Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
সেশনজট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু এবং আমি:
শুরুতেই সেশনজট নিয়ে কিছু কথা বলা জরুরী। আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী। যদ্দুর আমি জানি আমি ২০১৮-১৯ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি এবং ২০২২-২৩ সেশনে আমার স্নাতক শেষ হবার কথা। কিন্তু সেটা যদি উক্ত সময়ে না হয় তবে ধরে নিতে পারি আমি সেশনজটে পড়েছি। যা নির্দ্বিধায় একটি অপ্রত্যাশিত এবং দু:খজনক ঘটনাRead more
শুরুতেই সেশনজট নিয়ে কিছু কথা বলা জরুরী। আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী। যদ্দুর আমি জানি আমি ২০১৮-১৯ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি এবং ২০২২-২৩ সেশনে আমার স্নাতক শেষ হবার কথা। কিন্তু সেটা যদি উক্ত সময়ে না হয় তবে ধরে নিতে পারি আমি সেশনজটে পড়েছি। যা নির্দ্বিধায় একটি অপ্রত্যাশিত এবং দু:খজনক ঘটনা হবে আমার জন্য।
এবার আসি করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলা হলে কি কি হতে পারে সে বিষয়ে। ফ্রান্সে স্কুল পুনরায় চালুর একদিনের মাথায় ৭০ জন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত। আমি ফ্রান্সের কথা বলছি যারা আমাদের থেকে অনেক কম ঘনবসতিপূর্ণ এবং যথেষ্ট উন্নত রাষ্ট্র। আর আমরা? আমরা করোনাভাইরাসের আকার ছোট হওয়ায় তাকে ভয় পাওয়া যাবেনা মানা জাতি। এখন বলবেন এই কথা তো শুধু এক-দুইজন বলেছে তাই বলে পুরো জাতিকে এমন বলা কি যুক্তিযুক্ত কিনা! আমি বলবো ‘হ্যা অবশ্যই আমি যুক্তিতে আছি।’ ঈদের দুইদিন আগে মানুষের বাড়ি ফেরার ঢল এবং রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় দেখেই আমরা বুঝি যে করোনাকে এদেশের মানুষ তেমন পাত্তা দেয় না।
প্রতিদিন ৩০/৪০ জন মারা যাচ্ছে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে। আমি এই সংখ্যায় বিশ্বাস করিনা। এই অবিশ্বাস করার কারণ হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষের অসচেতনতা, যে নিজে থেকে যাবে টেস্ট করতে। এখানে প্রশাসনেরও গাফলতি কম নয়।
এই মুহুর্তে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়, প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস/পরীক্ষা সব শুরু করে দিবে ফলে ছাত্রদেরকে জোর করে হলেও ক্লাসে আসতে হবে, হলে উঠতে হবে, গণরুমে এসে মশার কামড় খেয়ে ডেঙ্গু বাঁধাতে হবে এবং সব শেষে করোনার কথা আপনাদের উপরই ছেড়ে দিলাম। মরণ-মৃত্যু আল্লাহর হাতে, তবে প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে নিজেকে যতক্ষণ পারা যায় বাঁচানোর, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার।
গণপরিবহনও কিছু পরিমাণে শুনলাম ছাড়া হবে। হতেই পারে। তো কিভাবে স্বাস্থ্যবিধির সেই নির্দেশনা গনপরিবহন শ্রমিক এবং যাত্রীদের কিভাবে মানাবেন তা ভেবেছেন?
এতোকিছু বলার পেছনে কারণ হচ্ছে আমি ঘরে বসে থাকতে রাজি আছি। সেশনজটেও পড়তে রাজি আছি। এতো সহজে মরতেও রাজি, কিন্তু আমার কাছের মানুষদের মারতে আমি রাজি নই। আর সেশনজটের কথা বলি, সেশনজট শুধু আমার-আপনার হচ্ছেনা। পুরো পৃথিবীই তো সেশনজটে আছে। ধরে নেই বছরটা আমাদের ক্যালেন্ডার থেকে বাতিল হয়ে গিয়েছে। এটা তো শুধু কোয়ারেন্টাইন/লকডাউন/প্যান্ডেমিক এসব কঠিন কঠিন শব্দ দিয়ে বুঝালে বুঝবেন না। আমরা ৩য় বিশ্বযুদ্ধে আছি। মানবসভ্যতা বনাম প্রকৃতির সেই পুরাতন যুদ্ধে।
-ফাতিন হাসনাত রহমান
See less২য় বর্ষ,
জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
যদি স্যাটেলাইট সমুহ পৃথিবীতে ঝরে পড়ে
যদি স্যাটেলাইট সমূহ পৃথিবীতে ঝরে পড়ে স্যাটেলাইট আমাদের ইন্টারনেট এবং টেলিভিশনের যোগাযোগ সরবরাহ করে থাকে। হাজার হাজার উপগ্রহ এবং তার ধ্বংসাবশেষ টুকরোগুলো বর্তমান আমাদের পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করেছে। কি হবে সব উপগ্রহগুলো অফলাইন হয়ে গেলে এবং তারা পৃথিবীতে চলে আসে এবং তার ধ্বংসাবশেষ ছিন্ন ছিন্ন হয়েRead more
যদি স্যাটেলাইট সমূহ পৃথিবীতে ঝরে পড়ে
স্যাটেলাইট আমাদের ইন্টারনেট এবং টেলিভিশনের যোগাযোগ সরবরাহ করে থাকে। হাজার হাজার উপগ্রহ এবং তার ধ্বংসাবশেষ টুকরোগুলো বর্তমান আমাদের পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করেছে। কি হবে সব উপগ্রহগুলো অফলাইন হয়ে গেলে এবং তারা পৃথিবীতে চলে আসে এবং তার ধ্বংসাবশেষ ছিন্ন ছিন্ন হয়ে পৃথিবীতে ছড়িয়ে যায়।
পৃথিবীতে বিধ্বস্ত উপগ্রহগুলো কী করবে? কয়টি উপগ্রহ নেমে আসবে? এবং এটি কত দিন ধরে স্থায়ী হতে পারে?
বর্তমানে কক্ষপথে ৫০০০ টিরও বেশি উপগ্রহ রয়েছে। এই সংখ্যাটি কমপক্ষে ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। স্পেসএক্স তার স্টারলিঙ্ক প্রোগ্রামের মাধ্যমে ২০২৬ সালের প্রায় ১২ হাজার স্যাটেলাইট প্রতিস্থাপন করার প্ল্যান করেছে। সুতরাং এই শতকের শেষের দিকে মহাকাশে প্রায় ২০০০০ উপগ্রহ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুতরাং এতসব উপগ্রহ যদি পৃথিবীতে এসে পড়ে।
প্রথমত আমাদের বুঝতে হবে সেটেলাইট এবং তার ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে বসে পড়া নতুন কিছু নয়। প্রতি বছর ১০০ টিরও বেশি ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর দিকে চলে আসে। আপনি নোটিস করতে পারেন নাই কারণ এটি মাটিতে আকাশ আসার আগেই জলে পুরে ছাই হয়ে যায় । তবে ২০,০০০ উপগ্রহ পৃথিবীর দিকে চলে আসে তবে আপনি অবশ্যই তা লক্ষ্য করবেন।
আপনি কোনও ফুটবল মাঠের আকারের স্পেসশিপগুলি পৃথিবীতে নামা দেখার জন্য অস্তির হবেন না। বরং, আপনি অবিলম্বে লক্ষ্য করবেন যে আপনি কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নি। ফোন লাইন ডাউন হবে। আপনি টিভি দেখতে সক্ষম হবেন না, যেহেতু ইন্টারনেট পাশাপাশি কাজ বন্ধ করে দেবে।
কিন্তু আমাদের উপগ্রহের পৃথিবীতে পড়ার সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাবগুলির মধ্যে একটি হ’ল জিপিএস সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাওয়া। আকাশে বিমানগুলি কোন বায়ু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই চলাচল করতে সক্ষম হবে না। একসময় আকাশে ১২০০০ টি পর্যন্ত প্লেন চলছিল , এটি তাদের একে অপরের সাথে ক্রাশে হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করবে।
বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিগুলি বন্ধ হয়ে যায়, এবং মানুষকে বিশ্বের অন্যান্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। ক্রেডিট কার্ড এবং অন্য কোনও বৈদ্যুতিন অর্থপ্রদান অকেজো হবে। এবং এটিএম বা ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলার আশা করবেন না, কারণ এটি কোনভাবেই কাজ করবে না ।
এটি ১৮০০ এর দশকে সময় মতো হবে। তত্ত্ব অনুসারে, আমরা অবশেষে স্যাটেলাইট ব্যবহার না করে সমস্ত জিনিস প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হব।
তবে মনে করুন সেই সমস্ত স্যাটেলাইট এখনও পৃথিবীর দিকে চযে আসলে কি হবে?
যদি উপগ্রহগুলি পৃথিবীতে পড়ে তবে তা তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটবে না। এটি কারণ স্যাটেলাইটের গতি এবং মহাকাশে অবস্থানগুলি তাদের ক্রাশ হতে আরও বেশি সময় নিতে পারে। উপগ্রহ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরে ১০০০ কিলোমিটার (৬২১মাইল) উপরে থাকে এবিং এটি মাটিতে পড়ার আগে ১০০ বছর সময় নিতে পারে।
সুতরাং পৃথিবীতে পতিত এই সমস্ত উপগ্রহগুলি একটি দীর্ঘ, টানা লম্বা প্রক্রিয়া হবে। তাদের অনেকগুলি আমাদের বায়ুমণ্ডলে জ্বলে উঠবে। তবে এর অর্থ এই নয় যে আমরা সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকব।
তবে যদি ২০,০০০ উপগ্রহ পৃথিবীতে পড়ে তবে তারা যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারে। তাদের অনেকগুলি মহাসাগরে ডুববে, যেহেতু তারা আমাদের পৃথিবীর ৭১ ভাগ গ্রহণ করে। তবে এই স্যাটেলাইটগুলির প্রচুর পরিমাণ স্থলভাগে শেষ হবে।
এই উপগ্রহগুলি পুরো ভবন এবং শহরগুলিকে ধ্বংস করতে পারে, যেহেতু তারা ২৮,০০০ কিমি / ঘন্টা (১৪০০ মাইল প্রতি ঘন্টা) গতিবেগে ভ্রমণ করবে, এমনকি যদি উপগ্রহের ছোট ছোট অংশগুলি মাটিতে আঘাত করতে সক্ষম হয় তবে তাদের শকওয়েভগুলি যথেষ্ট ক্ষতি করতে পারে। পৃথিবীতে আঘাতকারী এই সমস্ত উপগ্রহের গতিশক্তি পরমাণু বোমা ফেলে দেওয়ার মতো হবে।
যদি স্যাটেলাইট সমুহ পৃথিবীতে ঝরে পড়ে
বদলে যাওয়া প্রেমিকা শিমুর শেষ পরিনতি কি ছিল ? পর্ব – ৩
একদিন সেই গানের ওস্তাদ রাজুকে মোটরসাইকেলে করে দূরে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গেল এবং সে রাজুকে অনেক শাসালো এবং হুমকি টুমকি ও দিল।আর শিমুর জীবন থেকে চলে যেতে বলল। গানের ওস্তাদ তখনকার সময় কিছুটা প্রতাপশালী ছিল কারণ সে টুকটাক রাজনীতি করতো। - রাজুর মনের অবস্থা খুবই খারাপ।শিমু আর তার সাথে আগের মত কথা বRead more
একদিন সেই গানের ওস্তাদ রাজুকে মোটরসাইকেলে করে দূরে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গেল এবং সে রাজুকে অনেক শাসালো এবং হুমকি টুমকি ও দিল।আর শিমুর জীবন থেকে চলে যেতে বলল। গানের ওস্তাদ তখনকার সময় কিছুটা প্রতাপশালী ছিল কারণ সে টুকটাক রাজনীতি করতো।
– রাজুর মনের অবস্থা খুবই খারাপ।শিমু আর তার সাথে আগের মত কথা বলে না, তার সাথে দেখা ও হয় না।তাকে সব সময় ই ইগনোর করে।শিমুর এমন উদাসীন এবং অবহেলা দেখে রাজুর মনের অবস্থা বেজায় খারাপ, প্রায় পাগল পাগল হয়ে যাওয়া অবস্থা। কেননা রাজু শিমুকে তার জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতো।তাদের প্রায় সাত থেকে আট বছরের প্রেম।
– কিছুদিন পর শিমু রাজুর সাথে দেখা করল, এবং সে রাজুকে বলল যেন তাকে ভুলে যায়।সে অন্যায় করেছে, পারলে তাকে মাফ করে দিতে। সেটা শোনা মাত্র রাজুর মনের অবস্থা
এমন হলো যে তার মাথায় যেন মাত্র বাজ পড়লো। রাজু সেটা শুনে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো,যেন সে ছেড়ে চলে না যায়।রাজু কোন ভাবেই যেন কিছু মেনে নিতে পারছে না।শিমু বলল যে সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার পেটে গানের উস্তাদের বাচ্চা। এই অবস্থা থেকে ফেরা তার পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
রাজু শিমুকে বলল যে সে যদি দুইটা বাচ্চা নিয়ে ও তার কাছে ফিরে আসে, সে তাকে গ্রহণ করবে। কিন্তু শিমু কোন কথাই শুনলো না সে সেখান থেকে চলে গেল তখন।
– সেই থেকে ২-৩ দিনের মাথায় শিমু সেই গানের উস্তাদের সাথে পালিয়ে গেল। এবং সেই গানের ওস্তাদ এবং শিমু শেষে বিয়ে করল।শিমুর পরিবারের কেউই শিমুর ও গানের উস্তাদের সাথে বিয়ে মেনে নিতে পারলো না।
শিমুর পরিবারের সবাই খুবই কষ্ট পেল।শিমু কে নিয়ে তার বাবার অনেক আশা স্বপ্ন ছিল যা কিনা শিমু সব নিমিষেই শেষ করে দিল। রাজু এতোটাই কষ্ট পেলো যে, সে কোনদিনও কল্পনাও করতে পারেনি যে, সে জীবনে এত কষ্ট পাবে।
– রাজুন ইন্টার পরীক্ষা শেষ। সে আর আগের মত রইল না।সিগারেট ধরল, রাজনীতির সাথে যুক্ত হলো,মিসিল মিটিং সব কিছুর আগে সে।কোন কিছুই ভয় পায় না।রাজনীতিতে ভালোই একটা পজিশন করে তুলল।
তাকে এখন উপজেলার সবাই চিনে।এমনকি গানের ওস্তাদ যে রাজনীতির ক্ষমতা দেখিয়ে রাজুকে ট্রেড দিয়েছিল রাজু এখন সেই রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে। রাজু এখন ইচ্ছে করলে সেই বদলা হিসেবে অনেক কিছুই করতে পারে কিন্তু রাজু সেটি করল না।
– রাজুর নতুন করে শুরু , ইন্টার পরীক্ষা পাস করার পর বিভাগীয় শহরে একটি কলেজে অনার্সে ভর্তি হল গণিত নিয়ে। সাথে রাজুর লেখালেখি কবিতা গল্প ছোটগল্প ছড়া ইত্যাদি লিখেই চলছে। এরইমধ্যে তার জীবনে ক্ষত দূর করতে এলো বর্ণা যে কিনা তাকে পাগলের মত ভালবাসতে শুরু করল।
রাজু বর্ণাকে পেয়ে শিমুর দুঃখ কিছুটা আস্তে আস্তে ভুলতে লাগল।কিছুদিন পর বর্নার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি হয়ে গেল।রাজু এবং বর্না মোটামুটি তাদের জীবন সুন্দর ভাবেই পার করতে লাগলো। অন্যদিকে রাজু অনার্স কমপ্লিট করে মাস্টার্স কমপ্লিট।তারপর দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হলো।
বিয়ের কিছুদিন পর রাজুরও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের চাকরিটা হয়ে গেল । সবকিছু মিলিয়ে রাজু অনেকটাই সুখী এখন ।
– শিমু এখন আর আগের মত নেই, অভাবী সংসার কোনরকম দিন আনে দিন খায়।স্বামী এখন একটা কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করে। চেহারা চাকচিক্য যেনো মলিন হয়ে গেছে।ছোট তিন মেয়ে তার।
পাশাপাশি গ্রাম হওয়ায় হঠাৎ রাজুর সাথে দেখা হয়। একবার রাজুর সাথে দেখা হওয়ার পর রাজু শিমুর মেয়েকে কোলেও নিয়েছিল।পকেট থেকে চকচকে দুটি ৫০০ টাকার নোট তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল।মনে মনে ভাবছিল যে, বাচ্চাগুলো হয়তো তারই হতে পারত।
– বিয়ের প্রায় বছর খানেক পরে রাজুর ঘর আলো করে আসল তার ছেলে,কাব্য। এখন কাব্যকে ঘিরেই রাজুর অনেক স্বপ্ন।লেখালেখির অভ্যাসটা রাজুর এখনো রয়ে গেছে কিন্তু সেটা আর এখন অভ্যাস না এটা একটা নেশায় পরিণত হয়েছে।সে এখন একজন নামকরা কবি। প্রতি একুশে মেলায় তার গল্প ছড়া ইত্যাদি বই প্রকাশিত হয়।রাজু এখন সবার প্রিয় মুখ,তাকে সবাই চেনে কবি বলে।
<< এতকিছুর পরও রাজু ভেঙ্গে পড়েনি, ঘুরে দাঁড়িয়েছে, আবার সফলও হয়েছে >>
See lessবদলে যাওয়া প্রেমিকা শিমুর শেষ পরিনতি কি ছিল? পর্ব -২
বদলে যাওয়া প্রেমিকা, শিমু। পর্ব- ২ - কিশোর-কিশোরী, মাত্র হাইস্কুলে উঠেছে তারা।এরই মাঝে তাদের মধ্যে এমন প্রেম। বিষয়টা অনেকটাই অবাক করা হলেও তাদের ভালোবাসাটা ছিল সত্যি। রাজু যখন শিমুর বাবার কাছে পড়তে যেত তখন শিমুর সাথে রাজুর দেখা হতো।শিমু প্রায় সময় রাজুকে তার বাসায় নাস্তা, চা এসব খাওয়াতো। শিRead more
বদলে যাওয়া প্রেমিকা, শিমু। পর্ব- ২
– কিশোর-কিশোরী, মাত্র হাইস্কুলে উঠেছে তারা।এরই মাঝে তাদের মধ্যে এমন প্রেম। বিষয়টা অনেকটাই অবাক করা হলেও তাদের ভালোবাসাটা ছিল সত্যি। রাজু যখন শিমুর বাবার কাছে পড়তে যেত তখন শিমুর সাথে রাজুর দেখা হতো।শিমু প্রায় সময় রাজুকে তার বাসায় নাস্তা, চা এসব খাওয়াতো।
শিমুর বাবা ও রাজুকে অনেক পছন্দ করতেন কারণ রাজু ছিল পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী।গ্রামে বিভিন্ন মেলা বা বিভিন্ন পূজা বা অনুষ্ঠানে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেত।এভাবে তাদের দিন ভালই যেতে লাগলো।
তারা একজন আরেকজনকে এতোটাই ভালবাসতো যে, তারা একজন আরেকজনকে না দেখলে তাদের অবস্তা খারাপ হয়ে যেত। এভাবে এভাবে রাজু সপ্তম থেকে অষ্টম, অষ্টম থেকে নবম, নবম থেকে দশম শ্রেণীতে।
এরইমধ্যে শিমুর সব বান্ধবী এবং রাজুর প্রায় বন্ধুরাই তাদের প্রেমের কথা জানত এমনকি এলাকার অনেকেই সে সময় তাঁদের প্রেমের কথা জানত।
– এভাবেই কিছুদিন পর রাজুর এস এস সি পরীক্ষা শেষ।এসএসসি পরীক্ষা শেষ মানে রাজু আর শিমুর বাবার কাছে পড়তে প্রাইভেট পড়তে যাবে না। অন্যদিকে রাজু স্কুলেও যাবে না।
তাই শিমুর সাথে রাজুর দেখা করাটা এখন আর আগের মত এত সোজা না অনেকটাই কষ্টসাধ্য। শিমু স্কুলে যাওয়ার সময় রাজু রাস্তায়ই দেখা করতে হয় এখন।এভাবে তাদের দিন যেতে লাগল।
এরই মধ্যে তাদের প্রেমের বয়স অনেক বছর। রাজুও কলেজে ভর্তি হল, অন্যদিকে শিমু এসএসসি পরীক্ষা দিবে। এক বছর পর সেও সেই কলেজে ভর্তি হবে।
– শিমুর ও এসএসসি পরীক্ষা শেষ।এসএসসি পরীক্ষার পর প্রায় তিন মাস রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।এমন অবস্থায় শিমুরও স্কুলে যেতে হয় না। আর তারা যখন প্রেম করত তখনকার সময় মোবাইল এতটা সর্বোপরি ছিল না যে যোগাযোগ করবে বা কথা বলবে।
তখন তাদের মধ্যে অনেকটাই দেখা হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।দুজন, একেকজনকে না দেখলে পাগলের মতো অবস্থা হত আজ অনেকদিন হলো তাদের দেখা নেই।এভাবে অনেক দিন পর পর তাদের দেখা বা কথা হতো।
কিছুদিন পর শিমুরও এসএসসি পরীক্ষায় রেজাল্ট বের হল এবং সে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তি হলো।
রাজু যে কলেজে পড়ে শিমুও সেই কলেজে ভর্তি হল।শিমু প্রথম বর্ষে এবং রাজু দ্বিতীয় বর্ষে। তাদের প্রথম বর্ষ মোটামুটি ভালই গেল এবং তাদেরও আবার প্রায় সময় দেখা হতো।বেশিরভাগ সময় তারা কলেজে দেখা করতো।
– শিমু ছোটবেলা থেকেই গান খুব পছন্দ করত।শিমু যখন কলেজে পড়তো তখন তার এক গানের ওস্তাদ ছিলেন। তাকে সে দাদা বলেই ডাকত। তার কাছে সে গান শিখত।
শিমুর বাবার পরিচিত ছিল সে, শিমুর থেকে প্রায় ৭ -৮ বছরের সিনিয়র।অনেকদিন হলো শিমুকে সেই গানের ওস্তাদ গান শেখায়।হঠাৎ একদিন সেই গানের ওস্তাদ শিমুকে প্রপোজ করে কিন্তু শিমু তার সেই গানের ওস্তাদ কে রাজুর কথা বলে।শিমু ব্যাপারটি রাজুর সাথে শেয়ার করে।
কিন্তু সে মুহূর্তের সেই ব্যাপারটি কোনোভাবেই তার পরিবারে বলল না।গানের ওস্তাদ শিমুকে বিভিন্ন জায়গায় গানের প্রোগ্রামের নিয়ে যেত। শিমুর পরিবার অনেকটাই বিশ্বাস করত সেই গানের ওস্তাদ কে তাই শিমুকে বিভিন্ন জায়গায় গানের প্রোগ্রাম এ যাওয়ার অনুমতি দিত।
এমন টাইমে মনটাই বিশ্বস্ত ছিল যে, বিভিন্ন দূর-দূরান্তে যেখানে গিয়ে দু তিন দিন থাকতে হয় সেখানেও শিমুকে নিয়ে যেত এই গানের ওস্তাদ। অন্যদিকে শিমু এবং রাজুর প্রেমের কথা শিমুর পরিবারের মানুষজন কিছু কিছু জানতেন, এবং তারা মনে মনে চাইতে নো শিমুর সাথে রাজু কিছু একটা হোক।তারা রাজুর কাছে তাদের মেয়ে কে বিয়ে দিবেন বলে মনে মনে ঠিক ও করেছিলেন।
– এর মধ্যে শিমু হঠাৎ করে কলেজে যাওয়া আস্তে আস্তে বন্ধ করে দিল।সে রাজুকে এভয়েড করা শুরু করল।রাজু বিষয়টা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না।
See lessঅপুর বিদেশিনী বউ
ইউক্রেনের উওরে ছোট শহর নিজিন, মধ্যবিও পরিবারে বেড়ে উঠা এলিজাবেথ থামাসকার। স্থানীয় কিছু পরিবারের মতোই তাদের জীবনে ও ছিল সুখ,দুংখ,হাসি ,কান্না। বাবা আলাদা হয়ে যাওয়ার পর মায়ের কাছেই বড় হয়ে উঠতে থাকে এলিজাবেথ। ছোট দোকানের উপার্জনের মাধ্যমে শেষ করে গ্রাজুয়েশন, তারপর নিজের হাতে তুলে নেয় মায়ের ব্যাবসা। সংRead more
ইউক্রেনের উওরে ছোট শহর নিজিন, মধ্যবিও পরিবারে বেড়ে উঠা এলিজাবেথ থামাসকার। স্থানীয় কিছু পরিবারের মতোই তাদের জীবনে ও ছিল সুখ,দুংখ,হাসি ,কান্না। বাবা আলাদা হয়ে যাওয়ার পর মায়ের কাছেই বড় হয়ে উঠতে থাকে এলিজাবেথ।
ছোট দোকানের উপার্জনের মাধ্যমে শেষ করে গ্রাজুয়েশন, তারপর নিজের হাতে তুলে নেয় মায়ের ব্যাবসা। সংগ্রামের মধ্যে বেড়ে উঠা ছেলে মেয়েরা যেমন বাস্তবতায় বেড়ে উঠে, এলিজাবেথ তার ব্যতিক্রম ছিল না। তখন তার বয়স ২০ বা ২১, ইউক্রেনের রাজনৈতিক পালাবদল শুরু হলে তার মা জীবনের তাগিদে পাড়ি জমান পোল্যান্ড।
তাগিদ এলো এলিজাবেথ এর জীবন একাই চালাতে হবে। মে মাসের কোন এক সকালে জার্মানির জেলাসন শহরে একমাত্র বাঙালি উদ্দোক্তা তাজুলের খামারে স্ট্রবেরি খেত থেকে স্ট্রবেরি তোলা হচ্ছে। কাজ করছে কিছু তরুণী যারা ইউক্রেন থেকে আসা, তাদের মধ্যে এলিজাবেথ ও আছে।
সেখানে কিছু বাঙালি তরুণ ও আছে, যারা জীবনের তাগিদে পাড়ি জমিয়েছে ইউরোপে।কাজের সুবাদে কথা বলতে গিয়ে টুকটাক বাংলাও শিখে ফেলে সে।
তাজুলের খামারে যে বাঙালি তরুণ কাজ করছে তাদের জীবন বরই কঠিন। দুঃসহ সংগ্রামের পথ পেরিয়ে জার্মান পৌঁছনো তরুণরাই কাজ করে তার খামারে ।এদের মধ্যে একজন অপু,স্বভাবে,চিন্তায়, কাজে ব্যতিক্রমী একজন তরুণ।এলিজাবেথ ও অপু এক সাথে কাজ করার সুবাদে ভালো লেগে যায় দুজন দুজনের।
দুজনের স্বপ্ন জার্মানিতে শুরু করবে নতুন জীবন।কিন্তু এই সুখটা হয়তো তাদের ভাগ্যে ছিলনা,তাইতো একটা কালো মেঘ এসে হানা দেয় তাদের স্বপ্নে।এখান থেকে তাদের জীবনে যে গল্পের শুরু তা সিনেমার গল্পকে ও হার মানাবে।
হঠাৎ করে অপু অসুস্থ হতে থাকে। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় অপুকে, ধরা পরলো অপুর ব্রেন টিউমার।ডাক্তার জানিয়ে দিলো অল্প কিছুদিন পৃথিবীতে বেচে থাকবে সে, বিষয়টি জেনে যায় এলিজাবেথ। নিমিষেই বদলে গেল তাদের সব ভাবনা।
এলিজাবেথ নিজেকে সামলে নিয়ে বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিলো,একদম ভেঙে পড়লো না সে। অপুকে ভালোবেসে নিজের নামকে বদলে লিজা হয়ে যাওয়া মেয়েটির এখন চিন্তায়, ভাবনায় অপুর সেবা করা। যে মানুষ আর কয়েকটি দিন বেচেঁ থাকবে এই পৃথিবীতে সেটা জেনে ও লিজা অপুকে বিয়ে করার কথা বললো অপুকে।
লিজার জোরাজুরিতে তাজুল ইসলামী শরীয়াহ মেনে বিয়ে করিয়ে দেয়া হয় ছোট একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। জার্মানির শহরে একটি ভাড়া বাসায় নতুন জীবনের সূচনা করে লিজা, নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে কিছুটা ভালো রাখার। অপুকে একটু ভালো রাখার জন্য লিজা তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় তারা। এর মাঝে বাংলাদেশেও আসা হয় তাদের, বিদেশি একটা মেয়ে বাংলার মাটিতে এসে নিজেকে তৈরি করে বাঙালি হিসেবে।
মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া অপু হয়ে উঠে প্রবল ধার্মিক, অপুর ইসলামের প্রতি ভালোবাসা দেখে ইসলামের সান্নিধ্যে চলে আসতে থাকে লিজা। শিখতে শুরু করে বাংলার সাথে সাথে কোরআন তেলাওয়াত ও নামাজ পড়া।লিজার সেবার জন্যে ডাক্তার এর বেধে দেয়া সময়ের চেয়ে কিছুদিন বেশি বেচেঁ থাকে অপু।তারপরও ছেড়ে যেতে হয় পৃথিবীর মায়া ছেড়ে।
অপুর মৃত্যুর পর লিজা চাইলে বেচেঁ নিতে পারতো ইউরোপের রঙিন জীবন,কিন্তু সেটা না করে সে চলে আসে বাংলাদেশে।অপুর পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাঙালি বউদের মতো চলতে থাকে সে,আরো বেশি করে আকড়ে ধরে অপুর দেশ,ভাষা,ধর্ম,সংস্কৃতিকে।
ইসলাম হয়ে উঠে লিজার জীবনের এক অসাধারণ বিধান।অপুর প্রিয় গ্রামের আকা বাকা মেঠো পথটি ও লিজার প্রিয় হয়ে উঠে।অপুর মায়ের কাছে লিজা যেন তার কলিজার ছেলে অপু,লিজার ভেতরে খুজে পান অপুকে।
গ্রামের মানুষ লিজাকে যতোই দেখে ততোই যেন বিস্মিত হয়ে উঠেন লিজার বাঙালি চালচলনে।একজন বিদেশিনী হয়েও বাঙালি ছেলেকে ভালোবেসে বাঙালির সংস্কৃতিতে নিজেকে আকড়ে ধরে বেচে থাকা লিজা যেন ভালোবাসার জলন্ত এক উদাহরণ।বাড়ির আঙিনায় শুয়ে আছে অপু, তারই স্বৃতি নিয়ে বাকী জীবন কাটিয়ে দেওয়াই এখন লিজার একমাত্র উদ্দেশ্য। এমন ভালোবাসা সত্যিই বিরল।
See lessবদলে যাওয়া প্রেমিকা শিমুর শেষ পরিনতি কি ছিল? পর্ব -১
বদলে যাওয়া প্রেমিকা-শিমু - রাজু, দেশের শেষ প্রান্তের একটি গ্রামের স্বনামধন্য পরিবারের ছেলে রাজু। ফ্যামিলির অবস্থা মোটামুটি অনেকটাই ভালো। মা প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা এবং বাবা ব্যবসায়ী। ১ ভাই ১ বোন এর মধ্যে রাজু ছিল বড়।পড়াশোনায় খুবই মেধাবী ছিল সে।দেখতে-শুনতে চেহারাও ছিল ছোটবেলা থেকেই সুদর্Read more
বদলে যাওয়া প্রেমিকা-শিমু
– রাজু, দেশের শেষ প্রান্তের একটি গ্রামের স্বনামধন্য পরিবারের ছেলে রাজু। ফ্যামিলির অবস্থা মোটামুটি অনেকটাই ভালো। মা প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা এবং বাবা ব্যবসায়ী। ১ ভাই ১ বোন এর মধ্যে রাজু ছিল বড়।পড়াশোনায় খুবই মেধাবী ছিল সে।দেখতে-শুনতে চেহারাও ছিল ছোটবেলা থেকেই সুদর্শন।
– শিমু, একই গ্রামের আরও একটি স্বনামধন্য পরিবারের মেয়ে ছিল সে।মা বাবার একমাত্র মেয়ে সে।তার বাবা ছিলেন একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক।মা ছিলেন গৃহিণী। শিমু রাজুর এক ক্লাস নিচে পড়তো। সে ও মেধাবী ছিল কিন্তু রাজুর মত এত মেধাবী ছিল না।
– রাজু ও শিমু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই স্কুলে পড়তো রাজু পড়তো পঞ্চম শ্রেণীতে এবং শিমু পড়তো চতুর্থ শ্রেণীতে।রাজু এবং শিমুর প্রথম পরিচয় স্কুলেই,শিমু রাজুর কাছ থেকে তার বিভিন্ন বই নোট এগুলো নিত।
রাজু যখন পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠে তখন শিমু চতুর্থ শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে উঠেছিল আর তাই রাজুর পঞ্চম শ্রেণীর বই এবং নোট গুলো সংগ্রহ করেছিল।এভাবে তারা প্রথম প্রথম অনেকটাই বন্ধুর মত ছিল কিন্তু মনে মনে তাদের ভিতর একটু একটু ভাল লাগাও কাজ করত তখনো।রাজু ষষ্ঠ শ্রেণীতে ওঠার পর যে হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছিল ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন শিমুর বাবা।
শিমুর বাবা আবার উনার বাড়িতে প্রাইভেটও পড়াতেন।উনি খুব ভালো গণিত পড়াতেন। তাই ওনার বাসায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী গণিতের জন্য যেত। রাজু যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে যখন উঠলো তখন সে গণিতের জন্য শিমুর বাবার কাছে প্রাইভেট পড়তে যেত। তখন রাজুর সাথে শিমুর একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়ে যায়।পরের বছর যখন শিমু পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠে তখন রাজুর সাথে একই স্কুলে ভর্তি হয় সে।
রাজু যখন শিমুর বাবার কাছে গণিত পড়তে যেত তখন শিমুও তার বাবার কাছে অন্য সব ষষ্ঠ শ্রেণির ছেলেমেয়েদের সাথে গণিত পড়ত।রাজু তখন ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণীতে সবে মাত্র উঠেছে। তখন থেকেই রাজুর শিমুকে প্রচন্ড ভালো লাগতে শুরু করে। রাজু প্রায় সময় শিমুর দিকে তাকিয়ে থাকতো।
তখনকার সময়ে কোন ছেলে কোন মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকা মানে ওই মেয়ের প্রেমে পড়া এটা বোঝানো।রাজু যখন স্কুলে যেত তখন সে ক্লাসে গিয়ে শিমুদের ক্লাসে যেত এবং তাকে দেখার জন্য তার ক্লাসের আশে পাশে ঘুরত।শিমুও সেটা লক্ষ্য করতো প্রায় সময়।এরই মধ্যে রাজুর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা সেই বিষয়টা জেনে ফেলল।
– কিছুদিন পর রাজু ভাবল যে সে তার প্রেমের কথা সে শিমুকে বলবে। কিন্তু কিভাবে বলবে সে তা ভেবে পাচ্ছিল না।রাজু তার মনের কথা একটি কাগজের মধ্যে লিখল।এবং সে এই প্রেমের চিঠি শিমুকে কিভাবে দিবে তা ভেবে পাচ্ছিল না।
অবশেষে মাথায় বুদ্ধি এল,শিমুর কাছ থেকে সে একটি বই ধার আনল। পরবর্তীতে ওই বই ফেরত দেওয়ার সময় সে ওই বইয়ের মধ্যে সে চিঠি টা ডুকিয়া দিল।কিন্তু তার পরও সে শিমুকে কিছুই বলল না।চিঠি দেওয়ার পর থেকে রাজুর মনে শান্তি ছিল না। সব সময় একটা ভয় কাজ করছিল যে শিমু যদি রাজি না হয়, আর যদি সে তার বাবাকে সবকিছু বলে ফেলে তাহলে রাজুর মান-সম্মান সবই যাবে। রাজুর মনে সেই ভয় প্রতিটা সময়ই করতে থাকল।
সে দু-তিনদিন শিমুর সামনে যাচ্ছে না। কি হতে পারে, কি হতে পারে, তা ভাবতে ভাবতে রাজুর যেমন নাওয়া খাওয়া ঘুম সব বাদ। রাজু শিমুর জন্য কবিতা লেখত প্রায় সময়।আগে থেকেই রাজু মাঝে মাঝে কবিতা লিখত। এই কবিতা লেখাটা ছিল তার সবচেয়ে বড় গুণ।
– প্রায় ৪ – ৫দিন পর,স্কুলে যাওয়ার পথে শিমুর সাথে হঠাৎ রাজুর দেখা।শিমু রাজুকে দেখে হাসছে, অন্যদিকে রাজু লজ্জায় মরে যাচ্ছে।শিমুও তখন তার হাত থেকে একটি ভাঁজ করা কাগজ রাজুর হাতে দিল। এবং বললো যে বাড়িতে নিয়ে পড়তে।
এই বলে শিমু সেখান থেকে দৌড়ে চলে গেল।রাজু কিছুদুর হেটে ভাঁজ করা কাগজটা খুলে দেখল, সেখানে লেখা আছে আমিও তোমাকে ভালোবাসি। রাজু সেটা দেখে এতটাই খুশি হলো যে তার মনে হলো জীবনের সবচেয়ে সুখের মূহুর্ত হচ্ছে তার সেটি।এভাবেই রাজু ও শিমুর প্রেমের জীবন শুরু………….!
See lessভূত গল্প -৫
এই ঘটনাটি আমার বন্ধুর বড় ভাইয়ের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা । আমি এই ঘটনাটি অনলাইন ম্যাগাজিন আজব গুজব.কম ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি । ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আমার বন্ধুর বড় ভাইয়ের নাম নয়ন (ছদ্মনাম) তিনি নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ইন্ডিয়া যান। এবং সেRead more
এই ঘটনাটি আমার বন্ধুর বড় ভাইয়ের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা ।
আমি এই ঘটনাটি অনলাইন ম্যাগাজিন আজব গুজব.কম ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি । ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আমার বন্ধুর বড় ভাইয়ের নাম নয়ন (ছদ্মনাম) তিনি নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ইন্ডিয়া যান। এবং সেখানে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন। তিনি পড়াশুনায় খুব ভালো ছিলেন। বলতে গেলে পড়া পাগল মানুষ, সারাক্ষণ পড়া নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
তখন সেখানে তিনি কি করছেন না করছেন সব কথা আমার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতেন। তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে ভীষণ মিল ছিল। বয়সে বড় হলেও নয়ন ভাই তার ছোট ভাইয়ের সাথে বন্ধুর মতো আচরন করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়েত খন উনার সাথে অনেকের পরিচয় হয়।
ছেলে বন্ধুর পাশাপাশি কয়েকজন মেয়ে বান্ধবির সাথে বন্ধুত্ব হয়। তার মধ্যে একটি মেয়ে ছিল খুবই সুন্দর। সেই মেয়েটা হিন্দু ধর্মের ছিল এবং মর্ডান টাইপের মেয়ে। সে মনে মনে নয়ন ভাইকে পছন্দ করতো।একদিন সেই মেয়ে তার ভালোবাসার কথা প্রকাশ করে নয়ন ভাইয়ের সামনে। নয়ন ভাই ও অনেক ফর্সা এবং হ্যান্ডসাম ছিলেন।
কিন্তুু নয়ন ভাই ওই মেয়েকে শুধু বান্ধবি হিসাবে দেখতেন। তিনি কোন ভাবেই মেয়েটাকে ভালোবাসার মানুষ হিসাবে মেনে নিতে পারছিলেন না। একে মেয়েটা হিন্দু দ্বিতীয়ত সে পার্টি ক্লাব বেশি পছন্দ করতো। নয়ন ভাই এইসব কিছুই পছন্দ করতেন না।
পড়ালেখা শেষ করে নয়ন ভাই বাংলাদেশে চলে আসেন। দেশে ফেরার পর প্রথম প্রথম ভালই ছিলেন। হঠাৎ করেই একটা সমস্যা দেখা দিল। নয়ন ভাই নিজেকে সারাক্ষণ একটি রুমে বন্ধি করে রাখতেন । রুম থেকে বের হতেন না।
মাঠিতে আসন পেতে বসে থাকতেন এবং অদ্ভুদ ব্যপার হলো তিনি যে যায়গায় বসতেন সেই যায়গায় লাল একটা মার্কার দিয়ে বৃত্তের মতো করে সেই বৃত্তের মধ্যখানে তিনি বসতেন। রুমের লাইট নিভিয়ে শুধু মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতেন।
একটা কথা বলতে ভুলে গেছি যখন নয়ন ভাই দেশে ফিরে আসেন তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করে আমার বন্ধু। নয়ন ভাই হিন্দু ধর্মের মানুষের মতন আচরণ করতে শুরু করেন । একদিন নিজের হাত ছুরি দিয়ে কেঁটে হাতের রক্ত দিয়ে মেঝেতে শুধু ওই মেয়েটার নাম লিখতেন।
শরীর থেকে রক্ত যেতে লাগলে এক পর্যায় হঠাৎ তিনি অজ্ঞান হয়ে যান । পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। নয়ন ভাইয়ের জ্ঞান ফেরার পর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি এসব কেন করছেন। কিন্তুু উনার কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে যান। তিনি নিজেই জানেন না তিনি কি করেছেন।
নয়ন ভাই হাসপাতালে থাকতে চান না তাই তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরে নয়ন ভাইকে সাথে নিয়ে তার বাবা পরিচিত একজন হুজুরের কাছে যান হুজুরকে সব খুলে বলেন ওই হুজুর সবকিছু শুনে তিনি আরেকজন বড় হুজুরের কথা বলেন উনার কাছে নিয়ে যেতে।
পরে সেই হুজুরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। হুজুর নয়ন ভাইকে ভালো করে দেখলেন, দেখলেন নয়ন ভাইয়ের মাথায় রংয়ের মত লাল রং এর একটা ফোটা দেওয়া। সেটা ছিল তাকে বশ করার জন্য।
বাসার কেউ সেটা খেয়াল করেন নি। পরে তিনি তাকে পানি পড়া খাইয়ে একটা ফু দিয়ে দিলেন এবং কিছু জিনিস দিলেন এবং বললেন সেগুলো নিয়ে বাসার চার কোণায় মাঠির নিচে পুতে রেখে দিতে এবং সবাই যেন নয়ন ভাইয়ের উপড় খেয়াল রাখেন।
পরে হুজুর নয়ন ভাইয়ের বাবাকে বলেন কে যেন নয়ন ভাইকে কালো যাঁদু করেছে। তখন সব কথা খুলে বলেননি হুজুর। শুধু বললেন তাকে ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। কারণ কালো যাঁদুর প্রভাবটা এতো বেশি যে যখন ওই কালো যাঁদুর প্রভাব তার উপড় পরে তখন সে তার নিজের মধ্যে থাকেনা।
তাকে অন্য কেউ বশ করে পুরোপুরি তার নিয়ন্ত্রণে করে ফেলে। বাসায় ফিরে আমার বন্ধু হুজুরের কথা মত বাসার চার কোণায় সেই জিনিসগুলো রেখে দেওয়া হয় । পরে ওই দিন রাতে নয়ন ভাই ছটফট করতে থাকেন বাসার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সবাই মিলে তাকে একটা রুমে আটকে রাখেন। কিন্তুু অদ্ভুদ ব্যপার হলো তিনি রুমের দরজার লক ভেঁঙ্গে ফেলেন হঠাৎ উনার এতো শক্তি দেখে সবাই অবাক হয়ে যান। তিনি দ্রুত রুম থেকে বেড়িয়ে বাসার বাহিরে যাওয়ার জন্য দৌড় দেন। বাসার মেইন গেইট আগে থেকেই তালা দেওয়া ছিল। শুধু ভিতরের ক্যাচিগেট টা তখন তালা দেওয়া ছিল না।
নয়ন ভাই সেই গেইট খুলে বের হয়ে মেইন গেইটের কাছে যেতেই আমার বন্ধু থাকে দৌড়ে গিয়ে তাকে আটকায়। তখন তার চোখ লাল হয়ে গিয়েছিল এবং সারা শরীর কালো হয়ে গিয়েছিল। সেদিন রাতে আর কারো ঘুম হয়নি। পরের দিন হুজুরকে বিষয়টা জানানো হয়।
হুজুর বললেন আমি প্রথমেই বলেছিলাম এতো তাড়াতাড়ি এই সমস্যাটার সমাধান হবে না কিছুদিন সময় লাগবে। আপনারা ওকে চোখে চোখে রাখবেন। নয়ন ভাইকে প্রতিদিন ফজরের আযানের সময় মসজিদে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেলেন হুজুর । হুজুর তখন আংকেল কে সব কথা খুলে বলেন।
একটা হিন্দু মেয়ে তাকে পাগল করে এই দেশ থেকে নিয়ে যেতে চায় এবং তাকে বিয়ে করার জন্য সেই মেয়েটি এইসব কিছু করছে। ওর উপড় কালো যাঁদু করেছে। সে সব কিছু ভুলে যেন তার কাছে ছুটে যায়। হুজুরের চিকিৎসায় পরে আস্তে আস্তে নয়ন ভাই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই ছিল আমার বন্ধুর কাছ থেকে শুনা ঘটনা।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যপার। তবে এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ দ্বায়ী নহে ।
See lessযদি আগামীকাল সূর্যের বিস্ফোরণ ঘটে?
যদি আগামীকাল সূর্যের বিস্ফোরণ ঘটে? আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্র স্থলে একটি বৃহৎ তারা রয়েছে তা হচ্ছে প্লাজমার সুপার হট বল যা আমাদের তাপ, শক্তি এবং আশ্চর্যজনক অনেক কিছু দিয়ে থাকে। সূর্যের বয়স প্রায় ১০ বিলিয়ন বছর। তবে এটি কেবল প্রায় ৫ মিলিয়ন বছর অবধি প্রত্যাশিত। সূর্য্য যখন বিস্ফোরণ হবে একটি লাল দৈত্Read more
যদি আগামীকাল সূর্যের বিস্ফোরণ ঘটে?
আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্র স্থলে একটি বৃহৎ তারা রয়েছে তা হচ্ছে প্লাজমার সুপার হট বল যা আমাদের তাপ, শক্তি এবং আশ্চর্যজনক অনেক কিছু দিয়ে থাকে।
সূর্যের বয়স প্রায় ১০ বিলিয়ন বছর। তবে এটি কেবল প্রায় ৫ মিলিয়ন বছর অবধি প্রত্যাশিত। সূর্য্য যখন বিস্ফোরণ হবে একটি লাল দৈত্য হয়ে উঠবে তারপরে এটি একটি সাদা বামন হয়ে উঠবে, মরে যাওয়া তারকা হিসাবে গণনা করে হবে , পরবর্তী কয়েক বিলিয়ন বছর পরে শীতল হয়ে উঠবে।
অবশ্য এ রকম কিছু এই শতাব্দীতে হবে না আমরা এর আগেই মরে যাব। আপনার মনে হবে সৌরজগতের সবচেয়ে বড় আলোকসজ্জা হবে যখন এই সূর্যের বিস্ফোরণ ঘটবে। কিন্তু তার অবকাশ নাই।
সূর্য পৃথিবী থেকে ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার (৯৩ মিলিয়ন মাইল) দূরে, এবং সূর্য থেকে আলো পৌঁছাতে আমাদের ৮ মিনিট সময় লাগে।পৃথিবী কোন সুপারনোভা থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকার জন্য আমাদের কমপক্ষে ৫০ থেকে ১০০ আলোক-বর্ষ দূরে থাকা দরকার!
তবে সুসংবাদটি হল, যদি আগামীকাল সূর্যটি বিস্ফোরিত হয় তবে ফলস্বরূপ পুরো পৃথিবীকে ধ্বংস করার মতো শক্তিশালী হবে না। কেবলমাত্র সূর্যের মুখোমুখি তাত্ক্ষণিকভাবে সিদ্ব হয়ে যাবে ।
সারা পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যাবে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা ১৫ গুণ বেশি গরম হয়ে যাবে। সূর্য ধ্বংস হওয়ার কারণে পৃথিবী তার কক্ষপথ হতে হারিয়ে যাবে এবং মহাকাশে ভাসতে থাকবে।
এমনও হতে পারে আমাদের পৃথিবী টি ভাসতে ভাসতে এমন অন্য কক্ষপথে গিয়ে স্থায়ী হয়ে যেতে পারে যা আমাদের সূর্যের মতই আলো এবং তাপ সরবরাহ করবে।
আমরা যদি জানতে পারি সূর্য ধ্বংস হয়ে যাবে তবে আমরা নিজেদের বাসস্থান খুঁজার জন্য মরিয়া হয়ে যেতাম। আপনি যেনে খুশি হবেন যে আপনি যে ভূমির উপর দিয়ে চলাচল করেন তার কয়েক মিটার নীচে পৃথিবী প্রায় 17 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (62 ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা বজায় রাখছে।
তাই সূর্য যখন ধ্বংস হবে তার তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে মানুষ মাটির নিচে নিজের অবস্থান করে নিতে পারে। বিস্ফোরণের এক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা হবে ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এক বছরের মধ্যে তাপমাত্রা প্রায় -73 ডিগ্রি সেলসিয়াস (-100 ডিগ্রি ফারেনহাইট) যার কারণে সাগর উত্তাল হয়ে যাবে উতাল পাতাল হয়ে যাবে।
এক হাজার বছরের মধ্যে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হিমশীতল এবং পতন হবে, যা মহাজাগতিক বিকিরণ এবং উল্কা প্রভাবের সংস্পর্শে থাকা পৃষ্ঠের উপর কিছু প্রভাব ফেলবে।
তবে আশা করি, সেই মুহুর্তে আমরা নিজেরাই একটি নতুন বাড়ি খুঁজে পেয়ে যাব।
যদি সূর্য বিস্ফোরণ ঘটে এবং সূর্য মারা যায় তবে সুসংবাদ হলো তা আস্তে আস্তে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে ধ্বংস হবে তবে এই নয় যে এক রাতারাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।
সূর্য ধ্বংস হওয়ার পরে গরম এবং উজ্জ্বল হতে থাকবে এবং এই প্রক্রিয়া কালীন সময়ে মহাবিশ্ব তার বাহ্যিক স্তর গুলি হারাবে এবং বিস্ফোরণের ফলে যেভাবে বিগব্যাং থেকে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল সেভাবে অন্য গ্রহ উপগ্রহের সৃষ্টি হতে পারে।
কে জানে এরপরে আবার নতুন পৃথিবী সৃষ্টি হতে পারে। আমার একটি মানব জাতি তার বংশ বিস্তার করতে পারে।
এখন থেকে কোটি কোটি বছর পরে আমাদের এই মহাজগৎ কেমন হতে পারে এবং আমাদের ছায়াপথ কেমন দেখতে হতে পারে আমাদের জন্য বলা মহা দুরন্ত কষ্টকর। এমনও হতে পারে কোন সময় অন্য কোন তারার জায়গা দখলের জন্য সুর্য তার স্থান ত্যাগ করতে পারে। এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটলে আমরা কোথায় থাকব বর্তমান সাইন্স তা এখনো ব্যাখ্যা করতে পারে নাই।
ভূত গল্প – ৪
এই ঘটনাটি ২০০৮ সালের জুন মাসে আমার বন্ধুর সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা । আমি এই ঘটনাটি অনলাইন ম্যাগাজিন আজব গুজব ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরছি । আমার বন্ধু একটা কাঁপড়ের দোকানে চাকরি করতো। তার বাসা শহরের কাছাকাছি ছিল শহর থেকে একটু দূরে। প্রতিদিন সে সকাল ৯টায় দোকানে যেতো এবং রাত ১০ টায় বাRead more
এই ঘটনাটি ২০০৮ সালের জুন মাসে আমার বন্ধুর সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা ।
আমি এই ঘটনাটি অনলাইন ম্যাগাজিন আজব গুজব ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরছি ।
আমার বন্ধু একটা কাঁপড়ের দোকানে চাকরি করতো।
তার বাসা শহরের কাছাকাছি ছিল শহর থেকে একটু দূরে। প্রতিদিন সে সকাল ৯টায় দোকানে যেতো এবং রাত ১০ টায় বাসায় ফিরতো । কিন্তুু রমজান মাসে বেঁচা কেনা ভালো ছিল তাই অনেক রাত করেই ফিরতে হতো। তাদের এলাকার পাশে একটা পাহাড় ছিল এবং সেই পাহাড়ের পাশ দিয়ে রাস্তা ছিল এবং পাহাড়ে অনেক বাঁশ ঝাড় ছিল।
সেই এলাকার রাস্তা দিনের বেলায় ও অন্ধকার থাকতো।
বিকাল পেরিয়ে যখন সন্ধ্যা নামতো ভঁয়ে কেউ ওই রাস্তা দিয়ে যেতে চাইতো না। যদি কোনো রিক্সাকে ডাকা হতো আসলে ও যখন শুনতো ওই এলাকায় যাবে তখন সাথে সাথেই যাবেনা বলে দেয়। বেশি টাকা দিয়ে ও কোনো রিক্সা যেতে রাজি হয়না। ওই পাহাড়ের কাছেই ছিল একটা পুরোনো জমিদার বাড়ী । এই রাস্তা দিয়ে রাতে কেউ একা যাওয়ার সাহস পেতো না । তখন ছিল রমজান মাস। আমার বন্ধু তুহিন দোকান থেকে বাসায় ফিরছিলো ।
তখন রাত ৩ টা বাজে, সে তার এলাকার ওই রাস্তা দিয়ে হেঠে আসছিল কারণ এই সময় কোনো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই বাধ্য হয়ে হেঁটেই আসতে হয় তাকে। যখন সে হেঁটে আসছিল দূর থেকে সে খেয়াল করলো ৩/৪ জন লোক আলাপ করছে একটা গাঁছের নিচে সে তাদের দেখে মনে কিছুটা সাহস পেল। যখন সে তাদের পাশ কাটিয়ে যায় তখন তাদের মুখ দেখতে পায় নি। কারণ তখন চারপাশটা খুব অন্ধকার ছিল। তখন তাকে কে যেন পিছন থেকে ডাকছিল সে একবার পিছনে থাকায় তখন দেখে কেউ নেই। গাছের নিচে যে লোকগুলো ছিল এরাও সেই যায়গায় নেই। তখন সে ভঁয় পেয়ে যায় আর সে সামনে থাকতেই দেখে রাস্তার এক পাশে একটা কাল বিড়াল চোঁখ লাল করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। তখন ওই কালো বিড়ালটা দৌড় দিয়ে তার সামনেই রাস্তা অতিক্রম করে।
সে তখন আরো ভঁয় পেয়ে যায়। কিছু না ভেবে দৌড় দেয় তখন সে খেয়াল করলো সে শুধু দৌড়েই যাচ্ছে কিন্তুু তার রাস্তা শেষ হচ্ছে না। তার পাশের যে বাঁশ ঝাড় সেগুলো এক যায়গায় আছে আর সে দৌড়াচ্ছে রাস্তায়। তখন হঠাৎ সে অজ্ঞান হয়ে ওই যায়গায় পরে যায়। যখন সে চোখ খুলে তখন সে দেখতে পায় সে তার বিছানায় শুয়ে আছে তার কাঁপড়ে ময়লা লেগে আছে। পরের দিন সে তার মাকে জিজ্ঞেস করে তাকে কোথা থেকে আনা হয়েছে। তখন সে জানতে পারে সে তার বাসার সামনে এসে চিৎকার করে মাঠিতে পরে যায়। বাসার সবাই দৌড়ে গিয়ে দেখেন সে অজ্ঞান হয়ে মাঠিতে পরে আছে । এরপর থেকে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পড়ে ভঁয় পেতো। ভঁয়ে ঘুমের মধ্যে দেখতো কে যেন তাকে মারতে আসছে। পরে তার বাবা তাকে এক হুজুরের কাছে নিয়ে যান। হুজুর একটা ফুঁ দিয়ে তার ডান হাতে একটা তাবিজ পড়িয়ে দেন। আর কখনও যেন সেই তাবিজ সে না খুলে এই কথা বলেন। পরে আস্তে আস্তে সে ঠিক হয়। সে ভাল হওয়ার পর একদিন এই ঘটনা আমাকে বলে। এই ছিল আমার আমার বন্ধুর সাথে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ একটি ঘটনা।
বিদ্র: ভূত গল্পের সব কাহিনি সংগৃহীত। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যপার। তবে এই গল্পের সাথে যদি কোন জীবিত বা মৃত মানুষ, কোনো স্হান, ধর্ম, কোনো বস্তুু, বা কারো জীবনের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাহলে এই ওয়েব সাইট কতৃপক্ষ দ্বায়ী নহে ।
See lessকরোনা ভাইরাসের কিলিং কীট আবিষ্কারে বরিশালের গবেষকদের সাফল্য কিভাবে সাড়া ফেলেছিল ?
করোনা ভাইরাসের কিলিং কীট আবিষ্কারে বরিশালের গবেষকদের সাফল্য-- করোনাভাইরাস! বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আতঙ্কিত আর আলোচিত বিষয়।সারাবিশ্ব প্রতিনিয়ত এটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, পরিত্রাণের উপায়, সবকিছু নিয়ে প্রতিনিয়ত উদ্বিগ্ন। আর এ নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে নানা আজব গুজব ঘটনা। এ করোনাভাইরাস নিয়েRead more
করোনা ভাইরাসের কিলিং কীট আবিষ্কারে বরিশালের গবেষকদের সাফল্য–
করোনাভাইরাস! বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আতঙ্কিত আর আলোচিত বিষয়।সারাবিশ্ব প্রতিনিয়ত এটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, পরিত্রাণের উপায়, সবকিছু নিয়ে প্রতিনিয়ত উদ্বিগ্ন।
আর এ নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে নানা আজব গুজব ঘটনা। এ করোনাভাইরাস নিয়ে কেউ কেউ নানা গুজব ছড়াচ্ছে আবারএই ক্রান্তিকাল সময় এ কেউ কেউ নানা আজব কান্ডও ঘটাচ্ছে। নানা গুজবে যেমন মানুষ এর মধ্যে ভয় ভীতি ছড়িয়ে যাচ্ছে আবার অনেক আজব আজব কাজ এই খারাপ সময় এ অনেক মানুষ কে স্বস্তি ও দিচ্ছে।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বা ওষুধ কেউ কি তৈরি করতে পেরেছে?করলেও তার সাফল্য কতটুকু?এর কোন সুনির্দিষ্ট বা পজেটিভ ব্যাখ্যা এখনো দিতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে একেক জন এর একেক কথা।এই ভ্যাকসিন কিংবা করোনা চিকিৎসার ঔষধ নিয়ে নানা গুজবও রটেছিল।কিন্তু বাস্তবিক অর্থে বসে নেই কেউ। পৃথিবীর অনেক দেশই করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার কিংবা ঔষধ আবিষ্কারে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই দিক দিয়ে বাংলাদেশের গবেষকরাও বসে নেই তারাও চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের সাধ্যমত।করোনা টেস্টিং কিটে ডক্টর জাফরুল্লাহ স্যারের সাফল্যের পর এবার এল নতুন সাফল্য,যা দেখিয়েছেন বরিশালের গবেষকেরা।
বাংলাদেশের মত এরকম উন্নয়নশীল দেশের এমন সাফল্য অনেকটাই আজব।অনেক গুজবের মধ্যেও মাঝে মাঝে এমন আজব খবর সত্যি আমাদের জন্য অনেক স্বস্তিদায়ক।
বরিশালের গবেষকদের উদ্ভাবিত কোভিট কিট করোনার প্রাদুর্ভাবে আশার আলো সঞ্চার করছে।
গবেষকদের দাবি ৬ সপ্তাহের মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এই কিট এর দ্বারা।পাশাপাশি এটি ব্যবহারের ফলে করোনা রোগীর সংস্পর্শে সুস্থ মানুষ এলেও সে করোনা আকান্ত হবেনা দাবি প্রধান গবেষক গবেষকের ।মাননিয়ন্ত্রণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই করোনা প্রতিরোধের এই কিট দ্রুতই সরকারি অনুমোদন পাওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।
আর এই কাজটি যৌথভাবে করে সাফল্য পেয়েছেন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন রেজিস্টার্ড ডাক্তার এ এইচ এম মাসুম বিল্লা, ডাক্তার উম্মে তাহিরা ইলা এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়ন এবং জৈব প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান ডাক্তার রেহানা পারভীন।
গেল দুই মাসের গবেষণার মাধ্যমে তাঁরা তৈরি করেছেন করোনা প্রতিরোধে কোভিট কিট।
ডাক্তার রেহানা পারভীন এ ও জানিয়েছেন যে, সরকারি অনুমোদন পেলে তারা দুই সপ্তাহের মধ্যে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ করে বাজারজাতকরণও করতে পারবেন এবং সাধারণ জনগণের হাতে পৌঁছে দিতে পারবেন তারা বিশ্বাস করছেন।
এটি একটি করোনা প্রতিরোধমূলক ডিভাইস /মাস্ক যার মাধ্যমে করানো আক্রান্ত ব্যক্তির নিঃশ্বাসে নির্গত জীবাণু 99.995 % এর অধিক জীবাণুমুক্ত করে ফেলবে।যার মাধ্যমে অন্য একজন ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একদমই ক্ষীণ হবে।অলরেডি এই ডিভাইস বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
এটি যদি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পজেটিভ রেজাল্ট আসে, তাহলে এটি ডাক্তার, নার্স সহ বিভিন্ন মানুষের জন্য খুবই উপকারী এবং করোনার ব্যাপক বিস্তার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
See less