আমি আমার ঘটনাটি শুধু শেয়ার করতে চাচ্ছি। এটি ১৯৮৫ ইংরেজীর একটি ঘটনা । আমি সরাসরি আমার ঘটনায় চলে যাচ্ছি। আমাদের পরিবারেRead more
আসসালামুআলাইকুম,
আমার নাম হাবিব।
আমার বাড়ি সিলেট বিভাগের একটি গ্রামে।
আমি আমার আত্নীয়ের নাম বা গ্রামের নাম
ব্যাক্তিগত সমস্যা থাকার কারণে প্রকাশ করতে পারছি না।
তার জন্য আমি দুঃখিত।
আমি আমার ঘটনাটি শুধু শেয়ার করতে চাচ্ছি।
এটি ১৯৮৫ ইংরেজীর একটি ঘটনা ।
আমি সরাসরি আমার ঘটনায় চলে যাচ্ছি।
আমাদের পরিবারে আমার দাদার মায়ের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
সম্পর্কে উনি আমার বড় মা ।
ঘটনাটা আমার দাদা আমার সাথে শেয়ার করেছেন ।
তাই আজ আমি আপনাদের কাছে সেটা শেয়ার করবো ।
ঘটনাটি যদি ভালো লাগে অবশ্যই পড়ে শুনাবেন।
আমার দাদার বাবা ছিলেন একজন হুজুর।
তিনি জ্বীন বা খারাপ কিছু তাড়ানোতে খুবই অভিজ্ঞ ছিলেন।
গ্রামের কারো কোনো সমস্যা হলে, কাউকে জ্বীনে ধরলে উনাকে সবাই ডেকে নিয়ে যেতো। কারণ আশে-পাশের
গ্রামগুলোতে উনার মতো এতো অভিজ্ঞ সম্পন্ন ব্যক্তি কেউ ছিলেন না। তাই সবাই উনাকে এক নামে চিনতো।
বাড়ির ভিতরে তিনি কারো কোনো চিকিৎসা করতেন না।
তিনি সরাসরি রুগীর বাড়ীতে গিয়ে চিকিৎসা করতেন।
তিনি যখন বাড়ীর বাহিরে যেতেন তখন পুরো বাড়ী ফু দিয়ে বন্ধ করে যেতেন। কারণ খারাপ কোনো কিছু যাতে বাড়ীর কারো ক্ষতি না করে সে জন্য তিনি বাড়ী বন্ধ করে যেতেন।
তিনি ভালো করে জানতেন উনার কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা। উনার পরিবারের লোকদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। তিনি যখনই বাহিরে যেতেন বরাবরের মতই বাড়ী বন্ধ করতেন। একদিন রাতে গ্রামের একজন লোক আসলেন বাড়ীতে উনার স্ত্রীকে নাকি খারাপ জ্বীনে ধরেছে।
তিনি তাড়াহুড়ো করে দাদার বাবাকে নিয়ে যান উনার সাথে করে। আর তাড়াহুড়ো করে তিনিও ভুলে গেছেন বাড়ী বন্ধ
করতে। যখন ঐ বাড়ীতে পৌছান তখন দেখলেন ওই লোকের স্ত্রীর দেহে সত্যি সত্যি খারাপ ভর করেছে।
ঐ মহিলা নাকি সন্ধ্যার মূহুর্তে বাড়ীর পুকুরে পানি আনতে যান। তারপর থেকেই উল্টো পাল্টা কথা বলা শুরু করেন।
নিজের স্বামীকে সন্তানদের তুই তুকারি করছিলেন।
পরে দাদার বাবা উনার শক্তির মাধ্যমে তিনি ঐ খারাপ জ্বীনটাকে ঐ শরীর থেকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
এক পর্যায়ে সেই জ্বীন ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়।
তখন ঐ খারাপ জ্বীন যাওয়ার সময় বলে যায় তোকে আমি কিছু করতে পারবোনা ঠিকিই কিন্তুু তোর পরিবারের ক্ষতি করবো আমি। যাচ্ছি আমি তোর বাড়ীতে।
দাদার বাবা খুব রাগী ছিলেন তিনিও বললেন যা পারিস কর গিয়ে। দেখি তুই কি করতে পারিস আমার।
এই কথা বলার পর ঐখান থেকে জ্বীনটা চলে যায়।
তখন দাদার বাবার হঠাৎ খেয়াল হলো লোকটার তাড়াহুড়ো করে উনাকে নিয়ে এসেছে।
উনি বাড়ী বন্ধ না করেই এখানে চলে এসেছেন।
পরে তিনি দ্রুত ও বাড়ীর দিকে রওনা হলেন।
এরই মধ্যে দাদার বাবার রূপ ধরে বাড়ীতে এসে দাদার মাকে নাম ধরে ডাকতে লাগলো এবং বাহিরে আসার জন্য বললো। কারণ খারাপ জ্বীনটা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেনা কারণ বাড়ীর সীমানা বন্ধ না হলেও কি হবে।
বাড়ীর প্রতিটা ঘর বন্ধ করা ছিল ।
যাইহোক দাদার বাবার রূপ ধরে আসা জ্বীনটার ডাক দাদার মায়ের কানে যায়।
ডাক শুনে তিনি অনেক অবাক হলেন। আরো অবাক হলেন যখন ঘরের বাহিরে বের হওয়ার কথা বললো ।
দাদার বাবা সংসার জীবনের এতো বছর পার করলেন, আগে কোনোদিন এইভাবে রাতে বের হওয়ার জন্য ডাকেননি তাকে । এই প্রথম তা ঘটলো ।
আর সবচেয়ে বড় আশ্চর্জের কথা হলো উনার নাম ধরে কোনোদিন ডাকতেন না ।
দাদার মা একটা হারিকেন হাতে নিয়ে বের হলেন।
হঠাৎ দমকা বাতাস এসে হারিকেনের আগুনটা নিভিয়ে দিল।
দাদার মাকে ছুড়ে বাড়ির পুকুরপাড়ে ফেলে এবং তিনি চিৎকার করে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যান।
এর মধ্যেই বাড়ীর সবাই দৌড়ে চলে আসেন পুকুরপাড়ে,
এসে দেখেন দাদার মা সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন।
পরে উনাকে ঘরে নিয়ে যান এবং কিছুক্ষণ পরে উনার জ্ঞান ফিরে। ততক্ষণে দাদার বাবা বাড়িতে চলে আসেন।
তিনি এই অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে।
দাদা বললেন হঠাৎ পুকুরপাড় থেকে মায়ের চিৎকার শুনে আমরা দৌড়ে যাই গিয়ে দেখি মা মাঠিতে পড়ে আছেন।
দাদার মা সবার সামনে পুরো ব্যাপারটা খুলে বলেন।
স্বামীর ডাকে তিনি বাহিরে আসেন আর মনে হচ্ছিল কে যেন উনাকে ছুড়ে ফেলেছে পুকুরপাড়ে চিৎকার করার পর আর কিছু মনে নেই।
দাদার বাবা বিষয়টি বুঝতে পারেন।
এইটা একমাত্র ঐ খারাপ জ্বীনের কাজ হতে পারে ।
কারণ সে খুব ক্ষিপ্ত হয়ে দাদার বাবাকে বলেছিল প্রতিশোধ নিবে সে।
এরপর থেকে দাদার মা রাতে ঘন ঘন খারাপ স্বপ্ন দেখতেন।
পরে দাদার বাবা যতদিন পর্যন্ত জীবিত ছিলেন তিনি পুরোপুরি সম্পূর্ণ বাড়ী বন্ধ করে দেন।
এরপর থেকে দাদার মা আর কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখেননি যতদিন দাদার বাবা বেঁচে ছিলেন।
কিন্তুু দাদার বাবার মৃত্যুর পর রাত ৩ টার পরে প্রায়ই পুকুরপাড়ে দাদার মায়ের মতো একজনকে বসে থকতে দেখতো। গ্রামের কেউই সাহস করতো না কাছে যাওয়ার ।
দাদা বিষয়টি নিয়ে ভাবতেন যে ঐ খারাপ জ্বীনটা তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতো নাকি দাদার আত্না বাড়ীকে পাহারা দিচ্ছেন।
তা আজীবন অজানাই থেকে গেল দাদার কাছে।
এর কোনো উত্তর তিনি পাননি।
এই ছিল আমার দাদার মায়ের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করতে পারেন আবার না ও করতে পারেন ।
তবে আমরা আপনাদের কাছে সত্য ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করি। এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ দ্বায়ী নহে ।
See lessসাধারন ফ্যামিলির ছেলেটি কি ভাবে হলেন ফুটবল রাজা নেইমার ?
সাধারন ফ্যামিলির ছেলেটি যেভাবে হলেন ফুটবল রাজা নেইমার । ফুটবল নিয়ে কথা বলা হলেই মেসি এবং রোনালদোর পরেই আলোচনায় আসে নেইমার। নেইমার দ্যা সিলভা সান্তোস জুনিয়র, যাকে আমরা সবাই নেইমার নামেই জানি। একজন চৌকস ব্রাজিলিয়ান খেলোয়ার,যিনি স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে একজন ফরওয়ারRead more
সাধারন ফ্যামিলির ছেলেটি যেভাবে হলেন ফুটবল রাজা নেইমার ।
ফুটবল নিয়ে কথা বলা হলেই মেসি এবং রোনালদোর পরেই আলোচনায় আসে নেইমার। নেইমার দ্যা সিলভা সান্তোস জুনিয়র, যাকে আমরা সবাই নেইমার নামেই জানি। একজন চৌকস ব্রাজিলিয়ান খেলোয়ার,যিনি স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে একজন ফরওয়ার্ড বা উইঙ্গার হিসেবে খেলেন । অন্যসব কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের মতো নেইমার ফুটবল জীবন শুরু হয় অলিতে-গলিতে। তার বাবা সিনিয়র নেইমার দা সিলভা একজন প্রাক্তন ফুটবলার এবং পরবর্তীতে নেইমারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। নেইমার তার পিতার ভূমিকা সম্পর্কে বলেন আমার পিতা আমার পাশেই থাকেন সেই ছোটবেলা থেকেই এবং তিনি সব কিছুর খেয়াল রাখেন। তিনি আমার সবসময়ের সঙ্গী এবং আমার পরিবারের অন্যতম একজন।
খুব কম বয়সে একজন দক্ষ ফুটবলার হিসেবে বেড়ে ওঠেন নেইমার। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নেইমার প্রফেশনাল ফুটবলার হিসেবে খেলা শুরু করেন।আর শুরু কর আর মাত্র দু’বছর এর মধ্যে ২০১১-২০১২ সালে সাউথ আমেরিকা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড নিজের নামে করে নেন, এ ছাড়াও প্রচুর পুরস্কার আছে তার ঝুলিতে। নেইমার এর জন্ম ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের মোগী দাস পুরুগেস নামক স্থানে, তার বাবা সিনিয়র নেইমার দা সিলভা এবং মা নন্দিনী সন্তোষ।
যেহেতু তার বাবা একজন প্রফেশনাল ফুটবলার ছিলেন সেহেতু তার ফুটবলের হাতে কড়ি তার বাবার হাতেই। খুব অল্প কয়েক দিনেই তিনি ব্রাজিলের সান্তোস ফুটবল ক্লাবের নজরে আসেন। ২০০৩ সালে সান্তোস ফুটবল ক্লাব চুক্তিবদ্ধ করেন নেইমারকে এবং তাকে যুব একাডেমিতে খেলানো হয় কয়েক বছর যুব ক্লাবে খেলার পর এই ক্লাবের সিনিয়র টিমে তাকে সাইন করানো হয়। এভাবে তিনি ১৭ বছর বয়সে প্রফেশনাল ক্লাবে খেলা শুরু করেন। এবং দেখতে দেখতে তিনি তার টিমের দক্ষ গোল মেকারে পরিণত হন। সান্তোসের হয়ে ২২৫ ম্যাচে ১৩৬ গোল করেন তিনি।নেইমার মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্পেনের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন।কিন্তু ব্রাজিলে তখন তার অদ্ভুত ট্যালেন্ট এর জন্য বিপুল অর্থের বিনিময়ে নিজ দেশের ক্লাবে রেখে দেওয়া হয়।
এদিকে নেইমার দিনে দিনে এই ক্লাবের হয়ে তার খেলার ধারাবাহিকতা কে আরো জোরালো করতে থাকেন। নেইমার হয়ে উঠতে থাকলেন একজন নিখুত ফুটবল প্লেয়ার। তার খেলা দেখে বড় বড় ফুটবল ক্লাবগুলো তাকে নেয়ার জন্য আলোচনায় বসে গেল। ২৭ মে ২০১৩ সালে প্রায় ৭৬ মিলিয়ন ডলারে বার্সেলোনার হয়ে খেলার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ২০১৪ সালে নেইমার ব্রাজিল দলের দারুণ সম্ভাবনাময় একজন প্লেয়ার হিসেবে দলে থেকেছেন।এই বিশ্বকাপে তার দল ব্রাজিল ছিল ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের খুঁজে কিন্তু চার ম্যাচ পরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি ইনজুরিতে পড়েন।সেমিফাইনালে সেই ম্যচে তার আর খেলা হয়নি। ব্রাজিল ওই সেমিফাইনালে খুব বাজে ভাবেই হেরে যায়। নেইমার ইনজুরি থেকে ফিরে আবারো আগের মতো খেলা শুরু করেন।
২০১৪-১৫ সিজনে বার্সেলোনার হয়ে ১৪ গোল করেন নেইমার। এ পর্যন্ত তিনি বার্সেলোনার হয়ে ৪০৬ ম্যচে ২৩৬ গোল করেন।বর্তমানে তিনি পিএসজি ক্লাবের হয়ে ফেলছেন। তিনি ফিফা পুসকাজ পুরস্কারও অর্জন করেন। তিনি সর্বাধিক পরিচিত তার তরঙ্গ,গতি, বল কাটানো সম্পূর্ণতা, এবং উভয় পায়ের ক্ষমতার জন্য। তার খেলার ধরন তাকে এনে দিয়েছে সমালোচকদের প্রশংসা সাথে প্রচুর ভক্ত। মিডিয়া এবং সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার পেলের সঙ্গে তার তুলনা করা হয়। পেলেও নেইমার সম্পর্কে বলেন সে একজন অসাধারণ খেলোয়ার। অন্যদিকে রোনালদিনহো বলেন নেইমার হবে বিশ্বে সেরা। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে বর্তমানে হয়তো মেসি এবং রোনালদোর প্রভাবে কিছুটা আলোচনার আড়ালে পড়ে আছেন নেইমার। কিন্তু আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ফুটবলের রাজত্ব চলে আসবে নেইমারের হাতে।ইঞ্জুরিকে সামাল দিতে পারলে নেইমারই ফুটবলের রাজত্ত করবেন বলে অনেকেই মনে করেন । আগামী দিনগুলোতে নেইমার সত্যি রাজত্ব করবে কিনা সেটা নেইমারের সময়ই বলে দেবে।
See lessকুখ্যাত লেক ন্যাট্রন – পৃথিবীর আজব একটি লেক
কুখ্যাত লেক ন্যাট্রন - পৃথিবীর আজব একটি লেক আপনি কি কখনও মেডুসার কথা শুনেছেন? গ্রীক পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে মেডুসা হল (অভিভাবক, রক্ষক") যাকে গর্গোও বলা হয়, যাকে সাধারণত চুলের স্থানে জীবন্ত বিষাক্ত সাপযুক্ত উইং মানব স্ত্রী হিসাবে বর্ণনা করা হয়। যারা তার চোখে তাকিয়েছিল তারা পাথরে পরিণত হত । তিনি কেবRead more
কুখ্যাত লেক ন্যাট্রন – পৃথিবীর আজব একটি লেক
আপনি কি কখনও মেডুসার কথা শুনেছেন?
গ্রীক পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে মেডুসা হল (অভিভাবক, রক্ষক”) যাকে গর্গোও বলা হয়, যাকে সাধারণত চুলের স্থানে জীবন্ত বিষাক্ত সাপযুক্ত উইং মানব স্ত্রী হিসাবে বর্ণনা করা হয়। যারা তার চোখে তাকিয়েছিল তারা পাথরে পরিণত হত । তিনি কেবল একটি রূপকথার কাহিনী হতে পারে তবে এমন একটি লেক অঞ্চল রয়েছে যেটি আপনাকে মারাত্মকভাবে পাথরে পরিণত করতে পারে। যার নাম কুখ্যাত লেক ন্যাট্রন।
লেক ন্যাট্রনের জল এত বিপজ্জনক কি করে? কোন ধরণের প্রাণী সেখানে বাস করে? ন্যাট্রনে পড়ে গেলে কি মানুষ বাঁচতে পারবে?
লেক নিয়ে চিন্তা করার আগে আমরা নেট্রন হ্রদ কী দিয়ে তৈরি তা একবার ভালভাবে দেখে নেওয়া উচিত। অনেকটা মৃত সমুদ্রের মতো, এই হ্রদ মহাসাগর বা নদীতে মিলিত হয়না । লেক ন্যাট্রন হ’ল কেনিয়ার সীমান্তে উত্তর তানজানিয়ায় একটি খনিজ সমৃদ্ধ সোডা হ্রদ। এটি প্রচুর পরিমাণে ক্ষারযুক্ত লাল জলের উচ্চ ক্ষারীয় স্থিতি সত্ত্বেও কয়েক হাজার ফ্লেমিংগোগুলির একটি প্রজনন ক্ষেত্র। অল ডোইনিও লেঙ্গাইয়ের নীচে তার অবস্থান , এটি রিফট উপত্যকার একটি উড্ডয়নশীল সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। আগ্নেয়গিরি নিচ থেকে এঞ্জেরো সেরো জলপ্রপাতের দিকে নেমে গেছে।
আগ্নেয়গিরির মধ্যে সোডিয়াম (NA ) এবং পটাসিয়াম কার্বনেট ((K2CO3) সমৃদ্ধ একটি বিরল ধরণের লাভা দেখা যায়, যাকে সংক্ষেপে নাট্রোকার্বোনেটাইট বা নাট্রন বলা হয়। যা পানিতে, সোডিয়াম কার্বোনেট এবং সোডিয়াম বাইকার্বোনেটের এই মিশ্রণটি মূল মিশ্রণগুলির মমিভাবনে ব্যবহৃত হয়, যা হ্রদ আকারে নিখুঁত সংরক্ষণশীল তৈরি করে। পুরো রাসায়নিক সংমিশ্রণটি অত্যন্ত ক্ষারীয়, পিএইচ মাত্রা 10.5 মিলে অ্যামোনিয়া (এনএইচ 3) এর কাছাকাছি মম্যান নিরর্নীয় কর হয় ।যা হ্রদটিকে তার গোলাপী রঙ দেয়। সেগুলি ভুসের মতো শক্ত, পাথরে গণনা করা হয় তাতে যদি কোন পাখি ডুব দেয় উঠে আসতে পারেনা।
২০১৩ সালে বন্যজীবনের ফটোগ্রাফার নিক ব্র্যান্ড্ট প্রথম এই ঘটনাটিকে নথিভুক্ত করেছিলেন। শুকনো মৌসুমে জল কমে যাওয়ার পরে তিনি বেশ কয়েকটি পাথর পাখি এবং অন্যান্য দুর্ল্যাব প্রাণী পাথর আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হ্রদটি যেহেতু আয়নার মতো এবং প্রতিফলিত হয় তাই পাখিরা যখন উড়ে যায় তাদের ভালো লাগে এবং তারা ডুব দিয়ে পাথরে পরিনিত হয়.
তবে আপনি আশ্চর্য হবেন যে এখানেই এমন প্রাণী আছে যেটি বসবাস করে তার নাম ফ্লেমিংগো.
জ্বলন্ত প্রতিরোধকারীগুলির শক্ত ত্বক এবং আঁশযুক্ত ডানার কারণে নোনা জলাশয়ে ফ্লেমিংগোগুলি বিকাশ লাভ করে। যদি তারা যথেষ্ট পিপাসু হয় হ্রদের কিনারায় নিকটবর্তী স্প্রিংস বা গিজার থেকে মিঠা জল পান করতে পারে এবং যদি তাও না হয় তবে তারা হ্রদের পানি পান করে কারণ তাদের অনুনাসিক গহ্বরে বিশেষ গ্রন্থিগুলির সাথে লবণাক্ত জল ফিল্টার করতে পারে। তাদের শক্ত পেট তাদেরকে হ্রদ জুড়ে পাওয়া বিষাক্ত শেত্তলাগুলিতে খাবার সরবরাহ করতে দেয়। এবং লেকে যেহেতু অন্য প্রাণী যেতে পারে না তাই লেক ন্যাট্রনকে তাদের বাচ্চাদের বাড়িয়ে তোলা এবং সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত স্থান হিসাবে ব্যবহার করেছে।
তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন আস্তে পারে যে মানুষ কি এই হ্রদে ডুব দিলে কি হইবে। তাহলে জানা যাক কি হবে আপনাকে তাত্ক্ষণিকভাবে পাথরে পরিণত করা হবে না, তবে যদি আপনি ডুবে গিয়ে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে থাকেন তবে আপনার সমস্ত দেহ শক্ত হয়ে যাবে এবং তা অক্ষত অবস্থায় থাকেব। লোকেরা যদি কয়েকশ বছর পরে আপনাকে খুঁজে পেয়ে থাকে তবে আপনার চুল এবং অঙ্গগুলি অক্ষত থাকতে পারে।
২০০৭ সালে, অন্য ধরণের পাখি সরাসরি এই রাসায়নিক ককটেলটিতে উড়েছিল। একদল বন্যপ্রাণী ভিডিওগ্রাফার হেলিকপ্টার থেকে ভিডিও করছিলেন হটাৎ হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় লেক ন্যাট্রনের বিষাক্ততা ডুবেছিল। পাইলটটির একটি পা ভাঙ্গাছিল এবং অন্য এক যাত্রীর নিতম্ব ভেঙেছিল । অবিশ্বাস্যভাবে, যাত্রীদের একজন লড়াই করে তীরে আসতে সক্ষম হন এবং কাছাকাছি কিছু মশাই উপজাতিদের সাহায্য চায়ওতে তারা দ্রুত স্ট্রেচার তৈরি করে এবং আহতদের সময়ের নিকটে পৌঁছে দেয় এবং তারা তাতে উঠে তীরে ফায়ার আসে।
ভূত গল্প- ৮
আসসালামুআলাইকুম, আমার নাম ইকবাল। আমি যে ঘটনাটি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তা আমার বাবার কাছ থেকে শুনা। আমার বাবাকে এই ঘটনাটি আমার দাদা বলেছেন। উনার নিজের সাথে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তখন আমার বাবা বিদেশে থাকতেন। দাদা এই ঘটনাটি চিঠি লিখে জানান আমার বাবাকে। এই ঘটনাটার ব্যপারে আমার ফুফি ও জানতেন। উনার কাছRead more
আসসালামুআলাইকুম,
আমার নাম ইকবাল। আমি যে ঘটনাটি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তা আমার বাবার কাছ থেকে শুনা।
আমার বাবাকে এই ঘটনাটি আমার দাদা বলেছেন।
উনার নিজের সাথে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তখন আমার বাবা বিদেশে থাকতেন। দাদা এই ঘটনাটি চিঠি লিখে জানান আমার বাবাকে। এই ঘটনাটার ব্যপারে আমার ফুফি ও জানতেন। উনার কাছ থেকে ও শুনেছি। বর্তমান যুগে অনেকেই হয়তো আমার কথাটা বিশ্বাস করবেন না কিন্তুু এটা সত্যিই ঘটেছে আমার দাদার সাথে ।
আমার দাদার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । এই ঘটনার সালটা আমার ঠিক মনে নেই তবে এই ঘটনাটা নব্বই ইংরেজির আগের ঘটনা।
আমার দাদা সরকারী চাকুরি করতেন। অফিস ছুটির পর বাড়ী ফিরতে ফিরতে রাত ৮টা বা ৯টা হয়ে যেত। আর আসার সময় বাজার করে নিয়ে আসতেন। তিনি প্রতিদিন রাতে বাজার করতেন। সবসময় টাটকা জিনিস বাজার করে আনতেন।
ছোট মাছ তিনি তেমন একটা পছন্দ করতেন না।
প্রতিদিন বড় বড় মাঁছ বাজার থেকে কিনে আনতেন।
এমনও হয়েছে বাজারে গেলে পরিচিত মাঁছ বিক্রেতা জোড় করে মাঁছ ব্যাগে ভঁরে দিয়ে দিত আর বলতো আপনার জন্য টাটকা মাঁছ এনেছি চাচা।
মাঁছ খেয়ে কাল টাকা দিবেন নিয়ে যান চাচা ।
দাদা প্রতিদিন বাজার করতেন বলেই সবাই উনাকে চিনতো।
একদিন বড় দুইটা ইলিশ মাঁছ বাজারে ওঠেছে দাম বেশি হওয়ায় কেউ কিনতে চায় না। দাদা মাঁছটা দেখে কিনে আনলেন। মাঁছটার দাম ছিল ৭০০ টাকা মাঁছ বিক্রেতা ৬০০ টাকায় মাঁছটা দিয়ে দেয়। তখনকার যুগে ১০০ টাকার ও অনেক মূল্য ছিল । ১০০ টাকা দিয়ে ব্যাগ ভর্তি বাজার করা যেতো ।
দাদা যখন মাঁছ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তখন মনে হচ্ছিল কে যেন উনার পিছু পিছু আসছিল। তিনি ঘুরে দেখেন নি সোঁজা বাড়ির দিকে হাঁটতে থাকেন।
পরে কে যেন উনার উপড় একটা ঢিঁল ছুঁড়ে । আশে পাশে তাকালেন দেখলেন কেউ নেই । আমার দাদা অনেক সাহসী ছিলেন। বাড়ি পৌছে তিনি বাঁজারের ব্যাগটা বড় ফুফির হাতে দিলেন। ঐদিন বড় ফুফি বেড়াতে আসেন আমাদের বাড়িতে। তাই দাদু বাজার থেকে বড় মাঁছ দুটি দেখে নিয়ে আসেন।
দাদা জামা-কাপড় পাল্টে হাত মুখ ধূঁয়ে আসেন।
ঠিক তখন বাড়ির টিঁনের চালে আবার ঢিঁল ছুড়ার শব্দ শুনতে পান ।
তিনি বাহিরে বের হয়ে আশ-পাশে তাকিয়ে দেখলেন কেউ নেই।
মাঁছ কাটার পর যখন রান্নার জন্য চুলায় কড়াই বসানো হয় তখন অবাক করা একটি ঘটনা ঘটে।
মাঁছ ভাঁজার জন্য চুলোয় কড়াই বসানো হয় এবং মাঁছের টুকরোগুলো ভাঁজ ছিলেন। তখন হঠাৎ দেখলেন একটি বিশাল বড় কালো ছাঁয়া তার শুধু পা টাই দেখা যাচ্ছে।
মাথা দেখা যাচ্ছে না। আগেকার দিনে চুলার কালো ধোঁয়া বের হওয়ার জন্য চুলোর উপড়ে সুরঙ্গের মতো করে একটি চিমনি দেওয়া হতো। আমি আসলে জানি না এটাকে ঠিক কি বলা হয়। যাইহোক পরে ওই চিমনির যে ফাঁকা রাস্তা ছিল সেই রাস্তা দিয়ে একটি হাত লম্বা করে বাড়িয়ে দেয়।
আমার ফুফি ভঁয় পেয়ে চিৎকার দেন।
পরে বাড়ির সবাই দৌড়ে চলে আসেন রান্নাঘরে।
পরে আমার দাদিকে বললেন ওই হাতের তালুতে একটা ভাঁজা মাছ দিতে ।
সে হাঁত বের করে অল্প সময়ের ভেতরে আবার আরেকটা হাত পাতে। দাদি আবার আরেক টুকরো ভাঁজা মাছ হাতের তালুতে দেন।
আবার সেই মাঁছ খেয়ে আবার হাত পাতে। তখন দাদা ইশারায় দাদিকে বললেন গরম তেল হাতে দিয়ে দিতে।
দাদার কথামতো দাদি ও হাতে গরম তেল ঢেলে দিলেন।
আহ্ বলে একটা চিৎকার শুনা যায়।
ভঁয়ে রাতে কেউ আর বাহিরে বের হলেন না।
দাদাকে ও বাহিরে যেতে দিলেন না বললেন যা দেখার কাল সকালে দেখবো।
পরের দিন সকালে গিয়ে দেখলেন রান্নাঘরের পেছনে দুইটা কাঁক মরে পরে আছে এবং দেখে বুঝা যাচ্ছিল গরম তেল দিলে যে রকম পুড়ে যাওয়ার কথা ঠিক সেরকম ই দেখতে লাগছে। মনে হচ্ছিল ওদের ওপড় গরম তেল ঢালা হয়েছে।
দাদা একজন হুজুরকে ডেকে আনেন এবং ঘটনাটি খুলে বলেন।
হুজুর বলেন কিছুক্ষণ সময় নিয়ে বলতে হবে এটা কি ।
পরে তিনি বাড়ির একটি রুমে বসে কি যেন করলেন।
পরে তিনি বাড়ির সবার সামনে এই দুই রহস্যজনক কাকের কথা বলেন। এরা নাকি নদীর পাড়ের একটি বটগাছে থাকতো। এরা প্রত্যেক জেলের পিছু নিয়ে তাদের মাছ চুরি করে খেত। এরা আসলে কাক ছিল না কাকের রূপ ধারণ করেছিল। এদের আসল পরিচয় হলো কালো পেত্নি ছিল ।
ওই জেলে নদী থেকে বড় দুই ইলিশ মাঁছ ধরে এবং সেটা খাওয়ার জন্য পিছু নেয়। আর ওই জেলে সেটা দাদার কাছে বিক্রি করে দেয়।
ওরাই নাকি দাদাকে ঢিল ছুঁড়েছিল যাতে ভঁয়ে বাজারের ব্যাগ রেখে পালিয়ে যান। সেই সুযোগে তারা মাঁছ নিয়ে যেতো। পরে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলে, ওরা দাদার পিছু পিছু এই বাড়িতে চলে আসে। মাঁছের সুস্বাদু গন্ধ পেয়ে হাত বাড়িয়েছিল। গরম তেল ঢেলে দেওয়ায় ওরা মারা যায় ।
এই ছিল আমার দাদার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা।
যদি ভালো লাগে তাহলে সবার সাথে শেয়ার করবেন।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যপার। তবে এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ
See less