Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদোর জীবনের উত্থান ,পতনের গল্প কি ছিল ? পর্ব-২
পর্ব-২ তারপর বিশ্বের সেরা তারকা হয়ে খেলতে গেলেন ৯৮ বিশ্বকাপে। লিওনার্দো রিভালদোর সাথে অ্যাটাকিং থার্টিজএ বোঝাপড়া তিনিই প্লে মেকিং স্ট্রাইকার রোলটা খেলে সেটা তার আগে একজন নিখাদ নাম্বার নাইন এর কাছে কখনো দেখেনি বিশ্ব। বামপ্রান্ত ডান প্রান্ত দিয়ে বুলেট গতির সব স্লো রান কাট ইনসাইড করে সেন্টারে এসেRead more
পর্ব-২
তারপর বিশ্বের সেরা তারকা হয়ে খেলতে গেলেন ৯৮ বিশ্বকাপে। লিওনার্দো রিভালদোর সাথে অ্যাটাকিং থার্টিজএ বোঝাপড়া তিনিই প্লে মেকিং স্ট্রাইকার রোলটা খেলে সেটা তার আগে একজন নিখাদ নাম্বার নাইন এর কাছে কখনো দেখেনি বিশ্ব। বামপ্রান্ত ডান প্রান্ত দিয়ে বুলেট গতির সব স্লো রান কাট ইনসাইড করে সেন্টারে এসে আলতো করে রিভালদো বা লিওনার্দোর কাছে বল লিভ করা আবার বক্সে ঢোকা,রিভালদো বা লিওনার্দোর বাড়ানো বলে ফিনিশ করা এটা একটা ট্রেডমার্ক মুখ হয়ে দাঁড়ায় ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে।এই পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকত গ্যারেথ বেলের গতি রোনালদিনহোর কৌশল জিদানের বুদ্ধিমত্তা আর একেবারে নিজস্ব রোনালদোর ফিনিশিং। সাথে ছিল তার ট্রেডমার্ক ওয়ান অন ওয়ান ফিনিশিং। স্টেপ ওভার দিয়ে গোলকিপারকে কাটিয়ে আলত ঢুকা বিশ্বের সেরা সব ফরোয়ার্ডরা যেখানে ওয়ান টু ওয়ান শট নিতে সামান্য দেরি করতেও দ্বিধা করে সেখানে রোনালদোর বেশিরভাগ ফিনিশিং স্টেপ ওভার দিয়ে করা।
সেই আসরের ফাইনালে ওটা আগ পর্যন্ত করেন চারটি গোল। তিনটি এসিস্ট,ফাইনালে একেবারেই ব্যর্থ ছিলেন। ফলে ফ্রান্সের কাছে হেরে যায় ব্রাজিল। কিন্তু রোনালদো ঠিকই বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। তবুও সমালোচনা সঙ্গী হলো তার। আর এই সমালোচনার জবাব দিতে বেছে নেন ১৯৯৯ সালের কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতা। রিভালদো আর তরুণ রোনালদিনহোকে নিয়ে আর্জেন্টিনা উরুগুয়ে পরাক্রমের সাথে হারিয়ে জিতে নেয় ব্রাজিল। পাশাপাশি ক্লাব ফুটবলের দানবীয় আক্রমণ তো ছিলই। কিন্তু ক্যারিয়ারে কাল অধ্যায় নেমে আসে ক্লাব ফুটবলের ২০০১ সালের সাথে এক ম্যাচে। এই ম্যাচে মারাত্মক ইনজুরিতে পড়েন ফলে ১১ মাস বিশ্রামে থাকতে হয় তাকে।১১ মাস পরে ফিরে এসে ২০০১ সালে মাত্র ১৭ মিনিট খেলার পর আবারও ইনজুরি সবমিলিয়ে ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ইনজুরির করাল থাবায় সাকুল্যে খেলেছিলেন ২৬ টি ম্যচ। একই জায়গায় দুবার অপারেশনের কারণে অনেকেই ভাবলেন মাত্র পঁচিশ বছর বয়সের সেরা প্লেয়ারের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি হচ্ছে।
এদিকে ২০০২ সালের বিশ্বকাপের সময়ও চলে এলো। অনেকেই ভাবলেন রোনালদো এবার বিশ্বকাপ বুঝি মিস করে ফেলবেন। কিন্তু তৎকালীন কোচ স্কলারি আস্তা রাখলেন রোনালদোর উপর। আসলে দুবার ভয়ানক ইনজুরিতে পড়ায় তার মূল অস্ত্র স্পিড কমে গিয়েছিল।বদলে ফেললেন খেলার ধাচ। হয়ে গেলেন পিওর ফিনিশার। সাধারণভাবে একটি কত চলতেই থাকল যে রোনালদো শুধু দাঁড়িয়ে থাকেন আর বল আসলে গোল দেয়। এটা তিনি করতে বাধ্য হয়েছিলেন তার ইনজুরির জন্য ক্যারিয়ার টাকে লম্বা করার জন্য। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে করলেন আট গোল। ফাইনালে জোড়া গোল সবমিলিয়ে জিতলেন গোল্ডেন বুট। বিশ্বকাপে এরকম খেলার জন্য তৃতীয়বারের মতো বিশ্বসেরার খেতাব জেতেন। পাশাপাশি সাক্ষী হলেন ব্রাজিলের পঞ্চম এবং নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের।
সে বছরই হলেন ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার। ইনজুরি বিজড়িত ক্লাব ক্যারিয়ারে ৯৯ খেলায় ৫৯ গোল নিয়ে ইন্টার মিলান পর্ব শেষ করেন রোনালদো। ২০০২ সালে ট্রান্সফার হন রিয়াল মাদ্রিদে।এবার আবারও রেকর্ড করেন, ৩৯ মিলিয়ন পাউন্ডের ট্রান্সফার ফির। প্রথম ম্যাচে দু গোলে করে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন দ্য ফেনোমেনন। আর প্রথম সিজনে ২১ গোল করে রিয়ালকে লা লিগা জিতিয়ে নিজে যে ফুরিয়ে যাননি তার জানান দেন বিশ্বকে। এর বাইরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ এবং ২০০৩ সালে স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ে অবদান রাখেন এমনকি তখনো তিনি পুরোপুরি ফিট ছিলেন না। যা রিয়ালের সময় গুলোতে খুব ভুগিয়েছে কিন্তু তারপরেও রিয়ালের হয়ে ১২৮ ম্যাচে ৮৩ গোল একদম কম নয়। পেয়েছেন বেকহ্যাম, জিদান,ফিগোর মত বিশ্বসেরা সতীর্থ কিন্তু সবকিছুর ম্লান হতে থাকে। নিজের শরীরের ওজন বাড়তে থাকে রোনালদোর ওজনজনিত সমস্যায় আগের গতি কিংবা খেলার ধরনের অনেক ছেদ পড়ে।এছাড়াও ওজনের কারণে তার শারীরিক আরো সমস্যা দেখা দেয় যদিও রিয়ালের ম্যানেজার ফ্যাবিও ক্যাপিলোর সহায়তায় মাঠে তিনি অনেকখানি সক্রিয় ছিলেন।
২০০৬ সালের বিশ্বকাপ চলে এল, এ বিশ্বকাপে সমালোচনা তাকে ঘিরে ধরল। রিয়াল মাদ্রিদ এর আগের সিজনটা ভালো কাটেনি। ইনজুরিতে ছিলেন বেশ কিছুদিন, মুটিয়ে গেছেন অনেক। ফিটনেস আছে কিনা সেটা নিয়েও কানাঘুষা। তবে তার উপর আস্তা রাখলেন কোচ। আস্তার প্রতিদান যেন যথার্থ দিতে পারেননি তিনি, ব্রাজিল কোয়ার্টার থেকে বাদ পড়ে। বাদ পড়ার আগে বিশ্বকাপ দলের খাতায় আরও তিন গোল যোগ করে ১৫ গোল নিয়ে হন সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপের গোল স্কোরার।বিশকাপ এর পর তাকে যেন আর খুজেই পাওয়া গেল না ।ফিটনেস সমস্যা বাড়তেই থাকল যার কারনে ২০০৬ সালে রিয়াল ছাড়লেন ।২০০৭ সালে ১৮ জানুয়ারী ৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে এসি মিলানে যোগ দেন ।নাম্বার ৯ কে দেয়া হল ৯৯ নং জার্সি । প্রথম সিজনে সিস্প্রভ ছিলেন,আর ঠিক তারপই ইঞ্জুরিতে পড়ে গেলেন ২০০৮ সালে ।সেই সিজনে আর মাঠে ফেরা আর সম্বভ হয় নি তার আর তাই এসি মিলান ও চুক্তি নবায়ন করে নি ।
আসলে রোনালদো অনেক বার ই নিজেকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন ।ভাগ্যের কাছে যেন বার বারই হেরে যাচ্ছিলেন ।ইঞ্জুরি আর বয়সের চাপে যেন্ শেষ এর দিকে যেন ইউরোপের ক্লাব গুলোতে নিজেকে যেন কোন ভাবেই তুলে ধরতে পারছিলেন না ।সবশেষে ২০১১ সালের ৭ ই জুন ব্রাজিল এর হয়ে রিটায়ার্ড ম্যচ খেলেন রোমানিয়ার বিপক্ষে ।সেই ম্যচে অন্য্ এক রোনালদোকে দেখা যায় ।বিশাল দৈত্যকার শরীর আর বয়সের ভারে মুটিয়ে যাওয়া এক ফুটবলার ।প্রীতি ম্যচে ৩০ মিনিটের সময় বদলি হিসেবে মাঠে নামেব তিনি,৩ টি গোল এট্যাকের সব গুলোই মিস।
See lessব্যক্তিগত জীবনে ২ ছেলে আর ২ মেয়ে সন্তানের জনক রোনালদো……।।
কভিট ১৯ VS সোয়াইন ফ্লু
2009 সাল পৃথিবীতে মহামারীর একটি বছর সেই বছরে পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ একটি মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছিল নাম তার সোয়াইন ফ্লু। যদিও আমরা দশ বছর আগে এই ভাইরাসকে প্রতিহত করতে সমর্থ হয়েছিলাম কিন্তু এখন পর্যন্ত এর রেশ রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই রেশের এর ফলে পৃথিবীতে আরেকটি বড় মহামারী হতে পারে। এটিRead more
2009 সাল পৃথিবীতে মহামারীর একটি বছর সেই বছরে পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ একটি মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছিল নাম তার সোয়াইন ফ্লু। যদিও আমরা দশ বছর আগে এই ভাইরাসকে প্রতিহত করতে সমর্থ হয়েছিলাম কিন্তু এখন পর্যন্ত এর রেশ রয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই রেশের এর ফলে পৃথিবীতে আরেকটি বড় মহামারী হতে পারে। এটি হওয়ার সম্ভাবনা কতটা? এই রোগটি ধরলে কী হবে? এবং এই ভাইরাসটিকে কি COVID-19 এর সাথে তুলনা করা যাবে।
এই সোয়াইন ফ্লু বা H1N1 স্ট্যান্ডার্ড 4G ভাইরাস হিসাবে পরিচিত। এটি শুকর থেকে আসে এবং কয়েক বছর ধরে এটি মানুষের কামছে স্থানান্তরিত হচ্ছে। প্রারম্ভিক ল্যাব পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে, এই ভাইরাসের 2009 সালের মহামারী এবং স্প্যানিশ ফ্লুর রেশ রয়েছে বলে বিজ্ঞানিরা দাবি করেন।
আর এই সোয়াইন ফ্লুর রেস থাকা মানে পৃথিবীতে আবার মহামারী হতে পারে। যদি হয় আপনি কি করবেন।
আপনি কি জানেন চিনের শূকর শিল্পে কাজ করা এক দশমাংশ লোক নতুন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে।
দুর্ঘটনাক্রমে সেখানকার মানুষ সংক্রামিত বস্তু স্পর্শ করে এবং সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত ব্যক্তির দ্বারা হাঁচি কাশি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হয়েছিল এবং এভাবেই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাসটি আপনার শরীরে প্রবেশের পরে, আপনি সত্যিই কিছু খেয়াল শুরু করার আগে ১ থেকে ৪ দিন সময় নিতে পারে। এবং আপনি যে লক্ষণগুলি অনুভব করবেন সেগুলিও সম্ভবত COVID-19 এর সাথে মিল রয়েছে এমন কিছু যা সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তি আগে অনুভব করেছেন।
প্রথম দিন, আপনি সম্ভবত জ্বর এবং কিছুটা ঠান্ডা লাগাবে। এক পর্যায়ে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘামবেন এবং তারপরে, পুরো শরীর হিমশীতল হতে পারে। পেশী ব্যথা এবং সাধারণ ক্লান্তি সহ মনে হবে।
এক-দু’দিন যাওয়ার পরেও কাশি, সর্দি নাক এবং কিছুটা হাঁচির সাথে দেখা হতে পারে। আসল সোয়াইন ফ্লু চলাকালীন কিছু রোগীও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন তবে তা সবার ক্ষেত্রে ঘটে নি।
তখন কেবল আক্রান্ত ব্যক্তি বিছানায় থাকা এবং বিশ্রাম করার জন্য বলা হত। প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে বলা হত। এক সপ্তাহ পর অধিকাংশ লোক সুস্থ হয়েছেন।
তবে এই সমস্যাগুলি আরও খারাপ হয়েছিল কিছু লোকদের ক্ষেত্রে। যদি এই লক্ষণগুলি এক সপ্তাহেরও বেশি স্থায়ী হত তবে নিউমোনিয়া বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তৈরি হত।
এ থেকে বুজা যায় যে সোয়াইন ফ্লু এবং কভিট-১৯ একই মায়ের ২ ভাই, এক ভাই খুবই সবল আরেক ভাই তার চেয়ে অপেক্ষায় দুর্বল।
আপনার আক্রান্ত লোকদের থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ আপনি সহজেই এই সময়ে অন্যকে সংক্রামিত করতে পারেন।
এটি খুব বিরল ছিল যে আপনি সোয়াইন ফ্লুতে মারা যাবে কিন্তু অসম্ভব ছিল না। সিডিসির মতে, ২০০৯ সালে এটি থেকে দেড় লক্ষের বেশি লোক মারা গিয়েছিল। নিউমোনিয়া বা শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভাইরাসজনিত সমস্যার কারণে এটি হতে পারে বা সত্য যে ফ্লু আক্রান্ত হওয়ার ফলে লোকের কোনও পূর্ববর্তী মেডিকেল ইস্যুগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে।
সুতরাং আমরা জানি যে, এই জি 4 ভাইরাসটি কী নতুন মহামারী শুরু করতে পারে? বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের খুব বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত নয়, কমপক্ষে এখনও না। ভাইরাসের এই জি 4 রেশটি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছে এবং এখন মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
কেবল এটিই নয়, এটি কেবলমাত্র জনসংখ্যার পরবর্তনে শূকর থেকে মানুষে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও মনে রাখবেন যে ২০০৯-এ সোয়াইন ফ্লু COVID-19 এর তুলনায় শীর্ষে কারন ফ্লু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত গড়ে দুজন লোককে সংক্রামিত করতে পেরেছিল কিন্তু COVID-19 এর চেয়ে কম সংক্রামক ছিল।
সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে, COVID-19-এ আক্রান্ত ব্যক্তি ৫ থেকে ৬ জনকে সংক্রামিত করতে পারে। কেবল তা-ই নয়, তবে কভিড -১৯ এর চেয়ে সোয়াইন ফ্লু নিয়ে কাজ করা অনেক সহজ বলে মনে করা হয়, কারণ ভাইরাসটি আমাদের সিস্টেমে আগে যেমন ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাধর কভিড-১৯। COVID-19 এতো বিপজ্জনক কারণ এটি এমন কিছু যা মানুষের কখনও অভিজ্ঞতা হয় নি।
আমাদের উচিত খুজে বের করা এই ভাইরাস এবং অন্যান্য সমস্ত ভাইরাসগুলি এড়াতে আমরা কী করতে পারি? আপনার পক্ষে সবচেয়ে ভাল কাজটি হ’ল প্রায়শই হাত ধোয়া, হাত ধুয়ার আগে আপনার মুখটি স্পর্শ করবেন না এবং সামাজিক দূরত্ব অনুশীলন করুন।
See lessসিলেটের দর্শনীয় স্থানসমূহ পর্ব ৬ মায়াবীলেক” মাধবপুর লেক ও চা বাগান”
মাধবপুর লেকঃ সৌন্দর্যে ভরপুর মৌলভীবাজার জেলার একটি দর্শনীয় স্থান মাধবপুর লেক ও চা বাগান। কমলগঞ্জ উপজেলা সদরে থেকে মাধবপুর লেকের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। লোকমুখে শোনা যায় ,চা বাগানের টিলায় বাঁধ দিয়ে পানি জমিয়ে এই লেক তৈরী করা হয়েছিল১৯৬৫ সালে। প্রায় ৫০ একর আয়তনের উপর নির্মিত মাধবপুর লেকের দৈর্ঘ্য ৩ কিRead more
মাধবপুর লেকঃ সৌন্দর্যে ভরপুর মৌলভীবাজার জেলার একটি দর্শনীয় স্থান মাধবপুর লেক ও চা বাগান। কমলগঞ্জ উপজেলা সদরে থেকে মাধবপুর লেকের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। লোকমুখে শোনা যায় ,চা বাগানের টিলায় বাঁধ দিয়ে পানি জমিয়ে এই লেক তৈরী করা হয়েছিল১৯৬৫ সালে। প্রায় ৫০ একর আয়তনের উপর নির্মিত মাধবপুর লেকের দৈর্ঘ্য ৩ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৫০ থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত।
মৌলভীবাজার জেলার নাম শুনলেই প্রথমেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে পাহাড়ে ঘেরা সৌন্দর্যময় চা বাগানের ছবি। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত মাধবপুর লেক ও চা বাগান। পাহাড়ে ঘেরা ও চা বাগানের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে মাধবপুর লেক।
এই লেকের চারপাশে পাহাড়ে ও টিলায় চাষ করা হয় চা। লাল ও নীল রংয়ের পদ্মফুলে ছুঁয়ে থাকে পুরো লেক। লেকের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য করবে ,এটির প্রশস্ত এতটাই বেশি যে ক্যামেরায় ধারণ করা প্রায় কষ্টসাধ্য।
লেকের শীতল বাতাস যখন এসে আপনাকে ছুঁয়ে যাবে তখন আপনার মনে হবে আপনি কোন নদীর অথবা সাগরের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। পাহাড়ের উপরে রয়েছে সুন্দর একটি তাবু সেই তাঁবুতে দাঁড়িয়ে আপনি মাধবপুর লেকের জল পাহাড় ও সবুজে ঘেরা চা বাগানের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে ।
সাদা ও নীল পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য দূর থেকে দেখলে মনে হবে ক্যানভাসে আঁকা কোন আর্টিস্টের নিপুন হাতের সৃষ্টি। আপনি যত লেকের ভিতর যেতে থাকবেন সবুজ পাতার মনমুগ্ধকর গন্ধ আপনাকে মাতাল করে ফেলবে নানান রঙের পদ্ম ফুল ও সমতল পাহাড়ে চা বাগানের সৌন্দর্য আপনাকে হারিয়ে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে নিজের চোখে না দেখলে এর আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব নয়।
এই লেকে রয়েছে অনেকগুলো সেকশন ।ন্যাশনাল টি কোম্পানির তত্ত্বাবধানে মাধবপুর চা বাগানে ১১ নম্বর সেকশনে রয়েছে লেকের শোভা বাড়ানোর সাদা ও নীল পদ্ম ফুল। পুরো মাধবপুর লেকে ঘিরে রয়েছে ছোট ছোট পাহাড় ও টিলা, এসব পাহাড় এবং টিলায় চাষকৃত চায়ের পাতার গন্ধ আপনাকে মুগ্ধ করবে। শীতকালে এই লেকের অন্য একটি রূপের দেখা মিলে যেটি এই লেকের সৌন্দর্য অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।
তখন এই লেকে আগমন ঘটে অনেক অতিথি পাখির। পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং চা বাগানের ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় রেখে ভ্রমণকারীদের সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত অবস্থান করতে দেয়া হয়। মাধবপুর লেক থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ হাতে সময় থাকলে সেখানে ঘুরে আসতে পারবেন।মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দেখতেও চমৎকার জায়গাটি এক ফাঁকে ঘুরে আসতে পারেন আপনি। কিভাবে যাবেন সৌন্দর জায়গা উপভোগ করতে চলুন দেখে নেয়া যাক।
থাকবেন ও খাবেন কোথায়: শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য অনেক ভাল মানের হোটেল রয়েছে আপনি চাইলে শ্রীমঙ্গলের গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ রেনফরেস্ট রিসোর্ট এ আগে বুকিং করে নিতে পারেন।এই সব হোটেল এবং রিসোর্টে বিভিন্ন সময় অনেক ধরনের অফার থাকে। সে ক্ষেত্রে তাদের সাথে আগে কথা বলে নিতে হবে এছাড়া আপনি চাইলে শ্রীমঙ্গলের যেকোনো হোটেলে থাকতে পারেন ।
মাধবপুর লেকের আশেপাশে ধরনের খাবার যেমন কোনো ব্যবস্থা নেই সে ক্ষেত্রে আপনি যাওয়ার পথে শ্রীমঙ্গল থেকে শহর থেকে কিছু খবর সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন শ্রীমঙ্গলে নানা ধরনের রেস্টুরেন্ট আছে চাইলে সেখানে এসে খাবার খেয়ে নিতে পারেন। শ্রীমঙ্গলে পানসে ও পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে আপনি ভাল মানের খাবার পাবেন সেখানে আপনি আপনার খাবার খেয়ে নিতে পারেন তবে পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট ভর্তার জন্য খুব বিখ্যাত। এখানে আপনি সব ধরনের ভর্তা পাবেন খাবারের মান পড়বে ১০০থেকে ৫০০টাকার মধ্যে ।
See lessভূত গল্প – ৭
আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম তাসফিয়া। এই ঘটনা আমার এক প্রতিবেশী আন্টির কাছ থেকে শুনা। এই ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই । আমি যায়গার নামটা উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। কারণ আমি প্রথমেই বলেছি এটি আমি আমার প্রতিবেশী আন্টির কাছ থেকে শুনা তারা অন্য কারো সাথে এই ঘটনাটা শেয়ার করেছেন কিনা আমি জানিনা। তাই আমি যRead more
আসসালামু আলাইকুম,
আমার নাম তাসফিয়া। এই ঘটনা
আমার এক প্রতিবেশী আন্টির কাছ থেকে শুনা।
এই ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই । আমি যায়গার নামটা উল্লেখ করতে চাচ্ছি না।
কারণ আমি প্রথমেই বলেছি এটি আমি আমার প্রতিবেশী আন্টির কাছ থেকে শুনা
তারা অন্য কারো সাথে এই ঘটনাটা শেয়ার করেছেন কিনা আমি জানিনা। তাই আমি যায়গার নামটি প্রকাশ করতে পাচ্ছি না। তার জন্য দুঃখিত।
সরাসরি ঘটনায় চলে যাচ্ছি।
পরিক্ষা শেষে আমার কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। তখন ছিল ডিসেম্বর মাস বছরের শেষ মাস। জানুয়ারির প্রথম দিকে আবার কলেজ খুলে যাবে তাই আমরা সবাই মিলে নানু বাড়ী বেড়াতে যাই।
আমরা পৌছাতে পৌছাতে তখন বিকেল হয়ে যায়। সেদিন রাতে নানু বাড়ীতে হৈ চৈ গল্প আড্ডা চলছে। সবাই রাত ১০ টায় খাওয়া দাওয়া শেষ করে ড্রইং রুমে বসে গল্প করছেন। কখন যে রাত ২ টা বেজে গেছে সেদিকে কারো খেয়াল ছিলো না।
পরের দিন আমরা বেড়াতে এসেছি শুনে পাশের বাসার এক আন্টি আমাদের সাথে দেখা করতে আসেন। উনি আমাকে খুব পছন্দ করতেন। আমার কাজিনদের থেকে ও বেশি গল্প করতেন আমার সাথে। আমি উনাকে কখনও পাশের বাসার আন্টি ভাবতাম না। নিজের আপন আন্টি মনে করতাম।
নানু ও উনাকে খুব পছন্দ করতেন। নিজের মেয়ের মতো ভাবতেন। ভালো কিছু রান্না করলেই আন্টির জন্য পাঠাতেন। আর আন্টি ও নানুকে না দিয়ে কিছু খেতেন না। অল্প কিছু হলেও সেটা না দিয়ে উনি নিজে খেতেন না। কারণ আন্টির বিয়ের পর যখন আমাদের পাশের বাসায় এসেছেন তখন থেকেই উনার সাথে আমাদের পরিচয়।
আমার মা আন্টিকে আপন বোনের মতো স্নেহ করতেন। আমি নানুর সাথে ঐ আন্টিদের বাসায় যাই। পরে নানু আন্টিকে ডেকে বললেন আজ রাতে তুমরা আমাদের সাথে একসাথে খাবে। আন্টি কখনও নানুর কথা ফেলেন না।
আমি আন্টিকে বললাম আন্টি সন্ধ্যার পরে চলে আসবেন সবাই মিলে অনেক গল্প করা যাবে। আন্টি বললেন আচ্ছা। কথা মতো আন্টিও সন্ধ্যার পর চলে আসেন। চা খাচ্ছিলাম সবাই একসাথে তখন হঠাৎ আমার ছোটবোন তাসনিয়া বললো আন্টি আমাকে একটা গল্প শুনান না প্লিজ।
আমার ছোটবোন তাসনিয়া ক্লাস নাইনে পড়ে।
আন্টি বললেন আচ্ছা শুনাচ্ছি তবে সেটা কোনো গল্প নয় বাস্তব ঘটনা। আমাদের গ্রামের একজনের সাথে সেই ঘটনা ঘটেছে। তখন আমি ছোট ছিলাম এটা আমার দাদির কাছ থেকে শুনা ঘটনা।
বর্ষা মৌসুমে আমাদের গ্রামের নদী সম্পূর্ণ ভরে তখন পানি ফসলের মাঠে পৌছে যেত। তাই পানি হওয়ার আগেই সবাই ধান কেঁটে ফেলতেন। তখন বৃষ্টির পানি এবং নদীর পানি এক হয়ে ভরে যায় চারপাশ। যেই মেয়েটির সাথে এই ঘটনা ঘটে তার নাম জয়নব বেগম। সে ছিল খুবই সুন্দরী মেয়ে ।
তার ঘন কালো অনেক লম্বা চুল ছিল। এ গ্রামে আর এরকম কারো চুল নেই। চুলগুলো তার ছাড়া থাকতো সব সময় । জয়নব সহ গ্রামের ছেলে মেয়েরা একসাথে খেলা করছিল তাদের বাড়ীর উঠুনে।
হঠাৎ তাদের এক সহপাঠী এসে খবর দিল নদীর পানি তাদের গ্রামের ক্ষেতে ডুকে গেছে। তখন বৃষ্টি নামে সবাই খেলা বাদ দিয়ে দৌড়ে যায় এবং বৃষ্টির পানিতে আনন্দ করতে থাকে।
তখন জয়নবের এক বান্ধবি বলে পানি অনেকটা বেড়ে গেছে চল ফিরে যাই আর সাঁতার কাটার প্রয়োজন নেই। জয়নব বলে ধুর আরেকটু সাঁতার কেটে নেই পরে যাবো।
পরে সবাই যার যার বাড়ীতে চলে গেল। বিকেল পেড়িয়ে যখন সন্ধ্যা নামে তখন জয়নবকে খোঁজা শুরু হয়। একে একে তার সব বন্ধুদের বাড়ীতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেও তার খোঁজ মিললো না। তখন জয়নবের বাবা শেফালিদের বাড়ীতে যান।
তার বাবা মা কে জিজ্ঞেস করেন। পাশের ঘরে শেফালি পড়ছিল বসে, তখন জয়নবের বাবার গলা শুনে সে আসে। তাদের বাড়ীতে ও আসেনি শুনে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন জয়নবের বাবা। তখন শেফালি বলে, চাঁচা দাড়ান।
জয়নব বাড়ী ফেরে নি ? জয়নবের বাবা বললেন না মা। তখন শেফালি বললো পানি বাড়ছে দেখে ভঁয়ে আমরা সবাই সাঁতার না কেঁটে ওঠে আসি। তখন জয়নবকে ও ডাকি সে বললো আরেকটু সাঁতার কেঁটে বাড়ীতে যাবো তুমরা যাও ।
পরে আমরা চলে আসি। শেফালির বাবা রেগে মেয়েকে মারতে যান এই কথা কেন আগে বলিস নি। পরে জয়নবের বাবা তাকে আটকান। পরে সবাই মিলে গ্রামের নদীর পাড়ে যান। সবাই মিলে তাকে খুঁজেন।
ঐদিন রাতে জয়নবের বাবা স্বপ্নে দেখেন তার মেয়ে জীবিত আছে। চোঁখ বন্ধ করে সে শুঁয়ে আছে পানির নিচে। এবং কালো ঝাঁপসা কে একজন তাকে বলছে তুমাকে অনেক ধন সম্পত্তি, সোনা দানা দিবো। তুমার মেয়েকে দিয়ে দাও তুমি যা চাইবে আমি তা দিব।
জয়নবের বাবা বলেন আমার মেয়েকে চাই কিছু লাগবে না। তখন জয়নবের বাবার ঘুম ভেঁঙ্গে যায়।
পরের দিন কয়েকজন জেলেরা খুঁজে দেখেন সাথে গ্রামের কিছু ছেলেরাও খুঁজে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি।
তখন জয়নবের বাবা এক হুজুরের কাছে গেলেন।
হুজুর সব কিছু দেখে বললেন মেয়েটা এখনও জীবিত আছে তাকে দেঔ পানির নিচে আটকে রেখেছে। তিনি তখন উনার শক্তির মাধ্যমে দেঔকে ডাকালেন এবং বললেন মেয়েটাকে ছেড়ে দিতে।
তখন ওই দেঔ বললো ঐ মেয়েকে সে বিয়ে করতে চায় সে ছাড়া আর কেউ তাকে বিয়ে করতে পারবে না।
ফিরিয়ে দিবে ২ টা শর্তে রাজি হলে।
হুজুর জয়নবের বাবাকে বললেন সেই শর্তের কথা।
তিনি রাজি না হওয়া ছাড়া আর কোনো উপয় ছিলো না। এক দামে কিনে দিতে হবে বড় এবং সম্পূর্ণ কালো একটা ষাঁড়। এবং তাকে সুন্দর করে সাজিয়ে এবং মাথায় সিদুঁর লাগিয়ে পানিতে ছেড়ে দিতে হবে । এবং সেখান থেকে পিছনে না থাকিয়ে বাড়ীতে চলে যেতে হবে।
জয়নব নিজে থেকেই বাড়ী ফিরে আসবে।
আর দ্বিতীয় শর্ত ছিল মেয়েকে কখনও বিঁয়ে দিতে পারবেন না যদি বিঁয়ে দেন তাহলে সে মেয়ের স্বামী মারা যাবে।
সে বিধবা হয়ে যাবে বিয়ের রাতেই। কারণ সে জয়নবকে বিয়ে করে ফেলেছে। পরের দিন কথা মত জয়নবের বাবা এক লোকের কাছ থেকে এক দামে একটি ষাঁড় কিনে আনেন ষাঁড়কে সাজানো হয়।
অনেক ধাক্কা ধাক্কি করে ও ষাঁড়টাকে পানিতে নামানো যায়নি। পরে জয়নবের বাবা তাকিয়ে দেখলেন কঁপালে সিদুঁর লাগানো হয়নি। তিনি তা লাগিয়ে দিলেন এবং সাথে সাথে ষাঁড়টি নিজে থেকেই পানিতে নেমে তলিয়ে গেল।
কথা মত তিনি আর ঐ দিকে না তাকিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। জয়নবের পরিবারের সবাই রাতে অপেক্ষা করছেন কখন ফিরবে তাদের মেয়ে। হঠাৎ সে একা একা হেঁঠে বাড়িতে আসে এবং তার পুরো শরীর পানিতে ভেঁজা।
সবাই খুশি হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলেন।
তার মা তাকে কাঁপড় বদল করে শুক্ন কাঁপড় পড়িয়ে দেন। পরে তিনি জয়নবের সাথে শুলেন একই বিছানায় ঐ দিন আবার রাতে স্বপ্ন দেখলেন জয়নবের মা তাকে কে যেন বলছে। আজ থেকে জয়নব একা একটি খাটে শুবে। তার জন্য আলাদা একটি বিছানার ব্যবস্থা করা হয় আর তার সাথে কেউ যেন না শুয়।
জয়নব বড় হয়ওয়ার পর তার মা বাবা তাকে বিয়ে দেননি। আন্টি বললেন বৃদ্ধ জয়নবকে বেগমকে আমি দেখেছিলাম তাই কথাটা বিশ্বাস করেছি, প্রথমে শুনার পর বিশ্বাস হয়নি।
আন্টির কাছ থেকে এই ঘটনা শুনে আমরা সবাই অবাক হই সেটা ছিল অবাক করার মতো। পানির নিচ থেকে একদিন পরে জীবিত ফিরে আসা বিষয়টি আসলেই অবাক হওয়ার মতো ঘটনা।
এই ছিল আন্টির কাছ থেকে শুনা জয়নব বেগমের ঘটনা। ঘটনাটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে পড়ে শুনাবেন ।
See lessব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদোর জীবনের উত্থান ,পতনের গল্প কি ছিল ?
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদোর জীবনের উত্থান পতনের গল্প সময়টা ৯০দশকের, ঠিক এখনকার তরুণ সমাজ তখনও বুঝে উঠতে পারেনি ফুটবল খেলাটা । হয়তো সেসব স্মৃতি মনে অনেকখানি কিন্তু ন্যাড়া মাথার সামনের দিকে ত্রিভূজাকৃতির এই মানুষটিকে ভুলা অসম্ভব কারণ তিনি একটি অনুভুতির নাম । যে অনুভূতি জেনারেশনের সাথে মিRead more
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদোর জীবনের উত্থান পতনের গল্প
সময়টা ৯০দশকের, ঠিক এখনকার তরুণ সমাজ তখনও বুঝে উঠতে পারেনি ফুটবল খেলাটা । হয়তো সেসব স্মৃতি মনে অনেকখানি কিন্তু ন্যাড়া মাথার সামনের দিকে ত্রিভূজাকৃতির এই মানুষটিকে ভুলা অসম্ভব কারণ তিনি একটি অনুভুতির নাম । যে অনুভূতি জেনারেশনের সাথে মিশে আছে তার নাম রোনালদো । নাম নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় থাকলে তার নাম বলতে হবে রোনালদো,দা ফেনোমেনন ।
তিনি এমন একজন ফুটবলার, নৈপুণ্যেই লাখো লাখো মানুষ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ভক্ত হয়ে যায় ।
এমনকি ক্লাব বা কোন ফুটবলের ভক্ত না যে মানুষটা ,বিশ্বকাপের খেলা দেখতে কোন টিভি সেটের সামনে থেমে যেত তার পায়ে একটি গোল দেখার আশায় । এখন ফুটবলারদের ভক্ত নিয়ে ভাগাভাগি হয়ে যায়, কিন্তু তিনি সর্বকালের অবিসংবাদিত সেরা নম্বর নয় ।
তিনি সাধারণ মানুষের কাছে এতটা প্রিয় যে তার ব্যর্থতার পরেও একটি মানুষও গালমন্দ করে নি । স্টেডিয়াম থেকে বের হয়ে যাননি কেন? চলুন একটিবার দেখে আসি তার ২০ বছরের ক্যারিয়ারে কেমন ছিল । নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু করে ২০০০ এর দশকের । প্রথমার্ধে বিশ্বের অন্যতম গোলদাতা হয়েও কেন পেলে কিংবা ম্যারাডোনার কাতারে কেন যেতে পারেননি তিনি ।
রোনালদো ,তার পুরো নাম রোনাল্ডো লুইস নাজারিও দ্যা লিমা । ১৯৭৬ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে জন্মগ্রহণ করেন এই স্ট্রাইকার । তার বাবার নাম নেলিও নাজারি দ্যা লিমা, এবং মায়ের নাম সোনিয়া দোস সান্তোস বারাতা । দরিদ্র এই দম্পতির তৃতীয় সন্তান ছিল রোনালদো । তাঁর পরিবার এতই দরিদ্র ছিল যে ,জন্মের পর তার বাবা-মা তার নাম রেজিস্ট্রেশন করতে ২ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে । তার পরিবার তাকে স্কুলে পাঠাবার জন্য দারুন সংগ্রাম করে ।
বিশেষ করে পরবর্তী বছরগুলোতে তাদের পরিবারের অবস্থা আরো শোচনীয় হয় । সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটে ১১ বছর বয়সে । দারিদ্রতার কারণে তার বাবা-মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়, রোনালদোর স্কুলে পড়া বন্ধ হয়ে যায় তখন । অর্থ উপার্জন করার জন্য বেছে নেন রাস্তার ফুটবল প্রতিযোগিতা । এরপর কয়েক বছরে রোনালদো স্থানীয় এলাকার কয়েকটি ফুটবল ম্যাচে নিয়মিত সদস্য হয়ে যান । প্রতিবেশি এবং বন্ধুদের অনুপ্রেরণায় নিজের দারুণ উন্নতি ঘটান, তারপর ১২ বছর বয়সে শিয়ালদা টিমে যোগদান করেন । এরপর যাতে নিজেকে এগিয়ে নিতে থাকার রোনালদোর নজরে আসেন আর আলেসান্দ্রো মার্টিনের । এই দুজন তার ভবিষ্যৎ এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন ।
এরপর এই দুজনের সহযোগিতায় মাত্র ১৫ বছর বয়সে তার প্রিয় ক্লাব ফ্লামেঙ্গ তে ট্রায়াল দেন, কিন্তু তিনি বাদ পড়ে যান । তবে তার প্রতিভা প্রথম লাইমলাইটে আনেন ক্রুজেইরস ব্রাজিলিয়ান লিজেন্ড যিনি প্রথম নিয়ে আসেন তাকে মাত্র ১৬ বছরের সময় । ব্রাজিলের ফার্স্ট ডিভিশনে অভিষেক হয় তাঁর একই সময়ে অর্থাৎ ১৯৯৩ সালের নভেম্বর মাসে বাহিয়ার সাথে খেলায় ৫ গোল দিয়ে সবার নজরে আসেন তিনি ।
সেই সময়ে ৪৪ গোল করেন তিনি একইসাথে তার ক্লাবকে ১৯৯৩ সালে উপহার দেন ব্রাজিল এবং ১৯৯৪ সালে মিনাস জেরাইস চ্যাম্পিয়নশিপ ।
১৭ বছর বয়সে ৯৪ বিশ্বকাপে জাতীয় দলে সুযোগ পান । কিন্তু ম্যচে চান্স পান নি । বলেছিলেন মূলত অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই তাকে দলে রেখেছিলেন সেবার । ফলে বেঞ্চে বসে দেখেন ২৪ বছর পর দলের বিশ্বকাপ জয় ।
এমনকি এতটা দুর্ভাগ্য ছিলেন যে জার্সির পেছনে রোনালদো নামটাও লিখতেও পারেন নি, কারণ ব্রাজিল দলে রোনালদো রোদ্রিগেজ নামে আরেকজন খেলেন তাই লেখা হয়নি । রোনালদো বিশ্বকাপের পরে যোগ দিলেন ক্লাব পিএসভি আইন্দোভেন ।
সাবেক পিএসবি রোনালদোকে এই পরামর্শ দেন, ডাচ লিগে গিয়ে নিজেকে খুব সহজে মানিয়ে নিয়েছিলেন । সাথে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন প্রথম মৌসুমে ৩০ গোল করেন ।
পরের সিজনে ইনজুরির জন্য তেমন একটা খেলতে পারেননি । দ্বিতীয় সিজনে করেন ১২গোল জ ১৩ ম্যাচ থেকে । পিএসবিতে থাকাকালীন ১৯৯৫ সালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন । এবং ১৯৯৬ সালে দলকে ডাচ কাপ জেতান ।
পিএসবি পারফরম্যান্সের কারণে তিনি স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা এবং ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের নজরে আসেন । দরকষাকষির একপর্যায়ে রেকর্ড ১৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার হাজার ১৯৯৬-৯৭ সিজনে বার্সায় যান আর রেকর্ড প্রতিদান দেন ৪৯ ম্যচে ৪৭ গোল করেন । একই বছর সহযোগিতা করেন বার্সাকে সে বছরই জিতলেন সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ফিফা প্লেয়ার অফ দা ইয়ার এওয়ার্ড ।
বাড়তি হিসেবে ছিল নাইকের মত ব্র্যান্ডের সাথে ১০ বছর স্পনসর্শিপ চুক্তি । তখন এর সময় কাটছিল শুধু গোলের হিসেবে ।
সেই সময় মৌসুমের মহাত্ম্য বোঝানো যাবে না তার, খেলার স্টাইল ছিল প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল ধরে স্লো রান আর ওয়ান টু ওয়ান করে বক্সে ঢুকে যাওয়া, গোলকিপারকে একা পেলে ৯০ ভাগ সময়ই শুট না নিয়ে বিট করতেন । খেলাটা তার কাছে ছিল আনন্দের খোরাক ।
কম্পসিস্টাটারের সাথে একটা একক গোলের পর স্প্যানিশ পত্রিকা এ এস লিখেছিলেন, পেলে রিটার্নস । বার্সার এই অনবদ্য খেলার পরের মৌসুমে জিতলেন ব্যালন ডি’অর । এরপর বার্সার সাথে কন্টাক্ট নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় মাত্র ২ সিজন খেলেই বার্সা ছাড়েন । রোনালদো বার্সা ছাড়তেই যেন সাপে বর পেল ইন্টার মিলানের ।
ইন্টার মিলানের ওত পেতে থাকা বিশ্বরেকর্ড ১৯ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে এই জাদুকরী স্ট্রাইকার কে নিজের করে নেন ।একই সাথে ট্রানস্ফার রেকর্ডে দিয়েগো ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে গেলেন মাত্র ২১ বছর বয়সে ।
প্রথম বছর সিজনেই সিরিয়াতে দ্বিতীয় গোলদাতা হয় যান । ১৯৯৭ সালে আবার ফিফা কর্তৃক বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান ও ব্যালন ডি’অর অর্জন করেন ।
এরমাঝে ব্রাজিলকে জিতিয়ে দিলেন কোপা আমেরিকার আর ফেডারেশন কাপ।যার একটায় ছিলেন সেরা প্লেয়ার আরেকটায় ছিলেন সেরা স্ট্রাইকার । ইন্টার মিলানে খেলা অবস্থায় ইতালিয়ান প্রেস ইন ফেনোমেনো হিসেবে পরিচিত করে তোলে তাকে । জড়াজড়ি শিবিরে থাকা অবস্থায় টাইমস অনলাইন কর্তৃক ইন্টারের সর্বকালের সেরা ২০ জনের একজন হিসেবে মনোনীত হন তিনি
See lessমানিকজোড় পর্ব ১
আলো ও রিদিতা দুই বান্ধবী ,দুটি দেহে একটি প্রাণ। হৃদিতা ও আলোর বন্ধুত্বের সূচনা ঘটে ওরা যখন ক্লাস এইটে পড়ে। হৃদিতা গ্রামের মেয়ে, শহরে নতুন নতুন এসেছে। তার পিসিমণি হৃদিতাকে শহরের একটি স্কুলে ভর্তি করে দেন। যখন সে নতুন স্কুলে ভর্তি হল সে ক্লাসের অন্যান্যদের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিল না, এটাই স্Read more
আলো ও রিদিতা দুই বান্ধবী ,দুটি দেহে একটি প্রাণ। হৃদিতা ও আলোর বন্ধুত্বের সূচনা ঘটে ওরা যখন ক্লাস এইটে পড়ে। হৃদিতা গ্রামের মেয়ে, শহরে নতুন নতুন এসেছে। তার পিসিমণি হৃদিতাকে শহরের একটি স্কুলে ভর্তি করে দেন।
যখন সে নতুন স্কুলে ভর্তি হল সে ক্লাসের অন্যান্যদের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিল না, এটাই স্বাভাবিক গ্রাম থেকে যখন কেউ নতুন নতুন শহরে আসে তখন নিজেকে শহরের করে উঠানো কিছুটা সময়সাপেক্ষ। হৃদিতা তাদের মতোই একজন।
একদিন হৃদিতা একা একা বসে আছে তখন আলো সেটি দেখতে পেল, তারপর সে এসে হৃদির সাথে পরিচিত হলো,তার সাথে কথা বলতে বলতে সেই কথাবলা থেকে তাদের বন্ধুত্বের শুরু। তারপর তারা একসাথে ক্লাসে বসা,টিফিন করা, এমনকি স্কুলের ছুটি শেষে একসাথে বাসায় ফিরতো।
হৃদি থাকতো তার পিসিমনির কাছে,চাকুরির সুবাদে তিনি চট্টগ্রাম থাকেন। উনার কোন সন্তান না থাকার কারণে হৃদিকে উনার কাছে নিয়ে এসেছেন। দেখতে দেখতে তাদের বন্ধুত্বের দুই বছর হয়ে গেল, শুরু হয়ে গেল এসএসসি পরীক্ষা দুজনে পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেল পরীক্ষা শেষে হৃদি কিছুদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে যায়।
পরীক্ষার ফলাফল বের হলো রিদি জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হলো আলো পেলে জিপিএ ৪.৮৮। তারপর তারা ঠিক করল তারা একই কলেজে ভর্তি হবে, যেই কথা সেই কাজ শুরু হলো কলেজের নতুন জীবন।
কলেজে যাওয়া, ফুচকা-চটপটি খাওয়া টিউশনি পড়তে যাওয়া স্যারের বাসায় সবকিছু শেষ করে একসাথে বাসায় ফেরা, এটাই ছিল তাদের কলেজের নিত্যদিনের রুটিন। কলেজের প্রথম বর্ষের পহেলা বৈশাখে ওরা ঠিক করল ঘুরতে বের হবে এটি তাদের প্রথম বৈশাখে বের হওয়া ।
সেজন্য দুজনই খুব উদ্দীপিত ,সেজন্য তারা লাল পাড়ের শাড়ি, সাথে মাটির গহনা ও খোঁপার জন্যে গাঁদা, গোলাপ ফুল কিনে নিল। পহেলা বৈশাখে দুজনেই সাজগোজ করে বেরোলো , মেলায় ঘুরল খাওয়া-দাওয়া করলো অন্যরকম একটি দিন কেটে গেল তাদের ।সত্যি কারের বন্ধুত্বটা যে কি হৃদি আর আলোর বন্ধুত্ব দেখলেই আমরা সেটা বুঝতে পারি।
দেখতে দেখতে ওদের জীবনটা শেষ হয়ে গেল এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল ,দুজনেই পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, দুজনেরই লক্ষ্য ওরা যেন এক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারে ।তারা চায় না তাদের বন্ধুত্বটা দূরত্বের জন্য নষ্ট হয়ে যাক ভালোভাবে পরীক্ষা শুরু হলো তাদের কিন্তু হঠাৎ করে কেমন যেন সবকিছু বদলে গেল হৃদি চারটি পরীক্ষা দেওয়ার পর আর পরীক্ষা দিতে পারলো না
। হঠাৎ করে সে খুব অসুস্থ হয়ে পড়লো। এমন একটি রোগ যা কখনো কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। সে প্রায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেললো, তখন পর্যন্ত আলো জানে না যে রিদিতা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। রিদিতা তার কোলে একটি পুতুল নিয়ে সারাদিন খেলত আর পুতুলটাকে নিজের বাচ্চা মনে করতো।
এদিকে হৃদিতার পরিবার আলোকে তার পাগলামির কথা জানালো না কারণ তারা জানে আলো, রিদিতা দুটি দেহ এক প্রাণ ।পরীক্ষা থাকার কারণে আলো হৃদির বাসায় আসতে পারলো না। হৃদি শুধু জানতো আলো অসুস্থ।
See lessভূত গল্প – ৬
ভূত গল্প-৬ আমি এই ঘটনাটি অনলাইন ম্যাগাজিন আজব গুজব.কম ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি ।ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আমি আমার নাম বলতে চাইনা। আমি সরাসরি আমার ঘটনায় চলে যাচ্ছি। আমরা সবাই খালার বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম । খালু ঐখানে নতুন একটা বাসা ভাড়া নেন আর আমাদRead more
ভূত গল্প-৬
আমি এই ঘটনাটি অনলাইন ম্যাগাজিন আজব গুজব.কম ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি ।ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আমি আমার নাম বলতে চাইনা।
আমি সরাসরি আমার ঘটনায় চলে যাচ্ছি। আমরা সবাই খালার বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম । খালু ঐখানে নতুন একটা বাসা ভাড়া নেন আর আমাদের বেড়াতে যাওয়ার কথা বলেন। তাই আমরা সবাই বেড়াতে গিয়েছিলাম।
ঐ দিন সবাই চলে আসেন কিন্তুু আমি এবং নানু ঐখানে থেকে যাই। প্রথম দিন রাতে আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। আমি আর নানু এক রুমে একই বিছানায় ঘুমাই। কিন্তুু রাতে অন্ধকার রুমের মধ্যে এক অদ্ভুদ অনুভুতি মনে হলো। লাইট অফ করার পর মনে হল কেউ যেন আমাদের পাশে আছে। কিন্তুু টায়ার্ড থাকায় কিছু না ভেবে ঘুমিয়ে পড়ি।
রাতে হঠাৎ করে আমি চিৎকার করে ঘুম থেকে উঠি। নানু বললেন কি হয়েছে আমি কিছু বলতে পারছিলাম না। নানুকে বললাম হঠাৎ ভঁয় পেয়ে উঠেছি । তারপর নানু আমাকে পানির গ্লাস হাতে দিলেন পানি খেয়ে আমি আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। এর কিছুক্ষণ পর যে ঘটনাটি ঘটলো সেটি হচ্ছে আমার নানু চিৎকার করে উঠেন।
আমি দৌড়ে গিয়ে লাইট জ্বালিয়ে জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে নানু ? তিনি বললেন অদ্ভুদ ধরনের একটি স্বপ্ন দেখালাম। আমরা ঘুমানোর সময় ঠিক দিকেই ঘুমাই কিন্তুু পরে দেখি আমরা উল্টোদিকে শুয়ে আছি। আর কে যেন ভারি গলায় বলছে চলে যা এখান থেকে। তারপর নানুর হাতে কি যেন একটা উঠছে। তিনি হাত দিয়ে সেটাকে ফেলে দেন সেটা ছিঁটকে পড়ে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় তারপর নানু চিৎকার দিয়ে উঠেন।
তারপর আমরা আর ঘুমাইনি সারা রাত লাইট জ্বালিয়ে রেখেছিলাম। সকালে এই বিষয়টি খালা এবং খালুকে বললাম। উনারা শুনে বললেন কই আমরাতো কয়েকদিন ধরে এই বাসায় আছি আমাদের সাথে কখনও এরকম হয়নি। তাই আমি ভাবলাম হয়তো আমাদের মনের ভুল। বিল্ডিংটা ছিল বিশাল বড়, দেখতে অনেকটা পুরনো ভূতুরে বাড়ীর মতো।
বাড়ীর ঠিক সামনেই ছিল একটি কবরস্থান। আমি ঘরের মধ্যে হাটাহাটি করছিলাম হঠাৎ মনে হল কে যেন আমার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তুু ঘুরে তাকতেই দেখতাম কেউ নেই। একটা স্টোর রুম ছিল সেটা সবসময় বন্ধ থাকতো। বাড়ীর মালিক যিনি উনি বলেছেন অনেক বছর ধরে এটা বন্ধ করে রাখা এভাবেই।
কিন্তুু আমার খালু যখন ওই বাসা ভাড়া নেন সেই সময় ঐ রুম প্রথম বারের মতো খুলে দেন। এর পর থেকে এই রুমটা মাঝে মধ্যে খুলে রাখেন দিনে। যাতে রুমে আলো বাতাস ডুকতে পারে রুমে কোন দূর্গন্ধ না হয়। আমি ঘুরে ঘুরে বাড়ীর চারপাশটা দেখলাম। একবার হেঠে হেঠে ওই রুমে ডুকে পরি।
ঐ রুমে ডুকা মাত্রই আমার গাঁ শিরশির করে উঠলো এবং রুমটা খুবই ঠান্ডা ছিল। মনে হচ্ছিল এই রুমে কেউ বড় বড় বরফ রাখা বা এই রুমে এসি লাগানো।
এরকম ঠান্ডা ছিল এই রুম। এই বাড়ীর পাশের বাড়ীর একজন লোক নাকি পাগল ছিলেন। তিনি রাতে হঠাৎ কি যেন দেখেন ভঁয়ে চিৎকার করেন। এর পর থেকে তিনি আবুল তাবুল শুধু কথা বলতেই থাকেন।
তাকে হাতে পায়ে শিকল পড়িয়ে রাখা হয়। আর একটা কথা শুধু উনি বলতেন কেউ বাঁচবে না সব মরবে সব মরবে। তারপর ঐদিন রাতে আবার এক অদ্ভুত রকমের অনুভুতি কাজ করে। মনে হতো সারাক্ষণ আমাদের চারপাশে কেউ আছে। কেউ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা কি করছি না করছি সেটা দেখছে।
সেই দিন রাতে রুমের লাইট আর বন্ধ করলাম না সাড়া রাত জ্বালিয়ে রাখি এবং সাথে একটা চার্জার লাইট ও রাখি। যদি হঠাৎ কারেন্ট চলে যায় তাই এগুলো সাথে রাখি।
আর মোবাইলতো সব সময়ই আমার হাতে রাখি। চার্জার লাইট টা আমাদের দুজনের বাঁলিশের কাছেই রাখি ।
কারণ প্রথম দিন যে ভঁয় পেয়েছিলাম সেই ভঁয় কাজ করছে আমার ভিতর তাই আমি নানুর হাতে ধরে ঘুমিয়ে পড়ি।
আর নানুকে বলি আগামীকাল আমরা চলে যাবো এখান থেকে। চোঁখে ভঁয় নিয়ে এখানে থাকতে চাই না।
অদ্ভুত ব্যপার সেদিন রাত্রে আর কোনো সমস্যা হয়না।
আর ভয়ংকর কোনো স্বপ্ন ও দেখিনা। তারপর সকালে খাওয়া দাওয়া করে আমরা খালার বাড়ী থেকে চলে আসি।
আমাদের বাড়ীতে ফিরে বাড়ীর সবার সাথে এই বিষয়টা শেয়ার করি। এর ঠিক কয়েকদিন পর আবার ও এক অদ্ভুত আরেকটি ঘটনা ঘটে। সেটা শুনে আমি তখন শিওর হয়ে যাই, আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া বিষয়টা তাহলে কোনো স্বপ্ন ছিল না। আমরা চলে আসার কয়েকদিন পরে খালুর ছোট ভাই ঐ বাসায় বেড়াতে যান । তিনি ও আমার মতো পুরো বাড়ী ঘুরেঘুরে দেখেন।
আমি কখনও ঐ বাসার ছাঁদে উঠিনি ভঁয় করতো কারণ সিঁড়ি পাশটা ছিল ভীষণ অন্ধকার এবং দেখে মনে হতো ভুতুরে। তিনি সাহস করে একা একা ছাঁদে উঠেন এবং অনেক্ষণ ছাঁদে থাকার পর নেমে আসেন।
তিনি দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে ঐ রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
হঠাৎ উনার মনে হচ্ছিল কে যেন উনাকে ধাক্কা দিচ্ছিল পরে তিনি ও ভাবলেন হয়তো উনার মনের ভুল। রাতে খাবার শেষে যখন ঐ রুমে তিনি শুতে যান। উনার সাথে যে ঘটনা ঘটে সেটা শুনে আমি অবাক হয়ে যাই। তিনি রুমের দড়জাটা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আর রাতের খাওয়া শেষ করে খালু এবং খালা ঘুমিয়ে পড়েন।
রাত ৩ টার সময় তিনি চিৎকার করে উনার রুম থেকে বের হয়ে খালুদের রুমের দড়জায় ধাক্কা দেন এবং চিৎকার করে কান্না করতে করতে তাদের ডাকছিলেন। তারা কান্নার শব্দ শুনে দড়জা খুলে জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে কাঁদছিস কেন। তখন উনার দিকে তাকিয়ে দুজন অবাক হয়ে যান। দেখলেন উনার পুরো দেহে কামড়ের চিহ্ন। কিন্তুু কিসের কামড় কিছুই বুঝা যাচ্ছে না আর রক্তে পুরো শরীর লাল হয়ে আছে। তিনি প্রচন্ড ভঁয় পেয়ে যান।
পরে খালু ড্রেসিং করে রক্ত বন্ধ করেন। ঐ রাতে কেউ আর ঘুমান না সবাই যেগে রাত কাটিয়ে দেন।
তারপর সকাল হলে মামা উনাকে নিয়ে সবাই একজন হুজুরের কাছে যান। হুজুর চোখ বন্ধ করেন কিছুক্ষণের জন্য পরে তিনি চোখ খুলেন এবং মামার দিকে তাকিয়ে বললেন খারাপ কিছু উনাকে আক্রমণ করে এবং কয়েকজন মিলে কামড়ায়।
কারণ তারা চায় না তারা ছাড়া আর কেউ এই বাসায় থাকুক। তারা অনেক বছর ধরে তাদের বংশ বিস্তার করেছে এবং তাদের পরিবার বড় হয়ে গেছে। যে এই বাসায় আসতো তাদের ক্ষতি করতো বা ভঁয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিত। এই বাড়ীটা অনেক বছর ধরে খালি ছিল বাড়ীর মালিক বাড়ী ছেড়ে শহরে চলে যান নিজের বাচ্ছাদের ভাল স্কুলে পড়শুনা করানোর জন্য।
এরপর থেকে বাড়ী খালি থাকে অনেক বছর। পরে বাড়ীর মালিক ঐ বাড়ীটা ভাড়া দেন। কিন্তুু ঐ বাড়ীতে যে সকল নতুন ভারাটিয়া আসতেন কেউ বেশিদিন থাকতেন না বাড়ী ছেড়ে দিতেন। পরে এক ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে তিনি বিষয়টা জানতে পারেন। পড়ে এই বাড়ীটা বিক্রি করার চেষ্টা করেন কেউ কিনতে রাজি হয়না দেখে এভাবেই ফেল রেখেছেন এবং ভাড়াটিয়াকে কিছু না জানিয়ে তিনি ভাড়া দেন।
হুজুর বললেন যদি আপনারা ও সেই বাসায় থাকেন তাহলে আপনাদের ও ক্ষতি করবে কারণ তারা এই বাড়ীটাকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে এসেছে। পরে হুজুর একটা তাবিজ এবং পানি পড়া দেন। হুজুরের কথা শুনার পর খালু বলেন এই বাড়ীতে থাকা আর সম্ভব নয়।
এই জন্যই তো বাড়ীর মালিক আমাকে বলেছিলেন আশে পাশের লোকের কথায় আপনি কান দিবেন না বলে বাড়ীটি বুঝিয়ে দেন। পরে খালু ঐ দিনই তাড়াহুড়ো করে সেই বাড়ীটি ছেড়ে দেন। এই ছিল আমার ঘটনা।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যপার। তবে এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ দ্বায়ী নহে ।
See lessপৃথিবীর অক্সিজেন যদি দ্বিগুণ হয়ে যায়, কি হবে তখন ?
পৃথিবীর অক্সিজেন যদি দ্বিগুণ হয়ে যায়, কি হবে তখন ? আজ থেকে কয়েক কোটি বছর পূর্বে যখন পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব ছিলনা ,তখন বড় বড় ডাইনোসর আর আর বিশাল বিশাল প্রাণী রাজত্ব করত। আজ থেকে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে ওই সময় আমাদের পৃথিবীতে অক্সিজেনের পরিমাণ ৩০ পার্সেন্ট ছিল, যে কারণে ওই সময় কার প্রাণRead more
পৃথিবীর অক্সিজেন যদি দ্বিগুণ হয়ে যায়, কি হবে তখন ?
আজ থেকে কয়েক কোটি বছর পূর্বে যখন পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব ছিলনা ,তখন বড় বড় ডাইনোসর আর আর বিশাল বিশাল প্রাণী রাজত্ব করত। আজ থেকে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে ওই সময় আমাদের পৃথিবীতে অক্সিজেনের পরিমাণ ৩০ পার্সেন্ট ছিল, যে কারণে ওই সময় কার প্রাণী বর্তমানের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ পর্যন্ত অধিক বিশাল হত।
ওই সময়কার গাছপালাও অনেকটাই লম্বা হতো, যা মেঘ পর্যন্ত ছুয়ে যেত।তো এখন প্রশ্ন এটাই কি হবে যদি বর্তমানে আমাদের পৃথিবীর অক্সিজেন ২১ শতাংশ থেকে বেড়ে দ্বিগুণ মানে ৪২ শতাংশ হয়ে যায়।
এর ফলে মানুষ পৃথিবীর অন্যান্য জীব এবং পৃথিবীর উপর কি প্রভাব পড়বে? আমাদের পৃথিবীর এটমসফেয়ার এ ৭৮ পার্সেন্ট নাইট্রোজেন, ২১ পারসেন্ট অক্সিজেন, আর বাকি ১ পারসেন্ট অন্যান্য গ্যাস মজুদ আছে। আর এর মধ্যে সবথেকে মধ্যপূর্ণ হল অক্সিজেন, যার জন্য আমাদের পৃথিবীতে এত রকমের প্রাণের সৃষ্টি হতে পেরেছে।
আর আমাদের এই পৃথিবীর সম্পূর্ণ অক্সিজেন, যদি মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের জন্য গায়েব হয়ে যায়, আমাদের পৃথিবীর সর্বনাশ হয়ে যাবে। বিশাল আকাশ ছোঁয়া এই সমস্ত বিল্ডিং ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে কারণ অক্সিজেন না হওয়ার কারণে কংক্রিটের বাইন্ডিং নেচার নষ্ট হয়ে যাবে। পৃথিবীতে আগুন জ্বালানোর অসম্ভব হয়ে যাবে, কারণ অক্সিজেন ছাড়া আগুন জ্বলবে না, যার কারণে কম্বিনেশন চালিত গাড়ি এবং অন্যান্য সব মেশিন হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাবে।
সেই সাথে আকাশে উড়ে চলা প্লেন ধীরে ধীরে নিচে পড়তে শুরু করবে। আর অবশেষে আমাদের পৃথিবীর ক্রাস্ট নিজের ভেতরেই বিলিয়ে যেতে থাকবে, যার সাথেই আমাদের সম্পূর্ণ পৃথিবীর বিনাশ হয়ে যাবে। কিন্তু কি হবে যদি আমাদের পৃথিবীর ২১ শতাংশ অক্সিজেন থেকে হঠাৎ করে বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়ে যায়?
সত্যিই প্রশ্নের উত্তর অনেকটা অবাক কর, যদি অক্সিজেনের পরিমাণ বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে যায় আমরা সম্পূর্ন পৃথিবীর প্রাণ এবং পৃথিবীকে আলাদা রকম দেখতে পাবো। পৃথিবীতে মজুদ হাজার হাজার লাখ লাখ পশুপাখি কীটপতঙ্গ জীবজন্তু তারা বর্তমানের তুলনায় আগের থেকে দুই থেকে তিনগুণ বড় হতে শুরু করবে।
আমরা আমাদের চারপাশে যে সমস্ত প্রাণী দেখব তা আমাদের ভাভাতে তে শুরু করবে। তখন আমাদের পৃথিবীর বড় বড় গাছ আরো অধিক লম্বা হতে শুরু করবে, আকাশের মেঘ ছুঁয়ে নেবে। আর আমরা মানুষ ও প্রায় ২-৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে যাব এবং আগের থেকেও বেশি অধিক শক্তিশালী হয়ে যাব। ঠিক যেন মুভিতে দেখা হাল্ক এর মত।
মনে হতে পারে এগুলো সাধারণ অনুগল্প এর মত,বাস্তব এমনটা মোটেও নয়।আজ থেকে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে আমাদের পৃথিবীতে অক্সিজেন ৩০ শতাংশ ছিল। আর বিজ্ঞানীরা তখনকার সময়ের পৃথিবীর রাজত্ব করা প্রাণীর পদ্ধতিটা জানতে পেরেছেন, ওই সময়কার প্রাণী বর্তমানের তুলনায় অধিক বিশাল এবং শক্তিশালী ছিল সেই সাথে বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকটি রিসার্চ থেকে এটা জানতে পেরেছেন অক্সিজেন সরাসরি আমাদেরকে ইফেক্ট করে।
অক্সিজেন আমাদের বাডিতে তৈরি হওয়া গ্লুকোজ, রেড ব্লাড সেল, আর আমাদের ব্রেইনের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরের ৯৫ শতাংশ এনার্জির মধ্যে সবথেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অক্সিজেন। আর বাকি ১০ পার্সেন্ট ভূমিকা পালন করে খাবার। অক্সিজেনের অধিক মাত্রা আমাদের শরীরকে অধিক শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়াও অধিক অক্সিজেন আমাদের ব্রেনের প্রসেসিং পাওয়ার কে অনেকখানি বাড়িয়ে দেবে, যার ফলে মানুষ আরো অধিক স্মার্ট আর ইন্টেলিজেন্ট হয়ে যাবে।
এছাড়া আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যাবে যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রকমের ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।আমরা এত সব থেকে মনে করতে পারি যে অক্সিজেন দ্বিগুণ হলে তাহলে তো শুধু লাভ আর লাভ। এমনটা মোটেও নয়।
অধিকমাত্রায় অক্সিজেন আমাদের শরীরের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে। আমাদের ব্রেনের ভয়ঙ্কর ক্ষতিও করতে পারে। এছাড়াও অক্সিজেন আমাদের শরীরের আরো অনেক রকমের ক্ষতি করতে পারে, যেমন আমাদের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, আমাদের শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।কিন্তু এগুলো হলেও এর থেকেও বেঁচে থাকা সম্ভব।
এজন্য আমাদেরকে মহাকাশচারীদের মত বেঁচে থাকতে হবে, অথবা কোন প্রকারের নভোচারী সুট পরিধান করতে হবে।অধিক অক্সিজেন আমাদের পরিবেশের এর উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে, যেমন সূর্যের তাপ অক্সিজেনের জন্য অধিক মাত্রায় পৃথিবীতে আসবে। আর যার ফলে গাছ-পালা সব আগুনে পুড়তে শুরু করবে, এছাড়াও অধিক অক্সিজেনের কারণে ট্রান্সপোর্ট আর লোহার তৈরি জিনিসের উপরে দ্রুত জং ধরতে শুরু করবে।
অধিক অক্সিজেনের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের গাছপালার মধ্যে আগুন লেগেই থাকবে, যার থেকে গাছপালা কমতে থাকবে এবং পৃথিবীর পশু পাখি জীবজন্তুর বিলীন হয়ে যাবে।অধিক অক্সিজেন আমাদের পৃথিবীর জন্য কি পরিমান ভয়ানক হতে পারে আশা করি এই টপিক থেকে আমরা জানতে পেরেছি।
See lessসিলেটের দর্শনীয় স্থানসমূহ পর্ব ৫:” নয়নাভিরাম ঝর্ণা-মাধবকুণ্ড “
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেট জেলা ভ্রমন বিলাসীদের জন্য এক অনন্য নাম। আজ আমি আপনাদের এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাবো যেটা কিনা বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘতম জলপ্রপাত নামে পরিচিত মাধবকুণ্ড ঝর্ণা। সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা অঞ্চলে অবস্থিত এটি। মৌলভীবাজার শহর থেকে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এটির অবRead more
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেট জেলা ভ্রমন বিলাসীদের জন্য এক অনন্য নাম। আজ আমি আপনাদের এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাবো যেটা কিনা বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘতম জলপ্রপাত নামে পরিচিত মাধবকুণ্ড ঝর্ণা।
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা অঞ্চলে অবস্থিত এটি। মৌলভীবাজার শহর থেকে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এটির অবস্থান। সিলেট নগরীকে আমরা চায়ের শহর হিসেবে জানি আপনি যখন মৌলভীবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন তখন রাস্তার দুই পাশে দেখতে পাবেন উঁচু পাহাড়ে চায়ের গাছ।
যেখানে আপনার চোখ আটকে যাবে, সবুজে ঘেরা অরণ্যে ও হালকা মৃদু বাতাসে আপনি হারিয়ে যাবেন অন্য একটি ভাবনায়। উপভোগ করতে করতে পৌঁছে যাবেন মাধবকুণ্ডে।বর্তমানে বাংলাদেশে বহু ঝরনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তারপরও ভ্রমণবিলাসীদের কাছে মাধবকুণ্ড ঝর্ণার চাহিদা অন্যরকম।এখনো কমেনি এর চাহিদা, সেজন্য মাধবকুণ্ড এলাকায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে একটি রেস্ট হাউসও রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার মাধবকুন্ড এলাকাকে প্রতিষ্ঠাত করেছে ইকো পার্কে ।
ঢুকলেই আপনি দেখতে পাবেন বিশাল গাছগাছালির সমারোহ দূর থেকে ভেসে আসছে পাকপাখালির শব্দ আর ঝর্ণার পানির আওয়াজ ।ইকো পার্কে গেলে আপনি মাধবকুণ্ড ঝর্ণার সাথে সাথে দেখতে পারবেন পরীকুণ্ড জলপ্রপাত, শ্রী শ্রী মাধব এর তীর্থস্থান, এবং চা বাগান ।
পাথারিয়া পাহাড়ের গা ঘেঁষে বেয়ে ছড়া নিচে প্রবাহিত হয়ে মাধবছড়ায় পরিণত হয়েছে। প্রায় ১৬২ফুট উঁচু থেকে নিচে পড়ে মাধবছড়া ঝরনা। বর্ষা এর আসল সৌন্দর্য আপনার চোখে পড়বে সাধারণত একটি মূলধারায় ঝর্ণার পানি পড়তে থাকে কিন্তু বর্ষাকালে মূলধারার পাশে অন্য একটি ধারার সৃষ্টি হয়।
আর দুটো মিলে একাকার হয়ে পানিতে তোড়ের সৃষ্টি করে। পানির তীব্র তোড়ের কারণে নিচে সৃষ্টি হয়েছে বিরাট কুন্ডের। কুণ্ডের পাশেই পাথরের গায়ে সৃষ্টি হয়েছে একটি গুহার, যার নাম কাব। এই কাব দেখতে অনেকটা চালাঘরের মতো। স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানা যায় মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে স্নানর্থীরা কাবের নিচে দাঁড়িয়ে ভিজা কাপড় পরিবর্তন করে থাকেন।
মাধবছড়া পানি প্রবাহিত হয় মিশে গিয়েছে হাকালুকি হাওরে। হাকালুকি হাওর কিন্তু উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় হাওর ,ঘুরতে আসলে আপনি এ জায়গাটি উপভোগ করতে পারবেন। যতদূর চোখ যাবে হাওড়া আর হাওর ধু ধু মাঠ এর শেষ সীমানা পর্যন্ত দেখা যায়না। এক পলকে আপনার কাছে মনে হবে আকাশ যেন এসে মিশে গিয়েছে হাওরে।
নিজের চোখে না দেখলে এর আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে না। চলুন এখন দেখা যাক কিভাবে আপনি এই সুন্দর জায়গা উপভোগ করতে যাবেন।
কিভাবে যাবেন : আপনি যদি ঢাকা থেকে আসতে চান তাহলে আপনাকে ঢাকার গাবতলী, শ্যামলী, সায়েদাবাদ,থেকে বিয়ানীবাজার গামী শ্যামলী পরিবহন বা এনা পরিবহনে করে সরাসরি কাঠালতলী বাজারে নেমে যেতে হবে ।কাঠালতলী বাজার থেকে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত। আপনি চাইলে কাঁঠালতলী থেকে রিজার্ভ সিএনজি বা ট্যাক্সি ভাড়া করে ১৬০-২০০ টাকায় পৌঁছে যাবেন মাধবকুণ্ড। এছাড়া চাইলে লোকাল বাসে জনপ্রতি ৪০-৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে মাধবকুন্ড যেতে পারবেন।
আপনি চাইলে ট্রেনে করে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন পারাবত, উপবন, পাহাড়িয়া, ট্রেন সিলেটে আসে। সেক্ষেত্রে আপনাদেরকে কুলাউড়া রেল স্টেশনে নেমে যেতে হবে। কুলাউড়া থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে মৌলভীবাজার কাঠালতলী হয়ে চলে যাবেন মাধবকুণ্ড ভাড়া পড়বে ৪০০-৬০০ টাকা।
থাকবেন ও খাবেন কোথায়: মাধবকুণ্ডে মোটামুটি ভালো মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে কিন্তুু সেখানে খাবারের দাম একটু বেশি। চাইলে খাবার বাইরে থেকে কিনে নিয়ে যেতে পারেন, মৌলভীবাজার শহরে অনেক ভালো মানের খাবার হোটেল আছে। পছন্দমত যে কোন হোটেল থেকে খাবার খেতে পারবেন।
মাধবকুণ্ডে থাকার জন্য পর্যটন কর্পোরেশনের রেস্ট হাউস আছে সেখানে আপনি থাকতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে তাদের সাথে কথা বলে নিতে হবে। তবে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে সিলেট বা মৌলভীবাজারে শহরে। এসব জায়গায় থাকার অনেক ভালো ব্যবস্থা আছে। আপনি যদি মৌলভীবাজারের অন্যান্য জায়গায় ঘুরে দেখতে চান সে ক্ষেত্রে মৌলভীবাজার শহরে যেকোনো একটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন।
See lessকরোনা পরীক্ষার ব্যায় ভার কি জনগনকেই বহন করতে হবে?
করোনা পরীক্ষার ব্যায় ভার কি জনগনকেই বহন করতে হবে? করোনা রোগের প্রতিরোধের জন্য বর্তমান সময়ে সচেতনতার সাথে সাথে যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে করোনা টেস্ট।বহির্বিশ্বে যেটার উপর খুবই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।এদিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের দেশে প্রতি এক লাখে টেস্ট করানো হার একশর ওRead more
করোনা পরীক্ষার ব্যায় ভার কি জনগনকেই বহন করতে হবে?
করোনা রোগের প্রতিরোধের জন্য বর্তমান সময়ে সচেতনতার সাথে সাথে যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে করোনা টেস্ট।বহির্বিশ্বে যেটার উপর খুবই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।এদিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আমাদের বাংলাদেশ।
আমাদের দেশে প্রতি এক লাখে টেস্ট করানো হার একশর ও কম।কিন্তু একই অবস্থায় ইউরোপ-আমেরিকা উন্নত বিশ্ব ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার আমাদের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, ইত্যাদি দেশগুলোর করোনা টেস্টের হার আমাদের থেকেও অনেক বেশি।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে যে করোনা টেস্ট এর হার অনেক বেশি বাড়াতে হবে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং মিডিয়ায় অনেক খবর প্রচারিত হচ্ছে এটি নিয়ে,আবার অনেক গুজব ও রটছে।করোনা টেস্টের যে ফি সেটা এতদিন সরকারিভাবে বিনামূল্যে করা হলেও, বর্তমানে সেটার জন্য একটা নির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করা হবে।
এক এক টা টেস্ট করতে বেসরকারিভাবে খরচ হচ্ছে প্রায় তিন হাজার পাঁচশত টাকা। সাথে ল্যাব বসানোর খরচ, যন্ত্রপাতি খরচ, জনশক্তি খরচ ইত্যাদি নানা খরচ তো আছেই। বর্তমানে টেস্টের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে।
প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার এর মত টেস্ট করানো হচ্ছে।এই অবস্থায় প্রতিদিন দৈনিক এই করোনা টেস্টের জন্য সরকারকে অনেক অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। এই অবস্থায় টেস্ট প্রতি ২০০ টাকা ও যদি ফি নির্ধারণ করা হয়,তাহলে তাতে সবাই কন্ট্রিবিউশন করলে সরকারের কিছুটা উপকার হয়।
সরকার যে দামে কিট কিনে আনছে তার চেয়ে অনেক অনেক কম দামে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্তে অনেক অনেক ডাক্তার চিকিৎসকদের অনেক মতবিরোধও রয়েছে। তাদের মতে সরকার লাভের আশা যে জিনিসটা করতে চাচ্ছে সেটি করলে ক্ষতিটাই বেশি হবে।
যদি করোনার ফি নির্ধারণ করা হয় তাহলে বেশিরভাগ সংক্রমিত মানুষ টেস্ট করাতে চাইবে না।যাদের শারীরিক তেমন কষ্ট হচ্ছে না বা যাদের উপসর্গ থাকলেও খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না তারাও অনেক সময় টেস্ট করবে না।
তখন এই টেস্ট না করানোর ফলের সংক্রমণ এর সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাবে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবে, প্রচুর আইসিউ, ভেন্টিলেটর, ইত্যাদির প্রয়োজন হবে। তখন দেখা যাবে যে চিকিৎসার অভাবে প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে। তখন ওই টেস্টিং কিট থেকে যে টাকা আয় হবে তার চেয়ে বেশি টাকা খরচ হয়ে যাবে ওইসব রোগের চিকিৎসা খরচ যোগাতে।তখন দেখা যাবে যে দুই টাকা আয় করতে গিয়ে দশ টাকাই খরচ।
এই বিষয়ে সরকার যদি যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে তাহলে অনেক বড় মূল্য দিতে হবে আমাদের বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো না।জীবনের অনেক কিছুই হিসেব-নিকেশ করে করতে হয়।যেখানে নিম্ন মধ্যবিত্তরা একটা মাস্ক কয়েক দিন ব্যবহার করে তারা কিনা করোনার উপসর্গ হলেই করোনা টেস্ট করাবে জিনিসটা অনেকটাই অসাধ্য আমাদের জন্য।
কেননা আমাদের দেশের অনেক অনেক মানুষেরই টেস্ট করানোর সামর্থ্য নেই। এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় টেস্ট অনেক অনেক অনেক কম, তখন দেখা যাবে যে টেস্ট আরো অনেক কমে গিয়েছে।আরে টেস্ট কমে যাওয়া মানে সংক্রমণ প্রচুর বৃদ্ধি পাওয়া।
এ সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা চলছে। এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।তবে বিষয়টি ফাইনাল হলে সরকারিভাবে চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।
See less